যুক্তরাজ্যে বড় ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় এক আফগান ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের তথ্য দুর্ঘটনাক্রমে প্রকাশ পেয়েছে। ওই ব্যক্তিকে তার পরিবারের বেশ কয়েক সদস্যকে সম্প্রতি ফেরত পাঠানোর উদ্দেশ্যে পাকিস্তানে আটক করা হয়। ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে কাজ করায় পরিবারটিকে তালেবানরা শাস্তির আওতায় আনতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওই ব্যক্তির ছেলে।
গতকাল শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি নথি দেখে নিশ্চিত হয়েছে, ওই ব্যক্তি আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা আফগান বিশেষ বাহিনীর ইউনিট ‘ট্রিপল’-এর অংশ ছিলেন। পাকিস্তান ‘অবৈধ বিদেশি নাগরিক’ বিবেচনা করে তার নিজ দেশ আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। ওই আফগান ব্যক্তির ছেলে বলছেন, তাদের বিষয়টি বিশেষভাবে জরুরি। কারণ, যদি তাদের আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়, তবে সেখানে তার বাবাকে ট্রিপলদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে হত্যা করা হতে পারে।
তালেবান সরকার বলছে, সব আফগান ‘কোনো ভয় ছাড়াই দেশে থাকতে পারবে।’ কিন্তু গত মাসে প্রকাশিত জাতিসংঘের ‘কোনো নিরাপদ আশ্রয়স্থল নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে আশ্বাস নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পরপরই ওই ব্যক্তি ও তার পরিবার প্রথমে যুক্তরাজ্যের আফগান রিলেশন্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্স পলিসিতে (এআরএপি) আবেদন করে। এআরএপি ব্রিটিশ বাহিনী বা আফগানিস্তানে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করা আফগানদের স্থানান্তর ও সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তখন পরিবারটি পাকিস্তানে অবস্থান করে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিল।
ওই ব্যক্তির ছেলে বিবিসিকে বলেছেন, তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে একটি হোল্ডিং ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই তিনি রাজধানী ইসলামাবাদের একটি হোটেলের বাথরুমে লুকিয়ে থাকার পর গ্রেপ্তার এড়াতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের কিছু সদস্য কেবল শিশু। সবচেয়ে ছোট যে তার বয়স মাত্র আট মাস। আমরা পুলিশকে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাজ্যে বড় ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় এক আফগান ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের তথ্য দুর্ঘটনাক্রমে প্রকাশ পেয়েছে। ওই ব্যক্তিকে তার পরিবারের বেশ কয়েক সদস্যকে সম্প্রতি ফেরত পাঠানোর উদ্দেশ্যে পাকিস্তানে আটক করা হয়। ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে কাজ করায় পরিবারটিকে তালেবানরা শাস্তির আওতায় আনতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওই ব্যক্তির ছেলে।
গতকাল শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি নথি দেখে নিশ্চিত হয়েছে, ওই ব্যক্তি আফগানিস্তানে ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা আফগান বিশেষ বাহিনীর ইউনিট ‘ট্রিপল’-এর অংশ ছিলেন। পাকিস্তান ‘অবৈধ বিদেশি নাগরিক’ বিবেচনা করে তার নিজ দেশ আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। ওই আফগান ব্যক্তির ছেলে বলছেন, তাদের বিষয়টি বিশেষভাবে জরুরি। কারণ, যদি তাদের আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়, তবে সেখানে তার বাবাকে ট্রিপলদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে হত্যা করা হতে পারে।
তালেবান সরকার বলছে, সব আফগান ‘কোনো ভয় ছাড়াই দেশে থাকতে পারবে।’ কিন্তু গত মাসে প্রকাশিত জাতিসংঘের ‘কোনো নিরাপদ আশ্রয়স্থল নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে আশ্বাস নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পরপরই ওই ব্যক্তি ও তার পরিবার প্রথমে যুক্তরাজ্যের আফগান রিলেশন্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্স পলিসিতে (এআরএপি) আবেদন করে। এআরএপি ব্রিটিশ বাহিনী বা আফগানিস্তানে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করা আফগানদের স্থানান্তর ও সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তখন পরিবারটি পাকিস্তানে অবস্থান করে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিল।
ওই ব্যক্তির ছেলে বিবিসিকে বলেছেন, তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে একটি হোল্ডিং ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই তিনি রাজধানী ইসলামাবাদের একটি হোটেলের বাথরুমে লুকিয়ে থাকার পর গ্রেপ্তার এড়াতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের কিছু সদস্য কেবল শিশু। সবচেয়ে ছোট যে তার বয়স মাত্র আট মাস। আমরা পুলিশকে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’