যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া রূপরেখা অনুযায়ী হিজবুল্লাহসহ লেবাননের সব অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করার প্রস্তাবে আংশিক সায় দিয়েছে লেবানন সরকার। ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে ওয়াশিংটনের উদ্যোগে যে পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে, তার কিছু লক্ষ্যকে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বৈরুতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। যদিও প্রস্তাবের পুরো কাঠামো নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বৈরুত।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের সেই অংশ অনুমোদন করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে—রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কারও হাতে অস্ত্র থাকার বৈধতা নেই। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে দেশটির ভেতরে-বাইরে জটিল চাপ কাজ করেছে বলেও মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত রূপরেখায় ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এর আওতায় হিজবুল্লাহসহ সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করা, ইসরায়েলি বাহিনীকে পাঁচটি সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া, লেবাননের জাতীয় বাহিনীকে সীমান্তে মোতায়েন করা, বন্দি বিনিময়ের জন্য কাঠামোগত আলোচনা শুরু এবং লেবানন-সিরিয়া ও লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।
এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সীমান্তে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং ইসরায়েল-লেবানন সংঘর্ষ পুনরাবৃত্তি ঠেকানো।
তবে এই আলোচনায় অংশ নেয়নি হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্র আমাল মুভমেন্টের মন্ত্রীরা। তারা বৈঠক বর্জন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনাকে একতরফা ও ইসরায়েলপন্থী বলে আখ্যা দিয়েছেন।
হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক পরিষদের উপপ্রধান মাহমুদ কোমাতি বলেছেন, লেবানন সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অপমানজনক। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো সরকার তাদের নিজেদের প্রতিরোধ শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় না, যখন শত্রু এখনো তার ভূমি দখল করে রেখেছে এবং প্রতিদিন আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণের শামিল।
তিনি আরও বলেন, যে সময় ইসরায়েল লেবাননের ভূমি দখলে রেখেছে, প্রতিদিন সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে, তখন প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে নিষ্ক্রিয় করার যে প্রস্তাব, তা লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া রূপরেখা অনুযায়ী হিজবুল্লাহসহ লেবাননের সব অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করার প্রস্তাবে আংশিক সায় দিয়েছে লেবানন সরকার। ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে ওয়াশিংটনের উদ্যোগে যে পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে, তার কিছু লক্ষ্যকে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বৈরুতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়। যদিও প্রস্তাবের পুরো কাঠামো নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বৈরুত।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের সেই অংশ অনুমোদন করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে—রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কারও হাতে অস্ত্র থাকার বৈধতা নেই। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে দেশটির ভেতরে-বাইরে জটিল চাপ কাজ করেছে বলেও মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত রূপরেখায় ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এর আওতায় হিজবুল্লাহসহ সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করা, ইসরায়েলি বাহিনীকে পাঁচটি সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া, লেবাননের জাতীয় বাহিনীকে সীমান্তে মোতায়েন করা, বন্দি বিনিময়ের জন্য কাঠামোগত আলোচনা শুরু এবং লেবানন-সিরিয়া ও লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।
এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সীমান্তে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং ইসরায়েল-লেবানন সংঘর্ষ পুনরাবৃত্তি ঠেকানো।
তবে এই আলোচনায় অংশ নেয়নি হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্র আমাল মুভমেন্টের মন্ত্রীরা। তারা বৈঠক বর্জন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনাকে একতরফা ও ইসরায়েলপন্থী বলে আখ্যা দিয়েছেন।
হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক পরিষদের উপপ্রধান মাহমুদ কোমাতি বলেছেন, লেবানন সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অপমানজনক। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো সরকার তাদের নিজেদের প্রতিরোধ শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় না, যখন শত্রু এখনো তার ভূমি দখল করে রেখেছে এবং প্রতিদিন আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণের শামিল।
তিনি আরও বলেন, যে সময় ইসরায়েল লেবাননের ভূমি দখলে রেখেছে, প্রতিদিন সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে, তখন প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে নিষ্ক্রিয় করার যে প্রস্তাব, তা লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।