alt

আন্তর্জাতিক

কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ বাংলাদেশিশূন্য, এক বছরে ‘হাজার কোটির’ ওপরে ব্যবসায়িক ক্ষতি

টাইমস অব ইন্ডিয়া : মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫

ক্যাপশন: কলকাতার নিউ মার্কেটের লিন্ডসে স্ট্রিটের ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এলাকায় সাম্প্রতিক চিত্র এটি। বাংলাদেশী পর্যটকের অভাবে প্রায় জনশূন্য পুরো এলাকা।

কলকাতার নিউ মার্কেটের কাছে—এক প্রান্তে ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এবং আরেক প্রান্তে মার্কুইস স্ট্রিটের মাঝের জায়গাটি ‘মিনি বাংলাদেশ’ হিসেবে পরিচিত।

দীর্ঘদিন ধরে এটি বাংলাদেশি পর্যটকদের প্রিয় স্থান। এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে হোটেলে থাকা যায়। ‘ওপার বাংলা’র খাবার পাওয়া যায়। কলকাতার প্রধান প্রধান রেলওয়ে স্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলো কাছে। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতেও যাওয়া যায় দ্রুত।

গত এক বছরে এই স্থানের দৃশ্যপট একেবারে উল্টে গেছে।

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে এই এলাকার গলিগুলোতে এখন শুধুই নীরবতা।

এই এলাকায় বাংলাদেশের মানুষের যে পদচারণা ছিল তা প্রায় নেই হয়ে গেছে।

এ বছর ৫ই আগস্টের প্রাক্কালে টাইমস অব ইন্ডিয়া-য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই এক বছরে এই এলাকায় বাংলাদেশিদের পর্যটন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ১০০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে।

এটা সেখানকার পর্যটনসেবায় নিয়োজিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের রক্ষণশীল হিসাব। তবে অনেকেই বলছেন, প্রকৃত ক্ষতি এর চেয়েও বেশি হবে।

এই সময়ে কলকাতার হোটেল, খাবারের দোকান, খুচরা বিক্রয়, ট্রাভেল এজেন্ট, বিদেশি মুদ্রা বিনিময়, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবহন খাত প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি রুপির ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি হায়দার আলী খান বলেন, “নিউ মার্কেট আর বউবাজারের কথা যদি ধরি, তাহলে বছরের এই ক্ষতির পরিমাণ আসলে ৫০০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে।”

এই সময়ের মধ্যে এখানকার বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, অথবা টিকে থাকার জন্য কেবল স্থানীয়দের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

মার্কুইস স্ট্রিটের একটি পরিবহন সেবা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক প্রবীর বিশ্বাস বলেন, “এক বছর আগে একই সময়ে একসঙ্গে অনেকগুলো বাস আসত পর্যটকদের নিয়ে, পার্কিংয়ের ঝামেলা হয়ে যেতো। এখন দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও একটি পর্যটকবাহী বাস আসে না।”

বর্তমানে সেখানে বিদেশি মুদ্রার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে আছে। মার্কুইস স্ট্রিটের মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন কারেন্সি এক্সচেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইনতেজার বলেন, “আমরা এখন টিকে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা পুরোপুরি বাংলাদেশের পর্যটকদের ওপরই নির্ভরশীল ছিলাম।”

ব্যবসায়ীদের মতে, এখানে ছোট ছোট জায়গার ওপর মাঝারি আকারের যত রেস্তোরাঁ ছিল, এখন তার প্রায় ৪০ শতাংশই বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটি বড় ব্যবসা এখন কোনো মতে টিকে আছে।

রাধুনি রেস্তোরাঁর এনসি ভৌমিক বলেন, “২০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে ব্যবসা। এখন আর এগুলো চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা কোনো মতে লেগে আছি, আবার ঘুরে দাঁড়াবে সেই অপেক্ষায় রয়েছি।”

ঢাকার ঘটনার প্রভাব এই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর ছিল মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। এর আগে আরেক দফা ধকল গেছে করোনার সময়। তিনি বলেন, “অনেকের মতো আমরাও ভেবেছিলাম, করোনার পর ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা ভালো হবে। আমরা আমাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ঋণও নিয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “ব্যবস্থা ভালোই চলছিল করোনার আগে। এতটা চাপ ছিল যে আমার বড় ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখন আমাদের প্রতি মাসে দেড় লাখ রুপি ব্যাংকে শোধ করতে হয়, কিন্তু কোনো আয়ই হচ্ছে না।”

শুধু এরকম বড় বড় ব্যবসা নয়, বাংলাদেশিদের পর্যটনকে ঘিরে আরও যেসব অনানুষ্ঠানিক ব্যবসা-বাণিজ্য এখানে চলতো—যেমন বাড়িতে রান্না করা খাবার, বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা, ট্যুর গাইড—এগুলোর ব্যবসাও ধসে গেছে। এখানকার শত শত রেস্তোরাঁ কর্মী, বাবুর্চি, গাড়ি চালক, খুচরা দোকানদারের সবার ওপরই মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। তাদের আয়ে ধস নেমেছে।

