ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা -এএফপি
নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের মধ্যে সই হয় ওসলো চুক্তি। মধ্যস্থতায় ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে গোপন আলোচনার ভিত্তিতে দুই দেশ এ সমঝোতায় সম্মত হয়। এতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি পৃথক রাষ্ট্র স্বীকৃতির প্রসঙ্গ ছিল। এ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপের চুক্তি হয় ১৯৯৫ সালে মিসরের তাবা শহরে। সারাবিশ্বের মানুষ আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতির দিকে।
কিন্তু ওই বছরই ইসরায়েলের কট্টরপন্থিদের হাতে খুন হন আইজ্যাক রবিন। ৯ বছর পর রহস্যজনকভাবে মারা যান ইয়াসির আরাফাতও। মৃত্যুর পর আরাফাতের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী স্ত্রী সোহা দাবি করেন, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ দুই নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানকে অনেক দূরে ঠেলে দেয়। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নিপীড়ন বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে পশ্চিম তীর থেকে তাদের বিতাড়ন করার পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া জোরালো হতে শুরু করে। বিস্তীর্ণ এলাকা অবৈধভাবে দখল করে সেখানে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে, যা এখনও এক চলমান প্রক্রিয়া। ফিলিস্তিন এখনও স্বাধীনতার মুখ দেখেনি।
পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা নিয়ে ১৯৬৭ সালে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মানচিত্র দিয়েছিল জাতিসংঘ, যা উপেক্ষা করে দখলদারিত্ব বাড়াতে থাকে ইসরায়েল। তারপর একে একে বিশ্বের নানা দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ, মোড়ল দেশগুলো ফিলিস্তিনের পাশে ছিল না। কিন্তু এবার চিত্র পাল্টে যাওয়ার উপক্রম। ইসরায়েল পশ্চিমা অনেক দেশের বারণ অমান্য করে গাজায় যে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, তা ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল পাল্টে যাচ্ছে বৈশ্বিক সমীকরণ।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। তাদের পথে হাঁটার আভাস দিয়েছে নিউজিল্যান্ডও। এ দেশগুলো স্বীকৃতি দিলে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে একমাত্র ?যুক্তরাষ্ট্রের বাকি থাকবে। প্রশ্ন হলো এ দেশগুলোর স্বীকৃতিই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বানাতে পারবে? দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে রেখেছে। অধিকাংশই ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিন জাতীয় কাউন্সিল ঘোষণার পর স্বীকৃতি দেয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রভাবশালী দেশগুলোর স্বীকৃতি ঘোষণার পেছনে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের ওপর গভীর হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য। ফ্রান্স ও ব্রিটেন স্বীকৃতি দিলে কেবল যুক্তরাষ্ট্রই অবশিষ্ট থাকবে। বিবিসি জানায়, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ঘোষণা দেন, আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর) তার দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। নিউজিল্যান্ডও স্বীকৃতির বিষয়ে ভাবছে। সেপ্টেম্বরে দেশটির মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টার পিটারস।
এদিকে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ও কামান থেকে চালানো হামলায় তছনছ হচ্ছে গাজা সিটির উত্তরাঞ্চল। রাতভর অঞ্চলটি কেঁপে কেঁপে উঠছে বিস্ফোরণের শব্দে। গত সোমবার রাতে সেখানে হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আর গতকাল মঙ্গলবার থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকাজুড়ে হত্যা করা হয়েছে ৮৯ ফিলিস্তিনিকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছিল। জুলাইয়ের শেষ দিকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে আলোচনা থেকে সরে যায় দুই পক্ষ। এরপর গাজা সিটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরিকল্পনা করে ইসরায়েল সরকার। তখন থেকেই সেখানে তীব্র হামলা চলছে। কত দিন এই হামলা চলবে, তা স্পষ্ট করেনি ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮৯ জনের মধ্যে ৩১ জন ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ৫১৩ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৫৯৯ জনে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
হতাহত ফিলিস্তিনিদের প্রায় সবাই বেসামরিক মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শী ও চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে গাজা সিটির জাইতুন এলাকায় দুটি বাড়ি ও মধ্যাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১১ জন নিহত হন। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি বাড়িতে হামলায় এক শিশু ও তার মা-বাবাসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। মাওয়াসি উপকূলে নিহত হয়েছেন চারজন।
তবে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, গাজার বেসামরিক মানুষের হতাহত হওয়ার সংখ্যা যতটা সম্ভব কমাতে চাচ্ছে তারা। বুধবার (১৩-০৮-২০২৫) তারা বলেছে, আগের মাসে উত্তর গাজায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এরই মধ্যে আগামী অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজাজুড়ে সামরিক নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা -এএফপি
