ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বেজালেল স্মোট্রিচ অধিকৃত পশ্চিম তীরে চার হাজার ৩০টি নতুন আবাসন ইউনিট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন। ইসরায়েলি বসতিবিরোধী পর্যবেক্ষক সংস্থা পিস নাউ জানিয়েছে, ৭৩০টি বিদ্যমান ইসরায়েলি বসতি আরিয়েলের পশ্চিমে অবস্থিত এবং তিন হাজার ৩০০টি নতুন মা’আলে আদুমিমপাড়ায় অনুমোদিত হয়েছে। খবর আলজাজিরা।
বৃহস্পতিবার বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, তিনি নতুন বসতি প্রকল্পের জন্য বাড়ি নির্মাণের দরপত্র অনুমোদন করবেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেরুজালেম এবং ইসরায়েলি বসতি মা’আলে আদুমিমের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, এই বাস্তবতা শেষ পর্যন্ত একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে কবর দিচ্ছে। কারণ এমন কিছু নেই, যা স্বীকৃতি পাবে। এমন কেউ নেই, যাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। পৃথিবীর যেই আজ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করবে, সে আমাদের কাছ থেকে মাটিতেই তার জবাব পাবে। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নতুন বসতি পরিকল্পনাকে গণহত্যা, বাস্তুচ্যুতি এবং দখলদারিত্বের সম্প্রসারণ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা এই পরিকল্পনাকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিধ্বনি বলে উল্লেখ করেছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এই বসতিগুলো ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। পরিকল্পিত এই বসতি কার্যকরভাবে অধিকৃত পশ্চিম তীরকে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে বিভক্ত করবে। ফলে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে বেথলেহেম এবং রামাল্লার মতো প্রধান শহরগুলোর সঙ্গে সংযুক্তকারী সংলগ্ন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এর আগেও ইসরায়েল ওই স্থানে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। ২০২২ সালে এই পরিকল্পনা স্থগিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের চাপে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি সরকার এই এলাকায় রাস্তা প্রশস্ত করার প্রকল্প অনুমোদন করেছে। সেখানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে। মা’আলে আদুমিমের মেয়র গাই ইফ্রাচ নতুন বসতিটির প্রশংসা করে বলেছেন, এটি মা’আলে আদুমিমকে জেরুজালেমের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ফিলিস্তিনিরা এখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করেছিল। এই প্রকল্প সে চেষ্টাকে ব্যর্থ করবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
বেজালেল স্মোট্রিচ অধিকৃত পশ্চিম তীরে চার হাজার ৩০টি নতুন আবাসন ইউনিট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন। ইসরায়েলি বসতিবিরোধী পর্যবেক্ষক সংস্থা পিস নাউ জানিয়েছে, ৭৩০টি বিদ্যমান ইসরায়েলি বসতি আরিয়েলের পশ্চিমে অবস্থিত এবং তিন হাজার ৩০০টি নতুন মা’আলে আদুমিমপাড়ায় অনুমোদিত হয়েছে। খবর আলজাজিরা।
বৃহস্পতিবার বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, তিনি নতুন বসতি প্রকল্পের জন্য বাড়ি নির্মাণের দরপত্র অনুমোদন করবেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেরুজালেম এবং ইসরায়েলি বসতি মা’আলে আদুমিমের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, এই বাস্তবতা শেষ পর্যন্ত একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে কবর দিচ্ছে। কারণ এমন কিছু নেই, যা স্বীকৃতি পাবে। এমন কেউ নেই, যাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। পৃথিবীর যেই আজ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করবে, সে আমাদের কাছ থেকে মাটিতেই তার জবাব পাবে। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নতুন বসতি পরিকল্পনাকে গণহত্যা, বাস্তুচ্যুতি এবং দখলদারিত্বের সম্প্রসারণ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা এই পরিকল্পনাকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিধ্বনি বলে উল্লেখ করেছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এই বসতিগুলো ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। পরিকল্পিত এই বসতি কার্যকরভাবে অধিকৃত পশ্চিম তীরকে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে বিভক্ত করবে। ফলে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে বেথলেহেম এবং রামাল্লার মতো প্রধান শহরগুলোর সঙ্গে সংযুক্তকারী সংলগ্ন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এর আগেও ইসরায়েল ওই স্থানে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। ২০২২ সালে এই পরিকল্পনা স্থগিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের চাপে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থি সরকার এই এলাকায় রাস্তা প্রশস্ত করার প্রকল্প অনুমোদন করেছে। সেখানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে। মা’আলে আদুমিমের মেয়র গাই ইফ্রাচ নতুন বসতিটির প্রশংসা করে বলেছেন, এটি মা’আলে আদুমিমকে জেরুজালেমের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ফিলিস্তিনিরা এখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করেছিল। এই প্রকল্প সে চেষ্টাকে ব্যর্থ করবে।