এলিয়ট রোডের বাসিন্দা ফারহান রসুল জানান, “আমি করোনার পর দু’টি গাড়ি কিনেছিলাম ব্যবসা করার জন্য। তখন অনেক ক্লায়েন্টকে চাপের কারণে ফিরিয়ে দিতে হতো। আর এখন মাসে ৫–৬টার বেশি বুকিং পাই না, এর বেশিরভাগই এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা, যাদের কাছ থেকে তেমন আয় হয় না। এছাড়া আমারও ঋণের টাকা শোধ করতে হয়।”

গত ৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভারত বাংলাদেশে ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে সেগুলোর কার্যক্রম শুরু করে ভারত। তবে চিকিৎসা ভিসা এবং কিছু জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য ভিসা ইস্যু বলা চলে প্রায় বন্ধই রেখেছে ভারত।

১৪ লাখ আফগান শরণার্থীকে জোর করেই ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র চুক্তি থেকে সরে গেল রাশিয়া

ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কের হুমকি ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক’ : ভারত

ছবি

পুরো গাজা দখলে নেবে ইসরায়েল

‘ইমরানকে মুক্ত কর’ আন্দোলনে মাঠে নেমেছে পিটিআই

ছবি

মানুষের রক্ত, মস্তিষ্ক, অস্থিমজ্জায় ঢুকছে প্লাস্টিক

ছবি

ভারতের পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি ট্রাম্পের, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি বলছে ‘অহেতুক’

ছবি

ইহুদি ভোটারদের সমর্থনেও গাজা প্রশ্নে অটল মামদানি

ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে পুড়েছে ৭২ হাজার একরের বেশি এলাকা

ছবি

‘একদিনে প্রায় ১ হাজার ২৫০ সেনাকে হারিয়েছে ইউক্রেন’

ছবি

ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের ঘনিষ্ঠতা: ভূরাজনীতিতে নতুন মোড়

ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনের পক্ষে লাখো মানুষের মিছিলে অ্যাসাঞ্জ

ছবি

পাকিস্তানের সঙ্গে ১২টি সহযোগিতা চুক্তি সই করল ইরান

ছবি

রাশিয়াকে যুদ্ধে অর্থায়ন করছে ভারত, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

বিশ্ব কি পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া উত্তেজনা, বিশ্ব কোন ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে

ছবি

আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রথম কোনো ইসরায়েলি মন্ত্রীর প্রকাশ্যে প্রার্থনা

ছবি

‘সুয়েবা ০১’ পিএইচডি করছে

ছবি

সিডনি হারবার ব্রিজে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ, শামিল হলেন অ্যাসাঞ্জও

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হওয়া পর্যন্ত নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

ছবি

গাজায় ‘অত্যন্ত অপর্যাপ্ত’ সাহায্য ঢুকছে: জার্মানি

ছবি

পাকিস্তানে শেল বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলায় শিশুসহ নিহত ৬

ছবি

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়বে না হামাস

ফের হামলা হলে ‘ভুতুড়ে শহরে’ পরিণত হবে তেল আবিব : ইরান

ছবি

শুল্কের অর্থে ঘাটতি সামলাতে পারবে কি যুক্তরাষ্ট্র

‘অস্তিত্ব সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : বাইডেন

ছবি

পাকিস্তানে তেলের বিশাল ভাণ্ডার কী আদৌ আছে?

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

ছবি

এক টুকরো খাবারের জন্য প্রাণ গেছে দেড় হাজার ফিলিস্তিনির

ছবি

হামলার হুমকিতে করাচির হোটেলগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তাদের যাতায়াত সীমিত

ছবি

মেদভেদেভের হুঁশিয়ারিতে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, রাশিয়ার কাছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ

ছবি

ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ

নির্বাচনকে সামনে রেখে মায়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন

ছবি

পর্যটকদের জন্য দ্বার খুলে দিচ্ছে তুর্কমিনিস্তান

পশ্চিমাদের সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

বন্ধু থেকে প্রতিবেশী, কাউকেই ছাড় দেননি ট্রাম্প

tab

আন্তর্জাতিক

কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ বাংলাদেশিশূন্য, এক বছরে ‘হাজার কোটির’ ওপরে ব্যবসায়িক ক্ষতি

টাইমস অব ইন্ডিয়া

ক্যাপশন: কলকাতার নিউ মার্কেটের লিন্ডসে স্ট্রিটের ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এলাকায় সাম্প্রতিক চিত্র এটি। বাংলাদেশী পর্যটকের অভাবে প্রায় জনশূন্য পুরো এলাকা।

মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫

কলকাতার নিউ মার্কেটের কাছে—এক প্রান্তে ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এবং আরেক প্রান্তে মার্কুইস স্ট্রিটের মাঝের জায়গাটি ‘মিনি বাংলাদেশ’ হিসেবে পরিচিত।