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের মধ্যে সই হয় ওসলো চুক্তি। মধ্যস্থতায় ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে গোপন আলোচনার ভিত্তিতে দুই দেশ এ সমঝোতায় সম্মত হয়। এতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি পৃথক রাষ্ট্র স্বীকৃতির প্রসঙ্গ ছিল। এ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপের চুক্তি হয় ১৯৯৫ সালে মিসরের তাবা শহরে। সারাবিশ্বের মানুষ আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতির দিকে।
কিন্তু ওই বছরই ইসরায়েলের কট্টরপন্থিদের হাতে খুন হন আইজ্যাক রবিন। ৯ বছর পর রহস্যজনকভাবে মারা যান ইয়াসির আরাফাতও। মৃত্যুর পর আরাফাতের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী স্ত্রী সোহা দাবি করেন, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ দুই নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানকে অনেক দূরে ঠেলে দেয়। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নিপীড়ন বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে পশ্চিম তীর থেকে তাদের বিতাড়ন করার পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া জোরালো হতে শুরু করে। বিস্তীর্ণ এলাকা অবৈধভাবে দখল করে সেখানে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে, যা এখনও এক চলমান প্রক্রিয়া। ফিলিস্তিন এখনও স্বাধীনতার মুখ দেখেনি।
পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা নিয়ে ১৯৬৭ সালে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মানচিত্র দিয়েছিল জাতিসংঘ, যা উপেক্ষা করে দখলদারিত্ব বাড়াতে থাকে ইসরায়েল। তারপর একে একে বিশ্বের নানা দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ, মোড়ল দেশগুলো ফিলিস্তিনের পাশে ছিল না। কিন্তু এবার চিত্র পাল্টে যাওয়ার উপক্রম। ইসরায়েল পশ্চিমা অনেক দেশের বারণ অমান্য করে গাজায় যে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, তা ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল পাল্টে যাচ্ছে বৈশ্বিক সমীকরণ।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। তাদের পথে হাঁটার আভাস দিয়েছে নিউজিল্যান্ডও। এ দেশগুলো স্বীকৃতি দিলে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে একমাত্র ?যুক্তরাষ্ট্রের বাকি থাকবে। প্রশ্ন হলো এ দেশগুলোর স্বীকৃতিই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বানাতে পারবে? দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে রেখেছে। অধিকাংশই ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিন জাতীয় কাউন্সিল ঘোষণার পর স্বীকৃতি দেয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রভাবশালী দেশগুলোর স্বীকৃতি ঘোষণার পেছনে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের ওপর গভীর হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য। ফ্রান্স ও ব্রিটেন স্বীকৃতি দিলে কেবল যুক্তরাষ্ট্রই অবশিষ্ট থাকবে। বিবিসি জানায়, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ঘোষণা দেন, আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর) তার দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। নিউজিল্যান্ডও স্বীকৃতির বিষয়ে ভাবছে। সেপ্টেম্বরে দেশটির মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টার পিটারস।
এদিকে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ও কামান থেকে চালানো হামলায় তছনছ হচ্ছে গাজা সিটির উত্তরাঞ্চল। রাতভর অঞ্চলটি কেঁপে কেঁপে উঠছে বিস্ফোরণের শব্দে। গত সোমবার রাতে সেখানে হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আর গতকাল মঙ্গলবার থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকাজুড়ে হত্যা করা হয়েছে ৮৯ ফিলিস্তিনিকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছিল। জুলাইয়ের শেষ দিকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে আলোচনা থেকে সরে যায় দুই পক্ষ। এরপর গাজা সিটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরিকল্পনা করে ইসরায়েল সরকার। তখন থেকেই সেখানে তীব্র হামলা চলছে। কত দিন এই হামলা চলবে, তা স্পষ্ট করেনি ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮৯ জনের মধ্যে ৩১ জন ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ৫১৩ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৫৯৯ জনে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
হতাহত ফিলিস্তিনিদের প্রায় সবাই বেসামরিক মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শী ও চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে গাজা সিটির জাইতুন এলাকায় দুটি বাড়ি ও মধ্যাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১১ জন নিহত হন। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি বাড়িতে হামলায় এক শিশু ও তার মা-বাবাসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। মাওয়াসি উপকূলে নিহত হয়েছেন চারজন।
তবে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, গাজার বেসামরিক মানুষের হতাহত হওয়ার সংখ্যা যতটা সম্ভব কমাতে চাচ্ছে তারা। বুধবার (১৩-০৮-২০২৫) তারা বলেছে, আগের মাসে উত্তর গাজায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এরই মধ্যে আগামী অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজাজুড়ে সামরিক নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।