ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় ব্যর্থতা এবং মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারতীয় কৃষক সংগঠনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন। কৃষকদের দাবি, মার্কিন চাপের মুখে ভারতের কৃষি বাজার উন্মুক্ত করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশীয় উৎপাদকরা। চলতি মাসের শুরুতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ব্যর্থ হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখায় আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে। নয়াদিল্লি এই শুল্ককে ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে।
দিল্লির পার্শ্ববর্তী গ্রেটার নয়ডা এলাকায় ট্রাক্টর র্যালি থেকে এক কৃষক বলেন, ‘কেউ যেন কোকা-কোলা না কেনে। এখন সময় লেবুর শরবত আর মহিষের দুধ খাওয়ার।’ আরেক কৃষক বলেন, ‘আমাদের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে আমরা অর্ধেক লাভ পাব, আর যুক্তরাষ্ট্র দ্বিগুণ কর আদায় করবে।’
এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের কাছে কৃষকের কল্যাণই সর্বোচ্চ। ভারত কখনোই কৃষক, দুগ্ধ খাত ও জেলেদের স্বার্থে আপস করবে না।’ গত পাঁচ মাস ধরে চলা আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ছাড় চেয়েছিল। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ভাষায় এটি ছিল ‘বড় রেড লাইন’।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ভারতের ৭০ শতাংশ গ্রামীণ পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে ৮২ শতাংশ কৃষকই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক। এদিকে, চলতি মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল নতুন বাণিজ্য আলোচনার জন্য ভারতে আসার কথা রয়েছে।
এদিকে, আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অবসরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে নরেন্দ্র মোদি নিউইয়র্ক গেলে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সফর ঘিরে অনেক ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’ রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এই সফর নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। সরকারি সূত্রের বরাতে সফর সম্ভাবনার খবর করেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় ব্যর্থতা এবং মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারতীয় কৃষক সংগঠনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন। কৃষকদের দাবি, মার্কিন চাপের মুখে ভারতের কৃষি বাজার উন্মুক্ত করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশীয় উৎপাদকরা। চলতি মাসের শুরুতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ব্যর্থ হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখায় আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে। নয়াদিল্লি এই শুল্ককে ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে।
দিল্লির পার্শ্ববর্তী গ্রেটার নয়ডা এলাকায় ট্রাক্টর র্যালি থেকে এক কৃষক বলেন, ‘কেউ যেন কোকা-কোলা না কেনে। এখন সময় লেবুর শরবত আর মহিষের দুধ খাওয়ার।’ আরেক কৃষক বলেন, ‘আমাদের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে আমরা অর্ধেক লাভ পাব, আর যুক্তরাষ্ট্র দ্বিগুণ কর আদায় করবে।’
এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের কাছে কৃষকের কল্যাণই সর্বোচ্চ। ভারত কখনোই কৃষক, দুগ্ধ খাত ও জেলেদের স্বার্থে আপস করবে না।’ গত পাঁচ মাস ধরে চলা আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ছাড় চেয়েছিল। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ভাষায় এটি ছিল ‘বড় রেড লাইন’।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ভারতের ৭০ শতাংশ গ্রামীণ পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল, যার মধ্যে ৮২ শতাংশ কৃষকই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক। এদিকে, চলতি মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল নতুন বাণিজ্য আলোচনার জন্য ভারতে আসার কথা রয়েছে।
এদিকে, আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অবসরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে নরেন্দ্র মোদি নিউইয়র্ক গেলে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সফর ঘিরে অনেক ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’ রয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এই সফর নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেনি। সরকারি সূত্রের বরাতে সফর সম্ভাবনার খবর করেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।