নিউইয়র্ক শহরের ডেমোক্র্যাট মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রাইমারি নির্বাচনে বড় জয় অনেককে চমকে দিলেও, তাঁর প্রচারণা দলের জন্য তা ছিল প্রত্যাশিত। প্রচারণার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী বেন স্যাডফ জানিয়েছেন, বাড়িভাড়া, শিশু যত্ন ও শহরের দুরবস্থাই ছিল ভোটারদের আলোচনার মূল বিষয়। গাজা নিয়ে মামদানির অবস্থান, এমনকি ইসরায়েল প্রসঙ্গও তুলনামূলকভাবে কমই এসেছে।
ইহুদি পরিচয়ের স্যাডফ বলেন, “ইসরায়েল নিয়ে আলোচনা হলেও তা গাজায় বিপর্যয়, যুদ্ধ ও মানুষের দুর্দশা ঘিরে ছিল। নিউইয়র্কের ১০ লাখ ইহুদি জনগোষ্ঠীর নানা মত আছে। সেই বাস্তবতা আমাদের প্রচারণায় স্পষ্ট হয়েছে।”
মামদানির স্পষ্ট ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান ও ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য অনেক ইহুদি গোষ্ঠীর সমালোচনার কারণ হলেও, বহু ইহুদি ভোটারই তাঁকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মতে, ইসরায়েল নিয়ে তাঁর অবস্থান ইহুদিবিদ্বেষ নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান।
মামদানি বলেন, ইসরায়েল শুধু ইহুদিদের পক্ষে নয়, সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করুক—এটাই তাঁর দাবি। তিনি ইসরায়েলকে ‘বর্ণবৈষম্যমূলক রাষ্ট্র’ বলেছেন এবং ‘বিডিএস’ (বর্জন, পুঁজি প্রত্যাহার ও নিষেধাজ্ঞা) আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন।
তাঁর এই অবস্থানের কারণে জায়নবাদী গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মুখে পড়লেও নির্বাচনে তা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং, বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ইহুদি ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তাঁকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো, যিনি এবার মেয়র নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, মামদানির ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানকে সামনে টেনে সমালোচনা করেছেন। কুমো নিজে ইসরায়েল সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আইনি দলের সদস্য ছিলেন। তবুও, কুমোর প্রচেষ্টা মামদানির জয় থামাতে পারেনি।
মামদানি প্রচারণায় তুলে ধরেছেন গণপরিবহন, সাশ্রয়ী আবাসন ও ন্যায্য জীবনযাত্রার কথা। এই বিষয়গুলোই ছিল ইহুদি ভোটারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর প্রচারে যুক্ত ইহুদি সংগঠন ‘জিউশ ফর রেসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক জাস্টিস’ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় ছিল।
৩৭ বছর বয়সী ইহুদি ভোটার এমিলি হফম্যান বলেন, “আমি একজন ইহুদি হিসেবে মামদানিকে ভোট দিয়ে গর্বিত। গাজায় যা দেখছি, তা নাড়া দিয়েছে। ইসরায়েলকে সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে—এটা তো সাধারণ মানবিক মূল্যবোধ।”
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
নিউইয়র্ক শহরের ডেমোক্র্যাট মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রাইমারি নির্বাচনে বড় জয় অনেককে চমকে দিলেও, তাঁর প্রচারণা দলের জন্য তা ছিল প্রত্যাশিত। প্রচারণার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী বেন স্যাডফ জানিয়েছেন, বাড়িভাড়া, শিশু যত্ন ও শহরের দুরবস্থাই ছিল ভোটারদের আলোচনার মূল বিষয়। গাজা নিয়ে মামদানির অবস্থান, এমনকি ইসরায়েল প্রসঙ্গও তুলনামূলকভাবে কমই এসেছে।
ইহুদি পরিচয়ের স্যাডফ বলেন, “ইসরায়েল নিয়ে আলোচনা হলেও তা গাজায় বিপর্যয়, যুদ্ধ ও মানুষের দুর্দশা ঘিরে ছিল। নিউইয়র্কের ১০ লাখ ইহুদি জনগোষ্ঠীর নানা মত আছে। সেই বাস্তবতা আমাদের প্রচারণায় স্পষ্ট হয়েছে।”
মামদানির স্পষ্ট ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান ও ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য অনেক ইহুদি গোষ্ঠীর সমালোচনার কারণ হলেও, বহু ইহুদি ভোটারই তাঁকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মতে, ইসরায়েল নিয়ে তাঁর অবস্থান ইহুদিবিদ্বেষ নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান।
মামদানি বলেন, ইসরায়েল শুধু ইহুদিদের পক্ষে নয়, সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করুক—এটাই তাঁর দাবি। তিনি ইসরায়েলকে ‘বর্ণবৈষম্যমূলক রাষ্ট্র’ বলেছেন এবং ‘বিডিএস’ (বর্জন, পুঁজি প্রত্যাহার ও নিষেধাজ্ঞা) আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন।
তাঁর এই অবস্থানের কারণে জায়নবাদী গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মুখে পড়লেও নির্বাচনে তা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বরং, বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ইহুদি ভোটারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তাঁকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো, যিনি এবার মেয়র নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, মামদানির ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানকে সামনে টেনে সমালোচনা করেছেন। কুমো নিজে ইসরায়েল সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আইনি দলের সদস্য ছিলেন। তবুও, কুমোর প্রচেষ্টা মামদানির জয় থামাতে পারেনি।
মামদানি প্রচারণায় তুলে ধরেছেন গণপরিবহন, সাশ্রয়ী আবাসন ও ন্যায্য জীবনযাত্রার কথা। এই বিষয়গুলোই ছিল ইহুদি ভোটারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর প্রচারে যুক্ত ইহুদি সংগঠন ‘জিউশ ফর রেসিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক জাস্টিস’ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় ছিল।
৩৭ বছর বয়সী ইহুদি ভোটার এমিলি হফম্যান বলেন, “আমি একজন ইহুদি হিসেবে মামদানিকে ভোট দিয়ে গর্বিত। গাজায় যা দেখছি, তা নাড়া দিয়েছে। ইসরায়েলকে সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে—এটা তো সাধারণ মানবিক মূল্যবোধ।”