প্রতীকি ছবি (এআই দিয়ে তৈরি)
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা সম্ভব নয়।
ওভাল অফিসে দিল্লিভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক মন্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “না, যতক্ষণ না আমরা বিষয়টি মেটাতে পারছি।”
সম্প্রতি জারি করা এক নির্বাহী আদেশে হোয়াইট হাউস ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক আরোপ করে। আগের পাল্টা শুল্কসহ মোট হার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে। যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির মতো কর্মকাণ্ড জাতীয় নিরাপত্তার জন্য “গুরুতর হুমকি”।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, এই পদক্ষেপ “জরুরি অর্থনৈতিক প্রতিরক্ষা” হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, যা ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। তবে শিপমেন্টে থাকা বা কিছু নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির পণ্য এতে আপাতত অন্তর্ভুক্ত নয়।
হোয়াইট হাউস ট্রাম্পকে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগও রেখেছে—বিশেষ করে যদি ভারত পাল্টা পদক্ষেপ নেয় বা বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হয়।
ভারতের পাল্টা বার্তা
ওদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারত অর্থনৈতিক চাপে মাথা নোয়াবে না। কৃষক, জেলে ও দুগ্ধশিল্পের স্বার্থে আমরা আপস করব না।”
মোদি আরও জানান, “আমি জানি, এর জন্য বড় মূল্য দিতে হবে, আর আমি প্রস্তুত। ভারতও প্রস্তুত।”
ভারত বরাবরই কৃষি ও দুগ্ধশিল্পের মতো খাতকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত করতে অনাগ্রহী। কারণ, এতে দেশের বিপুল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা হুমকিতে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই অর্থনৈতিক শক্তির এই সংঘাত দীর্ঘমেয়াদে বিশ্ব বাণিজ্য প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে প্রযুক্তি, টেক্সটাইল, এবং কৃষিপণ্যের বাণিজ্যে নতুন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অবস্থায় দুই দেশের অনড় অবস্থান শিথিল না হলে, আলোচনার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
প্রতীকি ছবি (এআই দিয়ে তৈরি)
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা সম্ভব নয়।
ওভাল অফিসে দিল্লিভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক মন্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “না, যতক্ষণ না আমরা বিষয়টি মেটাতে পারছি।”
সম্প্রতি জারি করা এক নির্বাহী আদেশে হোয়াইট হাউস ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক আরোপ করে। আগের পাল্টা শুল্কসহ মোট হার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে। যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির মতো কর্মকাণ্ড জাতীয় নিরাপত্তার জন্য “গুরুতর হুমকি”।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, এই পদক্ষেপ “জরুরি অর্থনৈতিক প্রতিরক্ষা” হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, যা ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। তবে শিপমেন্টে থাকা বা কিছু নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির পণ্য এতে আপাতত অন্তর্ভুক্ত নয়।
হোয়াইট হাউস ট্রাম্পকে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগও রেখেছে—বিশেষ করে যদি ভারত পাল্টা পদক্ষেপ নেয় বা বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হয়।
ভারতের পাল্টা বার্তা
ওদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারত অর্থনৈতিক চাপে মাথা নোয়াবে না। কৃষক, জেলে ও দুগ্ধশিল্পের স্বার্থে আমরা আপস করব না।”
মোদি আরও জানান, “আমি জানি, এর জন্য বড় মূল্য দিতে হবে, আর আমি প্রস্তুত। ভারতও প্রস্তুত।”
ভারত বরাবরই কৃষি ও দুগ্ধশিল্পের মতো খাতকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত করতে অনাগ্রহী। কারণ, এতে দেশের বিপুল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা হুমকিতে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই অর্থনৈতিক শক্তির এই সংঘাত দীর্ঘমেয়াদে বিশ্ব বাণিজ্য প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে প্রযুক্তি, টেক্সটাইল, এবং কৃষিপণ্যের বাণিজ্যে নতুন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অবস্থায় দুই দেশের অনড় অবস্থান শিথিল না হলে, আলোচনার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।