ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ পশ্চিম তীরে দীর্ঘদিন আটকে থাকা বিতর্কিত ‘ই-ওয়ান’ বসতি প্রকল্পের নির্মাণ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর দ্বিধাবিভক্ত হবে এবং পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে, যা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মা’আলে আদুমিম এলাকায় বসতি স্থলের সামনে দাঁড়িয়ে স্মতরিচ বলেন, “যারা আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারা আমাদের জবাব মাঠে পাবে, কাগজে নয়, বাস্তবতায়।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা কার্যকর হলে ওই এলাকায় ইসরায়েলিদের জন্য ৩৪০১টি বাড়ি নির্মিত হবে। স্মতরিচের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্মতিতেই প্রকল্পটি পুনরায় শুরু হচ্ছে।
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা দেশগুলো প্রকল্পটি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, “এটি দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা শেষ করবে। বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী এবং দখলদারিত্বকে আরও গভীর করবে।”
ইসরায়েল ২০১২ ও ২০২০ সালে দুইবার ‘ই-ওয়ান’ প্রকল্প ঘোষণা করেও তা স্থগিত করেছিল। এবার কাজ শুরু হলে কয়েক মাসের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হবে এবং এক বছরের মধ্যে সেখানে ঘরবাড়ি তৈরি হবে, ধারণা পর্যবেক্ষক সংস্থা পিস নাও-র।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র আনিতা হিপার বলেন, “পক্ষগুলোর রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া ভূখণ্ড পরিবর্তন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।”
২০২৩ সালের হামাসের হামলার পর পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ২৭ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে বসবাস করছেন। যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গত জুনে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে স্মতরিচসহ দুই ডানপন্থি মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ পশ্চিম তীরে দীর্ঘদিন আটকে থাকা বিতর্কিত ‘ই-ওয়ান’ বসতি প্রকল্পের নির্মাণ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর দ্বিধাবিভক্ত হবে এবং পূর্ব জেরুজালেমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে, যা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মা’আলে আদুমিম এলাকায় বসতি স্থলের সামনে দাঁড়িয়ে স্মতরিচ বলেন, “যারা আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারা আমাদের জবাব মাঠে পাবে, কাগজে নয়, বাস্তবতায়।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা কার্যকর হলে ওই এলাকায় ইসরায়েলিদের জন্য ৩৪০১টি বাড়ি নির্মিত হবে। স্মতরিচের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্মতিতেই প্রকল্পটি পুনরায় শুরু হচ্ছে।
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা দেশগুলো প্রকল্পটি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, “এটি দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা শেষ করবে। বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী এবং দখলদারিত্বকে আরও গভীর করবে।”
ইসরায়েল ২০১২ ও ২০২০ সালে দুইবার ‘ই-ওয়ান’ প্রকল্প ঘোষণা করেও তা স্থগিত করেছিল। এবার কাজ শুরু হলে কয়েক মাসের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হবে এবং এক বছরের মধ্যে সেখানে ঘরবাড়ি তৈরি হবে, ধারণা পর্যবেক্ষক সংস্থা পিস নাও-র।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র আনিতা হিপার বলেন, “পক্ষগুলোর রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া ভূখণ্ড পরিবর্তন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।”
২০২৩ সালের হামাসের হামলার পর পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ২৭ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে বসবাস করছেন। যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গত জুনে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে স্মতরিচসহ দুই ডানপন্থি মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।