গাজা নগরীতে অভিযান চালাতে সীমান্তে ট্যাংক নিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের প্রস্তুতি -এএফপি
ইসরায়েলি বাহিনী পুরো গাজা দখলের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। গাজা দখল অভিযানের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক না হলেও অবিরাম বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। আবাসিক এলাকাগুলোতে তিন দিন ধরে ব্যাপক হামলা চলছে। বাসিন্দাদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের জোর করে দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করছে ইসরায়েল।
যুক্তরাজ্য, ইইউ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপানসহ ২৬ দেশ এক বিবৃতিতে যুদ্ধ বন্ধ করে অনাহার নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে। দেশগুলো নেতানিয়াহুকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে বিরত রাখার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছে। বিপরীতে নেতানিয়াহুর বাহিনী হামলা জোরদার করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির গাজা দখলের জন্য আসন্ন বড় হামলার রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ ত্রাণপ্রার্থীসহ কমপক্ষে ১২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অপুষ্টিতে মৃত্যু হযেছে আরও আটজনের। এতে ১০৬ শিশুসহ ক্ষুধায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৩৫-এ দাঁড়িয়েছে। হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭২২ জন নিহত এবং এক লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ জন আহত হয়েছেন।
গাজা শহর দখল ও ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিসর পৌঁছেছে। হামাসের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী পুরো শহর দখলের জন্য অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা গাজার শাসন ব্যবস্থা ত্যাগ করতে রাজি, তবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে তারা তাদের অস্ত্র ত্যাগ করবে না। অন্যদিকে গাজা সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক ও আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গাজায় শুধু মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষই নয়, বরং একটি গণহত্যাও চলছে।’
গাজার বাসিন্দা মাজেদ আল-হোসারি বলেন, তারা আকাশ থেকে অবিরাম বোমা হামলার শিকার হচ্ছেন। প্রতিটি হামলার সঙ্গে মাটি কাঁপছে। ২৫ বছর বয়সী আমর সালাহ রয়টার্সকে বলেন, মনে হচ্ছে দখলদার বাহিনী নতুন করে যুদ্ধ জোরদার করেছে। পূর্ব গাজার কিছু রাস্তায় বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।অন্যদিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করছে ইসরায়েল। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করে দিয়েছে, এই পদক্ষেপ জাতিগত নির্মূলের সমতুল্য। তাদের আশঙ্কা, একবার যাদের পাঠানো হবে, তাদের গাজায় হয়তো ফিরতে দেওয়া হবে না।
ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ চার স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এক বিবৃতিতে হুতিরা জানিয়েছে, তারা হাইফা, নেগেভ, উম্মে আল-রাশরাশ এবং বেয়ারশেবাতে ইসরায়েলের স্থাপনা লক্ষ্য করে চারটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
মাক্কাবি হেলথকেয়ার সার্ভিসেস নামের এক প্রতিষ্ঠানের জরিপে বলা হয়েছে, যুদ্ধ-সংঘাত ইসরায়েলিদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এক হাজারেরও বেশি রোগীর ওপর জরিপ চালায় সংগঠনটি। জরিপে ঘুম না হওয়া, শারীরিক দুর্বলতা, আতঙ্ক, উদ্বেগ, অবসাদ ও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত এক হাজার ১০০ ইসরায়েলি। ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানান, তারা প্রয়োজন মতো ঘুমাতে পারছেন না।
মার্কিন শিশু বিশেষজ্ঞ ইউসুফ গাজাকে একটি মৃত্যুফাঁদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, গাজা শহর একটি খাঁচা, যেখানে মানুষকে মৃত্যুর জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, এক দিনে কতজনকে হত্যা করা হবে তা হয়তো নির্দিষ্ট করে রাখা আছে। তিনি জর্দান থেকে আলজাজিরাকে বলেন, গাজায় কিছুদিন আগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রায় প্রতিদিনই জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে ক্ষুধার্তদের ওপর হামলা হতে দেখেছেন তিনি।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় অভিযানের পরিসর আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এবার গাজা নগরী দখলে নিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এই নগরীর ১০ লাখ বাসিন্দার জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতিমধ্যে গাজা নগরীর পূর্বাঞ্চল থেকে বাসিন্দারা বাড়িঘর ছাড়তে শুরু করেছেন। বিমান হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে, তাল আল-হাওয়ার দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে এগিয়ে আসছে ট্যাংক। ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ত্রাণ নিতে যাওয়া ২১ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিও রয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বুধবার বলেছে, তারা গাজা উপত্যকায় নতুন অভিযানের রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছে। গাজার সবচেয়ে বড় নগরী দখলে নিতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার আহ্বান জানানোর কয়েক দিন পর সামরিক বাহিনী নতুন এ অভিযান অনুমোদন করল। সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আভিযানিক পরিকল্পনার মূল রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির।
কবে নাগাদ ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীতে প্রবেশ করবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা জানায়নি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার। তবে গাজার গণমাধ্যম দপ্তরের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-ছাওয়াবতা বুধবার বলেন, গাজা নগরীতে আগ্রাসী অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজা নগরীতে অভিযান চালাতে সীমান্তে ট্যাংক নিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের প্রস্তুতি -এএফপি
