৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে জাপানের হিরোশিমা নগরে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্র আণবিক বোমা হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা শহরে আণবিক বোমা হামলার ঘটনা দেশটির শিল্পকলাকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। দেশটির চলচ্চিত্র, অ্যানিমেশন সিরিজে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর বিকিরণ অসুস্থতার মর্মান্তিক চিত্রায়ণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গত ৮০ বছরে ধ্বংস ও রূপান্তরের গল্পগুলো জাপানের মানুষের ভয়ের সঙ্গে মিশে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সাম্প্রতিক ফুকুশিমা সংকটের বিষয়গুলো। এমনই চিত্র দেখানো হয়েছে গডজিলা চলচ্চিত্রে।
ধ্রুপদি মাঙ্গা ও অ্যানিমে সিরিজ অ্যাস্ট্রো বয়তে দেখানো হয়েছে পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য। জাপানি ভাষায় এ সিরিজ ‘মাইটি অ্যাটম’ নামে পরিচিত। অন্যদিকে আকিরা, নিওন জেনেসিস ইভ্যাঞ্জেলিয়ন এবং অ্যাটাক অন টাইটান-এর মতো সিরিজে শহর ধ্বংসকারী বিস্ফোরণের চিত্রায়ণ করা হয়েছে।
অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক উইলিয়াম তসুতসুই বলেন, ‘মারাত্মক যন্ত্রণার মধ্যে বেঁচে থাকা’ এবং ‘আঘাত কাটিয়ে ওঠা’ এই থিমটি জাপানের সাংস্কৃতিক মনোভাব প্রকাশে বারবার ফিরে আসতে দেখা যায়, যা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে।
হিরোশিমায় আণবিক বোমা ফেললে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কয়েক দিন পর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে আরেকটি বোমা হামলায় প্রায় ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। লেখক ইয়োকো তাওয়াদা বলেছেন, কিছু কবিতায় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের মুহূর্তের নিখাদ ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। তবে অনেক উপন্যাস ও শিল্পকর্মে এ বিষয়টি পরোক্ষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে, পারমাণবিক বোমা হামলার ৮০ বছর পূর্তিতে জাপানের হিরোশিমা নগরীর মেয়র বিশ্ব নেতাদের আজও বিদ্যমান পারমাণবিক বোমাগুলোর বিষয়ে সতর্ক করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে ১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্র ‘লিটল বয়’ ডাকনামের একটি ইউরেনিয়াম বোমা ফেলে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হিরোশিমাকে ধূলার সঙ্গে মিশিয়ে দেয়, এতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ নিহত হয়।বুধবার, ওই ভয়াবহ হামলার ৮০ বছর পূর্তির দিনটিতে হিরোশিমায় কয়েক হাজার মানুষ শান্তির জন্য প্রার্থনায় মিলিত হন। তারা মাথা ঝুঁকিয়ে পারমাণবিক বোমা হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে হিরোশিমা জাপানি সামরিক বাহিনীর কিছু ইউনিটের সদরদপ্তর আর একটি প্রধান সরবরাহ ঘাঁটি ছিল। মার্কিন যুদ্ধ পরিকল্পনাকারীরা হিসাব করে দেখেছিলেন, শহরটি পর্বতঘেরা হওয়ায় তা বোমার শক্তিকে নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে আটকে রেখে ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
‘এনোলা গে’ নামের একটি বিমান থেকে ‘লিটল বয়’কে ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায় আর তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হয়ে ওই বছরের শেষ পর্যন্ত আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এর তিন দিন পর প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করে তৈরি করা ‘ফ্যাট ম্যান’ ডাকনামের আরেকটি পারমাণবিক বোমা জাপানের আরেক শহর নাগাসাকিতে ফেলা হয়, এতে তাৎক্ষণিভাবে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে জাপানের হিরোশিমা নগরে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্র আণবিক বোমা হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা শহরে আণবিক বোমা হামলার ঘটনা দেশটির শিল্পকলাকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। দেশটির চলচ্চিত্র, অ্যানিমেশন সিরিজে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর বিকিরণ অসুস্থতার মর্মান্তিক চিত্রায়ণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গত ৮০ বছরে ধ্বংস ও রূপান্তরের গল্পগুলো জাপানের মানুষের ভয়ের সঙ্গে মিশে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সাম্প্রতিক ফুকুশিমা সংকটের বিষয়গুলো। এমনই চিত্র দেখানো হয়েছে গডজিলা চলচ্চিত্রে।
ধ্রুপদি মাঙ্গা ও অ্যানিমে সিরিজ অ্যাস্ট্রো বয়তে দেখানো হয়েছে পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য। জাপানি ভাষায় এ সিরিজ ‘মাইটি অ্যাটম’ নামে পরিচিত। অন্যদিকে আকিরা, নিওন জেনেসিস ইভ্যাঞ্জেলিয়ন এবং অ্যাটাক অন টাইটান-এর মতো সিরিজে শহর ধ্বংসকারী বিস্ফোরণের চিত্রায়ণ করা হয়েছে।
অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক উইলিয়াম তসুতসুই বলেন, ‘মারাত্মক যন্ত্রণার মধ্যে বেঁচে থাকা’ এবং ‘আঘাত কাটিয়ে ওঠা’ এই থিমটি জাপানের সাংস্কৃতিক মনোভাব প্রকাশে বারবার ফিরে আসতে দেখা যায়, যা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে।
হিরোশিমায় আণবিক বোমা ফেললে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কয়েক দিন পর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে আরেকটি বোমা হামলায় প্রায় ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। লেখক ইয়োকো তাওয়াদা বলেছেন, কিছু কবিতায় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের মুহূর্তের নিখাদ ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। তবে অনেক উপন্যাস ও শিল্পকর্মে এ বিষয়টি পরোক্ষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে, পারমাণবিক বোমা হামলার ৮০ বছর পূর্তিতে জাপানের হিরোশিমা নগরীর মেয়র বিশ্ব নেতাদের আজও বিদ্যমান পারমাণবিক বোমাগুলোর বিষয়ে সতর্ক করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে ১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্র ‘লিটল বয়’ ডাকনামের একটি ইউরেনিয়াম বোমা ফেলে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হিরোশিমাকে ধূলার সঙ্গে মিশিয়ে দেয়, এতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ নিহত হয়।বুধবার, ওই ভয়াবহ হামলার ৮০ বছর পূর্তির দিনটিতে হিরোশিমায় কয়েক হাজার মানুষ শান্তির জন্য প্রার্থনায় মিলিত হন। তারা মাথা ঝুঁকিয়ে পারমাণবিক বোমা হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে হিরোশিমা জাপানি সামরিক বাহিনীর কিছু ইউনিটের সদরদপ্তর আর একটি প্রধান সরবরাহ ঘাঁটি ছিল। মার্কিন যুদ্ধ পরিকল্পনাকারীরা হিসাব করে দেখেছিলেন, শহরটি পর্বতঘেরা হওয়ায় তা বোমার শক্তিকে নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে আটকে রেখে ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
‘এনোলা গে’ নামের একটি বিমান থেকে ‘লিটল বয়’কে ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায় আর তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হয়ে ওই বছরের শেষ পর্যন্ত আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এর তিন দিন পর প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করে তৈরি করা ‘ফ্যাট ম্যান’ ডাকনামের আরেকটি পারমাণবিক বোমা জাপানের আরেক শহর নাগাসাকিতে ফেলা হয়, এতে তাৎক্ষণিভাবে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।