ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অতিরিক্ত শুল্কের সমালোচনায় সরব হয়েছে চীন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি কটাক্ষ করে বলেছেন, “গুণ্ডাকে এক ইঞ্চি ছাড় দিলে, সে এক মাইল নিয়ে নেয়।”
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। একই পোস্টে তিনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র একটি বক্তব্যও জুড়ে দেন, যেখানে বলা হয়েছে—
> “অন্য দেশকে দমনে শুল্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন, ডব্লিউটিওর নিয়মের পরিপন্থী, এটি অজনপ্রিয় এবং মোটেই টেকসই নয়।”
ভারতের সঙ্গে চুক্তি ভেস্তে, শুল্ক দ্বিগুণ
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে ভারতের সঙ্গে দ্রুত বাণিজ্যচুক্তির প্রত্যাশা ছিল। তবে দেশটি কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত না করা এবং রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধে অনিচুক হওয়ায়, পাঁচ দফা আলোচনার পরও কোনো চুক্তি হয়নি।
এর জের ধরেই প্রথমে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় আরও ২৫ শতাংশ যুক্ত করে মোট ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
এরমধ্যে প্রথম ধাপের শুল্ক বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশ কার্যকর হবে ২৭ আগস্ট থেকে।
চীনকেও হুঁশিয়ারি
ভারতের পর এবার চীনকেও একই পরিণতির ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
> “হতে পারে। আমি জানি না। এখনই বলতে পারছি না। আমরা ভারতকে দিয়েছি। সম্ভবত আরও কয়েকটি দেশকে দেব— যার মধ্যে চীনও থাকতে পারে।”
রাশিয়ার তেলের তিন বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ হলো— ভারত, চীন এবং তুরস্ক। শুক্রবারের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ থামানো না গেলে, এসব দেশের ওপর পরোক্ষ শুল্ক চাপানো হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠকের সম্ভাবনা
চলতি বছরের শুরুতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যেখানে ওয়াশিংটন চীনা পণ্যে ১৪৫% পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছিল। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনও মার্কিন পণ্যে ১২৫% শুল্ক আরোপ করে কটাক্ষ করে বলেছিল,
> “যুক্তরাষ্ট্র যদি আরও শুল্ক বাড়ায়, তা অর্থনৈতিকভাবে অর্থহীন হয়ে পড়বে এবং বাণিজ্য ইতিহাসে তা হাস্যকর হয়ে থাকবে।”
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে বছরের শেষ দিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার কথাও কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) আসন্ন সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চীন সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
---
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫
ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অতিরিক্ত শুল্কের সমালোচনায় সরব হয়েছে চীন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি কটাক্ষ করে বলেছেন, “গুণ্ডাকে এক ইঞ্চি ছাড় দিলে, সে এক মাইল নিয়ে নেয়।”
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। একই পোস্টে তিনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র একটি বক্তব্যও জুড়ে দেন, যেখানে বলা হয়েছে—
> “অন্য দেশকে দমনে শুল্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন, ডব্লিউটিওর নিয়মের পরিপন্থী, এটি অজনপ্রিয় এবং মোটেই টেকসই নয়।”
ভারতের সঙ্গে চুক্তি ভেস্তে, শুল্ক দ্বিগুণ
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে ভারতের সঙ্গে দ্রুত বাণিজ্যচুক্তির প্রত্যাশা ছিল। তবে দেশটি কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত না করা এবং রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধে অনিচুক হওয়ায়, পাঁচ দফা আলোচনার পরও কোনো চুক্তি হয়নি।
এর জের ধরেই প্রথমে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় আরও ২৫ শতাংশ যুক্ত করে মোট ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
এরমধ্যে প্রথম ধাপের শুল্ক বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশ কার্যকর হবে ২৭ আগস্ট থেকে।
চীনকেও হুঁশিয়ারি
ভারতের পর এবার চীনকেও একই পরিণতির ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
> “হতে পারে। আমি জানি না। এখনই বলতে পারছি না। আমরা ভারতকে দিয়েছি। সম্ভবত আরও কয়েকটি দেশকে দেব— যার মধ্যে চীনও থাকতে পারে।”
রাশিয়ার তেলের তিন বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ হলো— ভারত, চীন এবং তুরস্ক। শুক্রবারের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ থামানো না গেলে, এসব দেশের ওপর পরোক্ষ শুল্ক চাপানো হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠকের সম্ভাবনা
চলতি বছরের শুরুতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কযুদ্ধ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যেখানে ওয়াশিংটন চীনা পণ্যে ১৪৫% পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছিল। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনও মার্কিন পণ্যে ১২৫% শুল্ক আরোপ করে কটাক্ষ করে বলেছিল,
> “যুক্তরাষ্ট্র যদি আরও শুল্ক বাড়ায়, তা অর্থনৈতিকভাবে অর্থহীন হয়ে পড়বে এবং বাণিজ্য ইতিহাসে তা হাস্যকর হয়ে থাকবে।”
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে বছরের শেষ দিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার কথাও কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) আসন্ন সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চীন সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
---