দীর্ঘদিন ধরে এটি বাংলাদেশি পর্যটকদের প্রিয় স্থান। এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে হোটেলে থাকা যায়। ‘ওপার বাংলা’র খাবার পাওয়া যায়। কলকাতার প্রধান প্রধান রেলওয়ে স্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলো কাছে। হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতেও যাওয়া যায় দ্রুত।

গত এক বছরে এই স্থানের দৃশ্যপট একেবারে উল্টে গেছে।

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে এই এলাকার গলিগুলোতে এখন শুধুই নীরবতা।

এই এলাকায় বাংলাদেশের মানুষের যে পদচারণা ছিল তা প্রায় নেই হয়ে গেছে।

এ বছর ৫ই আগস্টের প্রাক্কালে টাইমস অব ইন্ডিয়া-য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই এক বছরে এই এলাকায় বাংলাদেশিদের পর্যটন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ১০০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে।

এটা সেখানকার পর্যটনসেবায় নিয়োজিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের রক্ষণশীল হিসাব। তবে অনেকেই বলছেন, প্রকৃত ক্ষতি এর চেয়েও বেশি হবে।

এই সময়ে কলকাতার হোটেল, খাবারের দোকান, খুচরা বিক্রয়, ট্রাভেল এজেন্ট, বিদেশি মুদ্রা বিনিময়, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবহন খাত প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি রুপির ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি হায়দার আলী খান বলেন, “নিউ মার্কেট আর বউবাজারের কথা যদি ধরি, তাহলে বছরের এই ক্ষতির পরিমাণ আসলে ৫০০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে।”

এই সময়ের মধ্যে এখানকার বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, অথবা টিকে থাকার জন্য কেবল স্থানীয়দের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

মার্কুইস স্ট্রিটের একটি পরিবহন সেবা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক প্রবীর বিশ্বাস বলেন, “এক বছর আগে একই সময়ে একসঙ্গে অনেকগুলো বাস আসত পর্যটকদের নিয়ে, পার্কিংয়ের ঝামেলা হয়ে যেতো। এখন দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও একটি পর্যটকবাহী বাস আসে না।”

বর্তমানে সেখানে বিদেশি মুদ্রার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে আছে। মার্কুইস স্ট্রিটের মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন কারেন্সি এক্সচেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইনতেজার বলেন, “আমরা এখন টিকে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা পুরোপুরি বাংলাদেশের পর্যটকদের ওপরই নির্ভরশীল ছিলাম।”

ব্যবসায়ীদের মতে, এখানে ছোট ছোট জায়গার ওপর মাঝারি আকারের যত রেস্তোরাঁ ছিল, এখন তার প্রায় ৪০ শতাংশই বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটি বড় ব্যবসা এখন কোনো মতে টিকে আছে।

রাধুনি রেস্তোরাঁর এনসি ভৌমিক বলেন, “২০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে ব্যবসা। এখন আর এগুলো চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা কোনো মতে লেগে আছি, আবার ঘুরে দাঁড়াবে সেই অপেক্ষায় রয়েছি।”

ঢাকার ঘটনার প্রভাব এই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর ছিল মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। এর আগে আরেক দফা ধকল গেছে করোনার সময়। তিনি বলেন, “অনেকের মতো আমরাও ভেবেছিলাম, করোনার পর ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা ভালো হবে। আমরা আমাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ঋণও নিয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, “ব্যবস্থা ভালোই চলছিল করোনার আগে। এতটা চাপ ছিল যে আমার বড় ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখন আমাদের প্রতি মাসে দেড় লাখ রুপি ব্যাংকে শোধ করতে হয়, কিন্তু কোনো আয়ই হচ্ছে না।”

শুধু এরকম বড় বড় ব্যবসা নয়, বাংলাদেশিদের পর্যটনকে ঘিরে আরও যেসব অনানুষ্ঠানিক ব্যবসা-বাণিজ্য এখানে চলতো—যেমন বাড়িতে রান্না করা খাবার, বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা, ট্যুর গাইড—এগুলোর ব্যবসাও ধসে গেছে। এখানকার শত শত রেস্তোরাঁ কর্মী, বাবুর্চি, গাড়ি চালক, খুচরা দোকানদারের সবার ওপরই মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। তাদের আয়ে ধস নেমেছে।

এলিয়ট রোডের বাসিন্দা ফারহান রসুল জানান, “আমি করোনার পর দু’টি গাড়ি কিনেছিলাম ব্যবসা করার জন্য। তখন অনেক ক্লায়েন্টকে চাপের কারণে ফিরিয়ে দিতে হতো। আর এখন মাসে ৫–৬টার বেশি বুকিং পাই না, এর বেশিরভাগই এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা, যাদের কাছ থেকে তেমন আয় হয় না। এছাড়া আমারও ঋণের টাকা শোধ করতে হয়।”

গত ৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভারত বাংলাদেশে ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে সেগুলোর কার্যক্রম শুরু করে ভারত। তবে চিকিৎসা ভিসা এবং কিছু জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য ভিসা ইস্যু বলা চলে প্রায় বন্ধই রেখেছে ভারত।

back to top