ফিলিস্তিনের গাজায় অভিযানের পরিসর আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এবার গাজার সবচেয়ে বড় শহর গাজা নগরী দখলে নিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এই নগরীর প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দার জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতিমধ্যে পূর্বাঞ্চল থেকে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আকাশে ড্রোন ও বিমান হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে, আর দক্ষিণ দিকের তাল আল-হাওয়া এলাকা দিয়ে এগিয়ে আসছে ট্যাংক।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ১২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ত্রাণ নিতে যাওয়া ২১ ক্ষুধার্ত মানুষও রয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪৩৭ জন। একই সময়ে খাবারের অভাবে মারা গেছেন আটজন, যাঁদের মধ্যে তিনজন শিশু। অবরোধ শুরুর পর থেকে অনাহারে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৫ জন ফিলিস্তিনি, এর মধ্যে ১০৬ শিশু।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুধবার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় নতুন অভিযানের রূপরেখা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির এ পরিকল্পনায় সই করেছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার কবে নাগাদ সেনারা গাজা নগরীতে প্রবেশ করবেন, তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি। তবে গাজার গণমাধ্যম দপ্তরের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-ছাওয়াবতা বলেন, দখলদার বাহিনী ইতিমধ্যে আগ্রাসী অনুপ্রবেশ চালিয়ে যাচ্ছে।
২২ মাস ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ সময়ের মধ্যে অধিকাংশ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং দফায় দফায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ। বর্তমানে প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছেন গাজা নগরীতে। গণমাধ্যম দপ্তরের মহাপরিচালক অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের এসব হামলা ‘পোড়া মাটি নীতি’ অনুসরণ করে বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংসের মাধ্যমে নতুন পরিস্থিতি তৈরির মারাত্মক উসকানির অংশ।
তাল আল-হাওয়া এলাকার বাসিন্দা সাবাহ ফাতোম (৫১) বলেন, “অনেক বিমান হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। দক্ষিণ দিক থেকে ট্যাংক এগিয়ে আসছে, আকাশে ড্রোন উড়ছে। বহু মানুষ বাড়িঘর ও তাঁবু ছেড়ে শহরের পশ্চিম দিকে ছুটছেন।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৭২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং দেড় লাখের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজায় অভিযানের পরিসর আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এবার গাজার সবচেয়ে বড় শহর গাজা নগরী দখলে নিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এই নগরীর প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দার জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতিমধ্যে পূর্বাঞ্চল থেকে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। আকাশে ড্রোন ও বিমান হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে, আর দক্ষিণ দিকের তাল আল-হাওয়া এলাকা দিয়ে এগিয়ে আসছে ট্যাংক।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ১২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ত্রাণ নিতে যাওয়া ২১ ক্ষুধার্ত মানুষও রয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪৩৭ জন। একই সময়ে খাবারের অভাবে মারা গেছেন আটজন, যাঁদের মধ্যে তিনজন শিশু। অবরোধ শুরুর পর থেকে অনাহারে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৫ জন ফিলিস্তিনি, এর মধ্যে ১০৬ শিশু।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুধবার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় নতুন অভিযানের রূপরেখা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির এ পরিকল্পনায় সই করেছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার কবে নাগাদ সেনারা গাজা নগরীতে প্রবেশ করবেন, তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি। তবে গাজার গণমাধ্যম দপ্তরের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-ছাওয়াবতা বলেন, দখলদার বাহিনী ইতিমধ্যে আগ্রাসী অনুপ্রবেশ চালিয়ে যাচ্ছে।
২২ মাস ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ সময়ের মধ্যে অধিকাংশ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং দফায় দফায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ। বর্তমানে প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছেন গাজা নগরীতে। গণমাধ্যম দপ্তরের মহাপরিচালক অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের এসব হামলা ‘পোড়া মাটি নীতি’ অনুসরণ করে বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংসের মাধ্যমে নতুন পরিস্থিতি তৈরির মারাত্মক উসকানির অংশ।
তাল আল-হাওয়া এলাকার বাসিন্দা সাবাহ ফাতোম (৫১) বলেন, “অনেক বিমান হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। দক্ষিণ দিক থেকে ট্যাংক এগিয়ে আসছে, আকাশে ড্রোন উড়ছে। বহু মানুষ বাড়িঘর ও তাঁবু ছেড়ে শহরের পশ্চিম দিকে ছুটছেন।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৭২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং দেড় লাখের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।