alt

আন্তর্জাতিক

ইহুদি ভোটারদের সমর্থনেও গাজা প্রশ্নে অটল মামদানি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫

নিউইয়র্ক শহরের ডেমোক্র্যাট মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রাইমারি নির্বাচনে বড় জয় অনেককে চমকে দিলেও, তাঁর প্রচারণা দলের জন্য তা ছিল প্রত্যাশিত। প্রচারণার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী বেন স্যাডফ জানিয়েছেন, বাড়িভাড়া, শিশু যত্ন ও শহরের দুরবস্থাই ছিল ভোটারদের আলোচনার মূল বিষয়। গাজা নিয়ে মামদানির অবস্থান, এমনকি ইসরায়েল প্রসঙ্গও তুলনামূলকভাবে কমই এসেছে।

ইহুদি পরিচয়ের স্যাডফ বলেন, “ইসরায়েল নিয়ে আলোচনা হলেও তা গাজায় বিপর্যয়, যুদ্ধ ও মানুষের দুর্দশা ঘিরে ছিল। নিউইয়র্কের ১০ লাখ ইহুদি জনগোষ্ঠীর নানা মত আছে। সেই বাস্তবতা আমাদের প্রচারণায় স্পষ্ট হয়েছে।”

মামদানির স্পষ্ট ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান ও ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য অনেক ইহুদি গোষ্ঠীর সমালোচনার কারণ হলেও, বহু ইহুদি ভোটারই তাঁকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মতে, ইসরায়েল নিয়ে তাঁর অবস্থান ইহুদিবিদ্বেষ নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান।

মামদানি বলেন, ইসরায়েল শুধু ইহুদিদের পক্ষে নয়, সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করুক—এটাই তাঁর দাবি। তিনি ইসরায়েলকে ‘বর্ণবৈষম্যমূলক রাষ্ট্র’ বলেছেন এবং ‘বিডিএস’ (বর্জন, পুঁজি প্রত্যাহার ও নিষেধাজ্ঞা) আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন।

তাঁর এই অবস্থানের কারণে জায়নবাদী গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মুখে পড়লেও নির্বাচনে তা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং, বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ইহুদি ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তাঁকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো, যিনি এবার মেয়র নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, মামদানির ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানকে সামনে টেনে সমালোচনা করেছেন। কুমো নিজে ইসরায়েল সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আইনি দলের সদস্য ছিলেন। তবুও, কুমোর প্রচেষ্টা মামদানির জয় থামাতে পারেনি।

মামদানি প্রচারণায় তুলে ধরেছেন গণপরিবহন, সাশ্রয়ী আবাসন ও ন্যায্য জীবনযাত্রার কথা। এই বিষয়গুলোই ছিল ইহুদি ভোটারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর প্রচারে যুক্ত ইহুদি সংগঠন ‘জিউশ ফর রেসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক জাস্টিস’ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় ছিল।

৩৭ বছর বয়সী ইহুদি ভোটার এমিলি হফম্যান বলেন, “আমি একজন ইহুদি হিসেবে মামদানিকে ভোট দিয়ে গর্বিত। গাজায় যা দেখছি, তা নাড়া দিয়েছে। ইসরায়েলকে সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে—এটা তো সাধারণ মানবিক মূল্যবোধ।”

ছবি

কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ বাংলাদেশিশূন্য, এক বছরে ‘হাজার কোটির’ ওপরে ব্যবসায়িক ক্ষতি

১৪ লাখ আফগান শরণার্থীকে জোর করেই ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র চুক্তি থেকে সরে গেল রাশিয়া

ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কের হুমকি ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’ : ভারত

ছবি

পুরো গাজা দখলে নেবে ইসরায়েল

‘ইমরানকে মুক্ত কর’ আন্দোলনে মাঠে নেমেছে পিটিআই

ছবি

মানুষের রক্ত, মস্তিষ্ক, অস্থিমজ্জায় ঢুকছে প্লাস্টিক

ছবি

ভারতের পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি ট্রাম্পের, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি বলছে ‘অহেতুক’

ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে পুড়েছে ৭২ হাজার একরের বেশি এলাকা

ছবি

‘একদিনে প্রায় ১ হাজার ২৫০ সেনাকে হারিয়েছে ইউক্রেন’

ছবি

ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের ঘনিষ্ঠতা: ভূরাজনীতিতে নতুন মোড়

ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনের পক্ষে লাখো মানুষের মিছিলে অ্যাসাঞ্জ

ছবি

পাকিস্তানের সঙ্গে ১২টি সহযোগিতা চুক্তি সই করল ইরান

ছবি

রাশিয়াকে যুদ্ধে অর্থায়ন করছে ভারত, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

বিশ্ব কি পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া উত্তেজনা, বিশ্ব কোন ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে

ছবি

আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রথম কোনো ইসরায়েলি মন্ত্রীর প্রকাশ্যে প্রার্থনা

