আন্তর্জাতিক মহলে গাজা শহর দখলে ইসরায়েলের পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনাকে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না দেশটি। বরং নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। খবর- আল জাজিরা।
গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বনেতাদের সমালোচনা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘যেসব দেশ আমাদের নিন্দা করছে এবং নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে, তারা ইসরায়েলের সংকল্প “দুর্বল” করতে পারবে না।’
কাৎজ আরও বলেন, ‘শত্রুরা আমাদের শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ মুষ্টি নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখতে পাবে, যা তাদের ওপর প্রবল শক্তি দিয়ে আঘাত হানবে।’
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনাকে পুরো গাজা উপত্যকা দখলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে উপত্যকাটির প্রায় ৭৫ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল। গাজা সিটি দখলে নেওয়া হলে উপত্যকাটির প্রায় ৮৫ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে চলে যাবে। তবে ইসরায়েল এবারই যে প্রথমবারের মতো গাজা দখল করতে যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়।
এর আগে ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব-ইসরায়েলে যুদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপত্যকার সঙ্গে গাজাও দখল করেছিল ইসরায়েল। অন্যান্য অধিকৃত অঞ্চলের মতো গাজায় বসতি স্থাপন করা হয়েছিল। ৩৮ বছর পর ২০০৫ সালে গাজা থেকে বসতি ও সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল।
তবে ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের ফেলো ফিলিস বেনিসের মতে, ২০০৫ সালে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও দখলদারি কখনো শেষ হয়নি; বরং দখলের ধরন বদলেছে মাত্র।
‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং প্যালেস্টাইন অ্যান্ড ইসরায়েল’ বইয়ের লেখক ফিলিস বেনিস বলেন, ২০০৫ সালে ইসরায়েলি সেনাদের গাজার রাস্তায় থাকার বদলে উপত্যকাটির চারপাশে মোতায়েন করা হয়। যেখানে একটি সশস্ত্র প্রাচীরও তৈরি করা হয়েছে। ফিলিস আরও বলেন, সবকিছু আগের মতোই রয়ে গেছে। এখন যা নতুন তা হলো, বিপর্যস্ত ও অনাহারগ্রস্ত বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক হামলা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। তাই গাজা দখল নয়, পুনর্দখল করা হচ্ছে বলে মনে করেন ফিলিস বেনিস।
ইসরায়েলের গাজা সিটি দখলের প্রতিবাদে শনিবার জার্মানি, নরওয়ে, স্টকহোম, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা এবং মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার জরুরি বৈঠক ডেকেছে আরব লীগ।
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
আন্তর্জাতিক মহলে গাজা শহর দখলে ইসরায়েলের পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনাকে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না দেশটি। বরং নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। খবর- আল জাজিরা।
গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বনেতাদের সমালোচনা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘যেসব দেশ আমাদের নিন্দা করছে এবং নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে, তারা ইসরায়েলের সংকল্প “দুর্বল” করতে পারবে না।’
কাৎজ আরও বলেন, ‘শত্রুরা আমাদের শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ মুষ্টি নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখতে পাবে, যা তাদের ওপর প্রবল শক্তি দিয়ে আঘাত হানবে।’
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনাকে পুরো গাজা উপত্যকা দখলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে উপত্যকাটির প্রায় ৭৫ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল। গাজা সিটি দখলে নেওয়া হলে উপত্যকাটির প্রায় ৮৫ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে চলে যাবে। তবে ইসরায়েল এবারই যে প্রথমবারের মতো গাজা দখল করতে যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়।
এর আগে ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব-ইসরায়েলে যুদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপত্যকার সঙ্গে গাজাও দখল করেছিল ইসরায়েল। অন্যান্য অধিকৃত অঞ্চলের মতো গাজায় বসতি স্থাপন করা হয়েছিল। ৩৮ বছর পর ২০০৫ সালে গাজা থেকে বসতি ও সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল।
তবে ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের ফেলো ফিলিস বেনিসের মতে, ২০০৫ সালে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও দখলদারি কখনো শেষ হয়নি; বরং দখলের ধরন বদলেছে মাত্র।
‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং প্যালেস্টাইন অ্যান্ড ইসরায়েল’ বইয়ের লেখক ফিলিস বেনিস বলেন, ২০০৫ সালে ইসরায়েলি সেনাদের গাজার রাস্তায় থাকার বদলে উপত্যকাটির চারপাশে মোতায়েন করা হয়। যেখানে একটি সশস্ত্র প্রাচীরও তৈরি করা হয়েছে। ফিলিস আরও বলেন, সবকিছু আগের মতোই রয়ে গেছে। এখন যা নতুন তা হলো, বিপর্যস্ত ও অনাহারগ্রস্ত বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক হামলা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। তাই গাজা দখল নয়, পুনর্দখল করা হচ্ছে বলে মনে করেন ফিলিস বেনিস।
ইসরায়েলের গাজা সিটি দখলের প্রতিবাদে শনিবার জার্মানি, নরওয়ে, স্টকহোম, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা এবং মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার জরুরি বৈঠক ডেকেছে আরব লীগ।