আলাস্কাতে কোনো চুক্তি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাতে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তা যে হবে না তা একরকম প্রত্যাশিতই ছিল। তাছাড়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির অনুপস্থিতিতেই বা কীভাবে হয়। কিন্তু ট্রাম্প যে আশু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাই এখন আর দেখছেন না, বিবিসি বলছে তা হতাশ করেছে ইউক্রেন এবং ইউরোপের নেতাদের।
রাশিয়া বরাবরই বরে এসেছে, যুদ্ধবিরতি হতে হলে অনেক বিষয়ের সমাধা করতে হবে, যেখানে রাশিয়ার স্বার্থকে বিবেচনায় নিতে হবে। এর অর্থ ইউক্রেনের কাছে আত্মসমর্পন।
ট্রাম্পের সর্বশেষ অবস্থানকে রাশিয়ার সেই অবস্থানের প্রতিই সমর্থন হিসেবে দেখছে ইউরোপ।
রাশিয়া আরো যা চায় তা হচ্ছে, পূর্ব দোনবাসের যে সমস্ত এলাকায় ইউক্রেনের সৈন্য রয়েছে তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। এর বিনিময়ে রাশিয়া বলছে, তারা দক্ষিণে ইউক্রেনের জাপোরিজঝিয়া ও খেরসনে আর অগ্রসর হবে না।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, এই সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে তার সমাপ্তি টানার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে শান্তি চুক্তি করা।
তিনি আরো লিখেছে, যুদ্ধবিরতি অনেক সময়ই টেকে না।
ট্রাম্প এই বক্তব্যের মাধ্যমে ইউক্রেন ও ইউরোপের নেতারা যে বলে আসছিলেন সবার প্রথমে যুদ্ধবিরতি আসতে হবে তা কার্যত নাকচ করে দিলেন।
আর ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বা অবস্থানের সুবাদে, বিবিসি দেখছে, ইউক্রেন জয়ের জন্য পুতিনের যে সময়টুকু দরকার ছিল তা তিনি পেয়ে গেলেন।
শনিবার রাতে পুতিন ও ট্রাম্প যে সংক্ষিপ্ত সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন, সেখানে পুতিন বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে যে অগ্রগতি হচ্ছে, তা যাতে ইউরোপ থামিয়ে দেওয়ার মতো কোনো কাজ না করে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দুই দেশের নেতার এই সাক্ষাতের আগে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি সামনে আনার জন্য ইউক্রেনের চালানো যাবতীয় কূটনৈতিক প্রয়াস বিফলে গেলো বলা চলে। সেই সঙ্গে এটাও বোঝা গেলো ট্রাম্প আসলে ইউক্রেনের কথা শুনবেন না।
প্রসঙ্গত, পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ট্রাম্প প্রায় ঘন্টাব্যাপী কথা বলেছেন জেলেনস্কির সঙ্গে। এরপর ইউরোপীয় নেতাদেরও কথা হয়।
জেলেনস্কির আজ (সোমবার) ওয়াশিংটন যাবেন, সেই ফোনালাপের পর নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে তিনি তাকে আবার আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রকে। বলেন, এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামর্থ্যের একটি প্রভাব রয়েছে। ট্রুথ সোশালে ট্রাম্পের পোস্টের পর আরেকটি পোস্টে জেলেনস্কি মৃত্যু বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেন। বলেন, যুদ্ধের মাঠে, আকাশে, আমাদের বন্দরগুলোতে উভয় পক্ষের (ইউক্রেন ও রাশিয়ার) গুলিই বন্ধ হওয়া দরকার।
সূত্র: বিবিসি
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
আলাস্কাতে কোনো চুক্তি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাতে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তা যে হবে না তা একরকম প্রত্যাশিতই ছিল। তাছাড়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির অনুপস্থিতিতেই বা কীভাবে হয়। কিন্তু ট্রাম্প যে আশু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাই এখন আর দেখছেন না, বিবিসি বলছে তা হতাশ করেছে ইউক্রেন এবং ইউরোপের নেতাদের।
রাশিয়া বরাবরই বরে এসেছে, যুদ্ধবিরতি হতে হলে অনেক বিষয়ের সমাধা করতে হবে, যেখানে রাশিয়ার স্বার্থকে বিবেচনায় নিতে হবে। এর অর্থ ইউক্রেনের কাছে আত্মসমর্পন।
ট্রাম্পের সর্বশেষ অবস্থানকে রাশিয়ার সেই অবস্থানের প্রতিই সমর্থন হিসেবে দেখছে ইউরোপ।
রাশিয়া আরো যা চায় তা হচ্ছে, পূর্ব দোনবাসের যে সমস্ত এলাকায় ইউক্রেনের সৈন্য রয়েছে তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। এর বিনিময়ে রাশিয়া বলছে, তারা দক্ষিণে ইউক্রেনের জাপোরিজঝিয়া ও খেরসনে আর অগ্রসর হবে না।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, এই সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে তার সমাপ্তি টানার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে শান্তি চুক্তি করা।
তিনি আরো লিখেছে, যুদ্ধবিরতি অনেক সময়ই টেকে না।
ট্রাম্প এই বক্তব্যের মাধ্যমে ইউক্রেন ও ইউরোপের নেতারা যে বলে আসছিলেন সবার প্রথমে যুদ্ধবিরতি আসতে হবে তা কার্যত নাকচ করে দিলেন।
আর ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বা অবস্থানের সুবাদে, বিবিসি দেখছে, ইউক্রেন জয়ের জন্য পুতিনের যে সময়টুকু দরকার ছিল তা তিনি পেয়ে গেলেন।
শনিবার রাতে পুতিন ও ট্রাম্প যে সংক্ষিপ্ত সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন, সেখানে পুতিন বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে যে অগ্রগতি হচ্ছে, তা যাতে ইউরোপ থামিয়ে দেওয়ার মতো কোনো কাজ না করে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দুই দেশের নেতার এই সাক্ষাতের আগে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি সামনে আনার জন্য ইউক্রেনের চালানো যাবতীয় কূটনৈতিক প্রয়াস বিফলে গেলো বলা চলে। সেই সঙ্গে এটাও বোঝা গেলো ট্রাম্প আসলে ইউক্রেনের কথা শুনবেন না।
প্রসঙ্গত, পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ট্রাম্প প্রায় ঘন্টাব্যাপী কথা বলেছেন জেলেনস্কির সঙ্গে। এরপর ইউরোপীয় নেতাদেরও কথা হয়।
জেলেনস্কির আজ (সোমবার) ওয়াশিংটন যাবেন, সেই ফোনালাপের পর নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা। সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে তিনি তাকে আবার আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রকে। বলেন, এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামর্থ্যের একটি প্রভাব রয়েছে। ট্রুথ সোশালে ট্রাম্পের পোস্টের পর আরেকটি পোস্টে জেলেনস্কি মৃত্যু বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেন। বলেন, যুদ্ধের মাঠে, আকাশে, আমাদের বন্দরগুলোতে উভয় পক্ষের (ইউক্রেন ও রাশিয়ার) গুলিই বন্ধ হওয়া দরকার।
সূত্র: বিবিসি