রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় শীর্ষ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো, কারণ “রাশিয়া অনেক বড় একটি শক্তি, আর ইউক্রেন তা নয়।”
রয়টার্স জানায়, ওই বৈঠকে পুতিন ইউক্রেনের আরও কিছু ভূখণ্ডের দাবি তুলেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন এক কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ট্রাম্প বলেছেন, কিইভ যদি পুরো দোনেৎস্ক ছেড়ে দেয়, তবে অধিকাংশ যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। তবে জেলেনস্কি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখল করেছে, যার মধ্যে দোনেৎস্ক প্রদেশের তিন-চতুর্থাংশ অন্তর্ভুক্ত।
ট্রাম্প জানান, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্ররা যে যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছে, তার আগে সরাসরি একটি শান্তি চুক্তির চেষ্টা করা উচিত। বৈঠকের আগে যুদ্ধবিরতি ছাড়া তিনি কোনো সমঝোতায় খুশি হবেন না বলে জানালেও পরে এ অবস্থান থেকে সরে আসেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “সবার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বন্ধের সেরা পথ একটি শান্তি চুক্তি, শুধু যুদ্ধবিরতি নয়—কারণ যুদ্ধবিরতি প্রায়ই টিকে না।”
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ও পুতিন ভূমি হস্তান্তর ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং “অনেকাংশে একমত হয়েছেন।” তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আমরা একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি। ইউক্রেনকে এতে সম্মত হতে হবে।”
অন্যদিকে, জেলেনস্কি এক্স-এ লিখেছেন, “হত্যা বন্ধ করা যুদ্ধ বন্ধের একটি প্রধান উপাদান।” তিনি আরও জানান, স্থায়ী শান্তির পথে রাশিয়ার অনিচ্ছা জটিলতা তৈরি করছে। তবুও তিনি সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও তারা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার অঙ্গীকার করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউজে সোমবারের ট্রাম্প–জেলেনস্কি বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারাও যোগ দিতে পারেন।
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় শীর্ষ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো, কারণ “রাশিয়া অনেক বড় একটি শক্তি, আর ইউক্রেন তা নয়।”
রয়টার্স জানায়, ওই বৈঠকে পুতিন ইউক্রেনের আরও কিছু ভূখণ্ডের দাবি তুলেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন এক কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ট্রাম্প বলেছেন, কিইভ যদি পুরো দোনেৎস্ক ছেড়ে দেয়, তবে অধিকাংশ যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। তবে জেলেনস্কি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখল করেছে, যার মধ্যে দোনেৎস্ক প্রদেশের তিন-চতুর্থাংশ অন্তর্ভুক্ত।
ট্রাম্প জানান, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্ররা যে যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছে, তার আগে সরাসরি একটি শান্তি চুক্তির চেষ্টা করা উচিত। বৈঠকের আগে যুদ্ধবিরতি ছাড়া তিনি কোনো সমঝোতায় খুশি হবেন না বলে জানালেও পরে এ অবস্থান থেকে সরে আসেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “সবার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ বন্ধের সেরা পথ একটি শান্তি চুক্তি, শুধু যুদ্ধবিরতি নয়—কারণ যুদ্ধবিরতি প্রায়ই টিকে না।”
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ও পুতিন ভূমি হস্তান্তর ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং “অনেকাংশে একমত হয়েছেন।” তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আমরা একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি। ইউক্রেনকে এতে সম্মত হতে হবে।”
অন্যদিকে, জেলেনস্কি এক্স-এ লিখেছেন, “হত্যা বন্ধ করা যুদ্ধ বন্ধের একটি প্রধান উপাদান।” তিনি আরও জানান, স্থায়ী শান্তির পথে রাশিয়ার অনিচ্ছা জটিলতা তৈরি করছে। তবুও তিনি সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানালেও তারা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার অঙ্গীকার করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউজে সোমবারের ট্রাম্প–জেলেনস্কি বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারাও যোগ দিতে পারেন।