ছবি

‘সুয়েবা ০১’ পিএইচডি করছে

ছবি

সিডনি হারবার ব্রিজে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ, শামিল হলেন অ্যাসাঞ্জও

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হওয়া পর্যন্ত নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

ছবি

গাজায় ‘অত্যন্ত অপর্যাপ্ত’ সাহায্য ঢুকছে: জার্মানি

ছবি

পাকিস্তানে শেল বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলায় শিশুসহ নিহত ৬

ছবি

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়বে না হামাস

ফের হামলা হলে ‘ভুতুড়ে শহরে’ পরিণত হবে তেল আবিব : ইরান

ছবি

শুল্কের অর্থে ঘাটতি সামলাতে পারবে কি যুক্তরাষ্ট্র

‘অস্তিত্ব সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : বাইডেন

ছবি

পাকিস্তানে তেলের বিশাল ভাণ্ডার কী আদৌ আছে?

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি

এক টুকরো খাবারের জন্য প্রাণ গেছে দেড় হাজার ফিলিস্তিনির

ছবি

হামলার হুমকিতে করাচির হোটেলগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তাদের যাতায়াত সীমিত

ছবি

মেদভেদেভের হুঁশিয়ারিতে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, রাশিয়ার কাছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ

ছবি

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

নির্বাচনকে সামনে রেখে মায়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন

ছবি

পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে তুর্কমিনিস্তান

পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

বন্ধু থেকে প্রতিবেশী, কাউকেই ছাড় দেননি ট্রাম্প

tab

আন্তর্জাতিক

ইহুদি ভোটারদের সমর্থনেও গাজা প্রশ্নে অটল মামদানি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫

নিউইয়র্ক শহরের ডেমোক্র্যাট মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রাইমারি নির্বাচনে বড় জয় অনেককে চমকে দিলেও, তাঁর প্রচারণা দলের জন্য তা ছিল প্রত্যাশিত। প্রচারণার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী বেন স্যাডফ জানিয়েছেন, বাড়িভাড়া, শিশু যত্ন ও শহরের দুরবস্থাই ছিল ভোটারদের আলোচনার মূল বিষয়। গাজা নিয়ে মামদানির অবস্থান, এমনকি ইসরায়েল প্রসঙ্গও তুলনামূলকভাবে কমই এসেছে।

ইহুদি পরিচয়ের স্যাডফ বলেন, “ইসরায়েল নিয়ে আলোচনা হলেও তা গাজায় বিপর্যয়, যুদ্ধ ও মানুষের দুর্দশা ঘিরে ছিল। নিউইয়র্কের ১০ লাখ ইহুদি জনগোষ্ঠীর নানা মত আছে। সেই বাস্তবতা আমাদের প্রচারণায় স্পষ্ট হয়েছে।”

মামদানির স্পষ্ট ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান ও ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য অনেক ইহুদি গোষ্ঠীর সমালোচনার কারণ হলেও, বহু ইহুদি ভোটারই তাঁকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মতে, ইসরায়েল নিয়ে তাঁর অবস্থান ইহুদিবিদ্বেষ নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান।

মামদানি বলেন, ইসরায়েল শুধু ইহুদিদের পক্ষে নয়, সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করুক—এটাই তাঁর দাবি। তিনি ইসরায়েলকে ‘বর্ণবৈষম্যমূলক রাষ্ট্র’ বলেছেন এবং ‘বিডিএস’ (বর্জন, পুঁজি প্রত্যাহার ও নিষেধাজ্ঞা) আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন।

তাঁর এই অবস্থানের কারণে জায়নবাদী গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মুখে পড়লেও নির্বাচনে তা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং, বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ইহুদি ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তাঁকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো, যিনি এবার মেয়র নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, মামদানির ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানকে সামনে টেনে সমালোচনা করেছেন। কুমো নিজে ইসরায়েল সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আইনি দলের সদস্য ছিলেন। তবুও, কুমোর প্রচেষ্টা মামদানির জয় থামাতে পারেনি।

মামদানি প্রচারণায় তুলে ধরেছেন গণপরিবহন, সাশ্রয়ী আবাসন ও ন্যায্য জীবনযাত্রার কথা। এই বিষয়গুলোই ছিল ইহুদি ভোটারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর প্রচারে যুক্ত ইহুদি সংগঠন ‘জিউশ ফর রেসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক জাস্টিস’ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় ছিল।

৩৭ বছর বয়সী ইহুদি ভোটার এমিলি হফম্যান বলেন, “আমি একজন ইহুদি হিসেবে মামদানিকে ভোট দিয়ে গর্বিত। গাজায় যা দেখছি, তা নাড়া দিয়েছে। ইসরায়েলকে সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে—এটা তো সাধারণ মানবিক মূল্যবোধ।”

back to top