ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে এতে আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন। শনিবার (১৬ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর দ্য ডনের।
বিবিসি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রামেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। পিডিএমএ শনিবার জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২৭৯ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী এবং ১৩ জন শিশু। পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) বলছে, নিহত ছাড়াও দেশব্যাপী মোটে ২৮ জন আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৬টি বাড়ি- এরমধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৪টি বাড়ি আংশিকভাবে এবং ১৪টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গিলগিট বালতিস্তানে ১৪টি বাড়ি আংশিকভাবে এবং তিনটি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আজাদ কাশ্মীরে আংশিকভাবে ২৩টি এবং ২৮টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জিও নিউজ বলছে, বন্যায় বিভিন্ন বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও বহু এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণকার্যের পর্যালোচনা করতে শনিবার(১৬-০৮-২০২৫) দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রাদেশিক উদ্ধার এজেন্সি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে, বন্যাকবলিত নয়টি জেলায় উদ্ধার অভিযানে অন্তত দুই হাজার জন কাজ করছেন খাইবার পাখতুনখোয়ার রেসকিউ এজেন্সির মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফাইজি এএফপি’কে বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত, ভূমিধস এবং বিভিন্ন রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ত্রাণ পাঠানো এবং আম্বুলেন্স ও বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেছেন, বেশিরভাগ এলাকায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় হেঁটে যাচ্ছেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে এতে আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন। শনিবার (১৬ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর দ্য ডনের।
বিবিসি জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রামেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। পিডিএমএ শনিবার জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২৭৯ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী এবং ১৩ জন শিশু। পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) বলছে, নিহত ছাড়াও দেশব্যাপী মোটে ২৮ জন আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৬টি বাড়ি- এরমধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৪টি বাড়ি আংশিকভাবে এবং ১৪টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গিলগিট বালতিস্তানে ১৪টি বাড়ি আংশিকভাবে এবং তিনটি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আজাদ কাশ্মীরে আংশিকভাবে ২৩টি এবং ২৮টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জিও নিউজ বলছে, বন্যায় বিভিন্ন বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও বহু এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণকার্যের পর্যালোচনা করতে শনিবার(১৬-০৮-২০২৫) দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রাদেশিক উদ্ধার এজেন্সি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে, বন্যাকবলিত নয়টি জেলায় উদ্ধার অভিযানে অন্তত দুই হাজার জন কাজ করছেন খাইবার পাখতুনখোয়ার রেসকিউ এজেন্সির মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফাইজি এএফপি’কে বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত, ভূমিধস এবং বিভিন্ন রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ত্রাণ পাঠানো এবং আম্বুলেন্স ও বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেছেন, বেশিরভাগ এলাকায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় হেঁটে যাচ্ছেন।