ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
ইসরায়েলের উগ্রবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।সোমবার ক্যানবেরায় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙতে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই মানবতার সেরা আশা। অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ‘সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ’।
তবে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না বলেও স্পষ্ট করেছে অস্ট্রেলিয়া। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘হতাশার মধ্য থেকে আশা তৈরি করার সুযোগ পেয়েছে’।
অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের সাম্প্রতিক অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইউরোপের এসব দেশও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে।
নিউজিল্যান্ডও একই ধরনের পদক্ষেপ বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলি ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়ে দাবি করেছেন, এটি শান্তির পরিবর্তে যুদ্ধ বয়ে আনবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল ও জায়োনিস্ট ফেডারেশনও সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এটি হামাসকে উৎসাহিত করবে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও অধিকাংশ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশ সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত এই স্বীকৃতি থেকে বিরত ছিল।
ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
ইসরায়েলের উগ্রবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।সোমবার ক্যানবেরায় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙতে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই মানবতার সেরা আশা। অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ‘সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ’।
তবে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না বলেও স্পষ্ট করেছে অস্ট্রেলিয়া। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ‘হতাশার মধ্য থেকে আশা তৈরি করার সুযোগ পেয়েছে’।
অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের সাম্প্রতিক অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইউরোপের এসব দেশও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে।
নিউজিল্যান্ডও একই ধরনের পদক্ষেপ বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলি ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়ে দাবি করেছেন, এটি শান্তির পরিবর্তে যুদ্ধ বয়ে আনবে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল ও জায়োনিস্ট ফেডারেশনও সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এটি হামাসকে উৎসাহিত করবে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও অধিকাংশ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশ সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত এই স্বীকৃতি থেকে বিরত ছিল।