ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জয়ী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) প্যাট্রিয়ট ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের আগে এমন মন্তব্য করলেন অরবান।
২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অরবান রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বিরোধিতা করায় ইউরোপের কয়েকজন নেতার সমালোচনার মুখে রয়েছেন। এদিকে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা সামলাতে তার সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জেও লড়ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরও পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন অরবান। গত সোমবার তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র নেতা হিসেবে একটি যৌথ বিবৃতিতে সই করেননি, যেখানে বলা হয়েছিল—ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
অরবান বলেন, ‘আমরা এমনভাবে কথা বলছি যেন যুদ্ধ এখনো চলছে; কিন্তু তা নয়। ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধে হেরেছে, রাশিয়া জয়ী হয়েছে। এখন শুধু প্রশ্ন—পশ্চিমারা কবে এবং কোন পরিস্থিতিতে এ বাস্তবতা স্বীকার করবে এবং এর ফল কী হবে।’ হাঙ্গেরি তার জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে এবং ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানেরও তীব্র বিরোধিতা করছেন অরবান। তার যুক্তি, এতে হাঙ্গেরির কৃষি খাত ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অরবান আরও বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে ইউরোপ পুতিনের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ হারিয়েছে। এখন ইউরোপের ভবিষ্যৎ তাদের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্ধারিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আপনি যদি আলোচনার টেবিলে না থাকেন, তবে আপনি মেনুতে থাকবেন।’ ইউক্রেন নিয়ে ইইউর যৌথ বিবৃতি আংশিকভাবে প্রত্যাখ্যান করার কারণ হিসেবে অরবান জানান, এতে ইউরোপকে ‘হাস্যকর ও করুণ’ দেখাচ্ছে।
অরবান ব্যাখ্যা করেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতারা বৈঠকে বসবেন আর আপনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না, তখন বাইরে থেকে চিৎকার করে কোনো লাভ হবে না। বড় কোনো রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে ইউরোপ যদি অংশ নিতে না পারে, তবে কেবল সেই সিদ্ধান্তের শিকারই হবে।’ ইউক্রেন যুদ্ধে
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জয়ী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) প্যাট্রিয়ট ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের আগে এমন মন্তব্য করলেন অরবান।
২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অরবান রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বিরোধিতা করায় ইউরোপের কয়েকজন নেতার সমালোচনার মুখে রয়েছেন। এদিকে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা সামলাতে তার সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জেও লড়ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পরও পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন অরবান। গত সোমবার তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র নেতা হিসেবে একটি যৌথ বিবৃতিতে সই করেননি, যেখানে বলা হয়েছিল—ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
অরবান বলেন, ‘আমরা এমনভাবে কথা বলছি যেন যুদ্ধ এখনো চলছে; কিন্তু তা নয়। ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধে হেরেছে, রাশিয়া জয়ী হয়েছে। এখন শুধু প্রশ্ন—পশ্চিমারা কবে এবং কোন পরিস্থিতিতে এ বাস্তবতা স্বীকার করবে এবং এর ফল কী হবে।’ হাঙ্গেরি তার জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে এবং ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানেরও তীব্র বিরোধিতা করছেন অরবান। তার যুক্তি, এতে হাঙ্গেরির কৃষি খাত ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অরবান আরও বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে ইউরোপ পুতিনের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ হারিয়েছে। এখন ইউরোপের ভবিষ্যৎ তাদের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্ধারিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আপনি যদি আলোচনার টেবিলে না থাকেন, তবে আপনি মেনুতে থাকবেন।’ ইউক্রেন নিয়ে ইইউর যৌথ বিবৃতি আংশিকভাবে প্রত্যাখ্যান করার কারণ হিসেবে অরবান জানান, এতে ইউরোপকে ‘হাস্যকর ও করুণ’ দেখাচ্ছে।
অরবান ব্যাখ্যা করেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতারা বৈঠকে বসবেন আর আপনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না, তখন বাইরে থেকে চিৎকার করে কোনো লাভ হবে না। বড় কোনো রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে ইউরোপ যদি অংশ নিতে না পারে, তবে কেবল সেই সিদ্ধান্তের শিকারই হবে।’ ইউক্রেন যুদ্ধে