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
ইসরায়েলি বাহিনী পুরো গাজা দখলের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। গাজা দখল অভিযানের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক না হলেও অবিরাম বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। আবাসিক এলাকাগুলোতে তিন দিন ধরে ব্যাপক হামলা চলছে। বাসিন্দাদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের জোর করে দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করছে ইসরায়েল।
যুক্তরাজ্য, ইইউ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপানসহ ২৬ দেশ এক বিবৃতিতে যুদ্ধ বন্ধ করে অনাহার নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে। দেশগুলো নেতানিয়াহুকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে বিরত রাখার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছে। বিপরীতে নেতানিয়াহুর বাহিনী হামলা জোরদার করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির গাজা দখলের জন্য আসন্ন বড় হামলার রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ ত্রাণপ্রার্থীসহ কমপক্ষে ১২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অপুষ্টিতে মৃত্যু হযেছে আরও আটজনের। এতে ১০৬ শিশুসহ ক্ষুধায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৩৫-এ দাঁড়িয়েছে। হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭২২ জন নিহত এবং এক লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ জন আহত হয়েছেন।
গাজা শহর দখল ও ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধি দল মিসর পৌঁছেছে। হামাসের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী পুরো শহর দখলের জন্য অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা গাজার শাসন ব্যবস্থা ত্যাগ করতে রাজি, তবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে তারা তাদের অস্ত্র ত্যাগ করবে না। অন্যদিকে গাজা সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক ও আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গাজায় শুধু মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষই নয়, বরং একটি গণহত্যাও চলছে।’
গাজার বাসিন্দা মাজেদ আল-হোসারি বলেন, তারা আকাশ থেকে অবিরাম বোমা হামলার শিকার হচ্ছেন। প্রতিটি হামলার সঙ্গে মাটি কাঁপছে। ২৫ বছর বয়সী আমর সালাহ রয়টার্সকে বলেন, মনে হচ্ছে দখলদার বাহিনী নতুন করে যুদ্ধ জোরদার করেছে। পূর্ব গাজার কিছু রাস্তায় বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।অন্যদিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করছে ইসরায়েল। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করে দিয়েছে, এই পদক্ষেপ জাতিগত নির্মূলের সমতুল্য। তাদের আশঙ্কা, একবার যাদের পাঠানো হবে, তাদের গাজায় হয়তো ফিরতে দেওয়া হবে না।
ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ চার স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এক বিবৃতিতে হুতিরা জানিয়েছে, তারা হাইফা, নেগেভ, উম্মে আল-রাশরাশ এবং বেয়ারশেবাতে ইসরায়েলের স্থাপনা লক্ষ্য করে চারটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
মাক্কাবি হেলথকেয়ার সার্ভিসেস নামের এক প্রতিষ্ঠানের জরিপে বলা হয়েছে, যুদ্ধ-সংঘাত ইসরায়েলিদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এক হাজারেরও বেশি রোগীর ওপর জরিপ চালায় সংগঠনটি। জরিপে ঘুম না হওয়া, শারীরিক দুর্বলতা, আতঙ্ক, উদ্বেগ, অবসাদ ও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত এক হাজার ১০০ ইসরায়েলি। ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানান, তারা প্রয়োজন মতো ঘুমাতে পারছেন না।
মার্কিন শিশু বিশেষজ্ঞ ইউসুফ গাজাকে একটি মৃত্যুফাঁদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, গাজা শহর একটি খাঁচা, যেখানে মানুষকে মৃত্যুর জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, এক দিনে কতজনকে হত্যা করা হবে তা হয়তো নির্দিষ্ট করে রাখা আছে। তিনি জর্দান থেকে আলজাজিরাকে বলেন, গাজায় কিছুদিন আগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রায় প্রতিদিনই জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে ক্ষুধার্তদের ওপর হামলা হতে দেখেছেন তিনি।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় অভিযানের পরিসর আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এবার গাজা নগরী দখলে নিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এই নগরীর ১০ লাখ বাসিন্দার জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতিমধ্যে গাজা নগরীর পূর্বাঞ্চল থেকে বাসিন্দারা বাড়িঘর ছাড়তে শুরু করেছেন। বিমান হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে, তাল আল-হাওয়ার দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে এগিয়ে আসছে ট্যাংক। ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৩ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ত্রাণ নিতে যাওয়া ২১ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিও রয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বুধবার বলেছে, তারা গাজা উপত্যকায় নতুন অভিযানের রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছে। গাজার সবচেয়ে বড় নগরী দখলে নিতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার আহ্বান জানানোর কয়েক দিন পর সামরিক বাহিনী নতুন এ অভিযান অনুমোদন করল। সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আভিযানিক পরিকল্পনার মূল রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির।
কবে নাগাদ ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীতে প্রবেশ করবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা জানায়নি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার। তবে গাজার গণমাধ্যম দপ্তরের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-ছাওয়াবতা বুধবার বলেন, গাজা নগরীতে আগ্রাসী অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।