নিজের মালিকানাধীন বাড়ির ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে বেশি ভাড়ায় পুনরায় ভাড়া দেওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়া ব্রিটিশ উপমন্ত্রী রুশনারা আলী শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহায়ণ, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি (উপমন্ত্রী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির এই এমপি। শুক্রবার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে পদত্যাগপত্রের একটি কপি প্রকাশ করেন রুশনারা, যা ডাউনিং স্ট্রিটও নিশ্চিত করেছে—বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সমালোচনার পেছনের ঘটনা কী?
পূর্ব লন্ডনে নিজের মালিকানাধীন একটি বাড়ির ভাড়াটিয়াদের চুক্তি বাতিল করে রুশনারা দাবি করেছিলেন, তিনি ওই বাড়িটি বিক্রি করতে চান। তবে ছয় মাসের মধ্যেই ওই বাড়িটি আবারও ভাড়া দেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়, এবং আগের চেয়ে ৭০০ পাউন্ড বেশি ভাড়ায়।
সমালোচনার মূল কারণ—এই আচরণকে ভণ্ডামি হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ একই সময়ে রুশনারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমন একটি আইনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, যাতে বাড়ি বিক্রির অজুহাতে ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে পুনরায় বাড়ি ভাড়া দেওয়া নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে।
এই ঘটনার পর বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও বিরোধী দলের নেতারা তার পদত্যাগের দাবি জানান।
‘সরকারের কাজে মনোযোগ ব্যাহত হতে পারে’
প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে রুশনারা লেখেন,
> “আমি সবসময় আইন মেনেই চলেছি। তবে এখন আমি পদে থাকলে সরকারের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরে যেতে পারে।”
তিনি আরও লেখেন,
> “ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি পদত্যাগ করছি। আমি দায়িত্ব পালনে আন্তরিক থেকেছি এবং আমার কাজের নথিই তার প্রমাণ।”
স্টারমারের প্রশংসা, বিরোধীদের সমালোচনা
রুশনারার পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। গৃহহীনদের নিয়ে পুরনো আইন বাতিল করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান কেভিন হলিনরেক বলেন, “রুশনারা আলী যে মাত্রার দ্বিমুখিতা দেখিয়েছেন, তা অভাবনীয়।”
লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ জনআস্থার জন্য হুমকি।”
১৯৭৫ সালে সিলেটে জন্ম নেওয়া রুশনারা মাত্র সাত বছর বয়সে মা–বাবার সঙ্গে লন্ডনে যান। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বুরকি গ্রামের সন্তান।
রাজনীতি, অর্থনীতি ও দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। বর্তমানে তিনি পরামর্শক সংস্থা ইয়ং ফাউন্ডেশনের সহযোগী পরিচালক।
২০১০ সালে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি নির্বাচিত হন। এরপর টানা পাঁচবার তিনি নির্বাচনে জয়ী হন এবং বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি এলাকা থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন।
---
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫
নিজের মালিকানাধীন বাড়ির ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে বেশি ভাড়ায় পুনরায় ভাড়া দেওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়া ব্রিটিশ উপমন্ত্রী রুশনারা আলী শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহায়ণ, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি (উপমন্ত্রী) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির এই এমপি। শুক্রবার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে পদত্যাগপত্রের একটি কপি প্রকাশ করেন রুশনারা, যা ডাউনিং স্ট্রিটও নিশ্চিত করেছে—বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সমালোচনার পেছনের ঘটনা কী?
পূর্ব লন্ডনে নিজের মালিকানাধীন একটি বাড়ির ভাড়াটিয়াদের চুক্তি বাতিল করে রুশনারা দাবি করেছিলেন, তিনি ওই বাড়িটি বিক্রি করতে চান। তবে ছয় মাসের মধ্যেই ওই বাড়িটি আবারও ভাড়া দেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়, এবং আগের চেয়ে ৭০০ পাউন্ড বেশি ভাড়ায়।
সমালোচনার মূল কারণ—এই আচরণকে ভণ্ডামি হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ একই সময়ে রুশনারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমন একটি আইনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, যাতে বাড়ি বিক্রির অজুহাতে ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে পুনরায় বাড়ি ভাড়া দেওয়া নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে।
এই ঘটনার পর বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও বিরোধী দলের নেতারা তার পদত্যাগের দাবি জানান।
‘সরকারের কাজে মনোযোগ ব্যাহত হতে পারে’
প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে রুশনারা লেখেন,
> “আমি সবসময় আইন মেনেই চলেছি। তবে এখন আমি পদে থাকলে সরকারের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরে যেতে পারে।”
তিনি আরও লেখেন,
> “ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি পদত্যাগ করছি। আমি দায়িত্ব পালনে আন্তরিক থেকেছি এবং আমার কাজের নথিই তার প্রমাণ।”
স্টারমারের প্রশংসা, বিরোধীদের সমালোচনা
রুশনারার পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, “তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। গৃহহীনদের নিয়ে পুরনো আইন বাতিল করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান কেভিন হলিনরেক বলেন, “রুশনারা আলী যে মাত্রার দ্বিমুখিতা দেখিয়েছেন, তা অভাবনীয়।”
লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ জনআস্থার জন্য হুমকি।”
১৯৭৫ সালে সিলেটে জন্ম নেওয়া রুশনারা মাত্র সাত বছর বয়সে মা–বাবার সঙ্গে লন্ডনে যান। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বুরকি গ্রামের সন্তান।
রাজনীতি, অর্থনীতি ও দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। বর্তমানে তিনি পরামর্শক সংস্থা ইয়ং ফাউন্ডেশনের সহযোগী পরিচালক।
২০১০ সালে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি নির্বাচিত হন। এরপর টানা পাঁচবার তিনি নির্বাচনে জয়ী হন এবং বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি এলাকা থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন।
---