ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাশিয়ার তেল কেনা দেশগুলোর মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে আপাতত কোনো শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী এমন পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। যদিও একই অভিযোগে ভারতের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কোনো উদ্যোগ না নিলে মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে এবং রাশিয়ার তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়া দেশগুলোকেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে। বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই তেল ক্রেতা হলো চীন ও ভারত। খবর রয়টার্সের। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। অভিযোগ ছিল, দিল্লি এখনো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি করছে। তবে চীন রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলেও দেশটির বিরুদ্ধে এখনো কোনো সরাসরি ব্যবস্থা নেননি তিনি।
ফক্স নিউজ উপস্থাপক শন হ্যানিটির প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধবিরতি আনতে ব্যর্থ হওয়ার পরও চীনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তার ভাষায়, ‘আজকের বৈঠকের পর আমার মনে হয়েছে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার নেই।
হয়তো দুই বা তিন সপ্তাহ পর তা বিবেচনা করতে হতে পারে। তবে বৈঠকটি খুবই ভালো হয়েছে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ট্রাম্প রাশিয়াকে ঘিরে শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে থাকেন, তবে এর প্রভাব সরাসরি পড়বে চীনের অর্থনীতিতে। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বাধীন দেশটি বর্তমানে ধীরগতির প্রবৃদ্ধির চাপে রয়েছে। ফলে নতুন করে শুল্ক আরোপ বেইজিংয়ের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা কমাতে শি–ট্রাম্প একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। কিন্তু যদি যুক্তরাষ্ট্র দমনমূলক পদক্ষেপ জোরদার করে, তাহলে রাশিয়ার পর সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠতে পারে চীন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
রাশিয়ার তেল কেনা দেশগুলোর মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে আপাতত কোনো শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী এমন পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। যদিও একই অভিযোগে ভারতের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কোনো উদ্যোগ না নিলে মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে এবং রাশিয়ার তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়া দেশগুলোকেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে। বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুই তেল ক্রেতা হলো চীন ও ভারত। খবর রয়টার্সের। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। অভিযোগ ছিল, দিল্লি এখনো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি করছে। তবে চীন রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রেতা হলেও দেশটির বিরুদ্ধে এখনো কোনো সরাসরি ব্যবস্থা নেননি তিনি।
ফক্স নিউজ উপস্থাপক শন হ্যানিটির প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধবিরতি আনতে ব্যর্থ হওয়ার পরও চীনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তার ভাষায়, ‘আজকের বৈঠকের পর আমার মনে হয়েছে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার নেই।
হয়তো দুই বা তিন সপ্তাহ পর তা বিবেচনা করতে হতে পারে। তবে বৈঠকটি খুবই ভালো হয়েছে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ট্রাম্প রাশিয়াকে ঘিরে শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে থাকেন, তবে এর প্রভাব সরাসরি পড়বে চীনের অর্থনীতিতে। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বাধীন দেশটি বর্তমানে ধীরগতির প্রবৃদ্ধির চাপে রয়েছে। ফলে নতুন করে শুল্ক আরোপ বেইজিংয়ের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা কমাতে শি–ট্রাম্প একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। কিন্তু যদি যুক্তরাষ্ট্র দমনমূলক পদক্ষেপ জোরদার করে, তাহলে রাশিয়ার পর সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠতে পারে চীন।