ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কাথুয়া জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। জোধ ঘাটিতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, জাংলোটে ভূমিধসে নিহত হয়েছে আরও দুইজন।
উভয় ঘটনাই ঘটেছে শনিবার রাত থেকে রোববার ভোরের মধ্যে।
জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর থেকে নির্বাচিত লোকসভা এমপি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বৃষ্টিতে একটি রেলওয়ে ট্র্যাক, জাতীয় মহাসড়ক-৪৪ ও একটি থানার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথাও নিশ্চিত করেছেন, জানিয়েছে এনডিটিভি। তাদের ভাষায়, “বেসামরিক প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী তৎপর রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর অব্যাহত রয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি,” কাথুয়ার ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পর এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন জিতেন্দ্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের ঘটনায় শোক জানিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদারে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
কাথুয়া প্রশাসন তাদের আবহাওয়া সতর্কবার্তায় জেলাজুড়ে ‘ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি’ হওয়ার কথা জানিয়ে লোকজনকে নদী, নালা, ঝর্ণাসহ সব ধরনের জলাশয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
“ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এসব জলাশয়ের পানির মাত্রা হুটহাট বাড়তে পারে; বাড়িয়ে দিতে পারে হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি,” কাথুয়ার জেলা তথ্য কেন্দ্র এক্সে দেওয়া পোস্টে এমনটাই বলেছে।
ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জেলাটির বেশিরভাগ জলাশয়ে পানির মাত্রা এরই মধ্যে অনেকখানি বেড়েছে, উঝ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বলেছেন কর্মকর্তারা।
কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরের কিশতওয়ারের চিশোতি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যায় অর্ধশতাধিক মৃত্যু ও শতাধিক আহত হয়েছে।
মচাইল মাতা মন্দিরে বার্ষিক তীর্থযাত্রা উপলক্ষে শত শত পুণ্যার্থী তখন ওই চিশোতি গ্রামে ছিলেন, তার মধ্যেই এই দুর্যোগ আঘাত হানে। ওই ঘটনায় এখনও অন্তত ৮২ জন নিখোঁজ।
বার্ষিক এই তীর্থ যাত্রা শুরু হয়েছে গত ২৫ জুলাই, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এটি শেষ হওয়ার কথা। হিমালয়ের কোলে সাড়ে ৯ হাজার ফুট উঁচুতে থাকা মন্দিরে যাওয়ার সাড়ে কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রা শুরু হয় চিশোতি থেকে; গ্রামটি কিশতওয়ার থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কাথুয়া জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। জোধ ঘাটিতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, জাংলোটে ভূমিধসে নিহত হয়েছে আরও দুইজন।
উভয় ঘটনাই ঘটেছে শনিবার রাত থেকে রোববার ভোরের মধ্যে।
জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর থেকে নির্বাচিত লোকসভা এমপি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বৃষ্টিতে একটি রেলওয়ে ট্র্যাক, জাতীয় মহাসড়ক-৪৪ ও একটি থানার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথাও নিশ্চিত করেছেন, জানিয়েছে এনডিটিভি। তাদের ভাষায়, “বেসামরিক প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী তৎপর রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর অব্যাহত রয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি,” কাথুয়ার ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পর এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন জিতেন্দ্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের ঘটনায় শোক জানিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা জোরদারে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
কাথুয়া প্রশাসন তাদের আবহাওয়া সতর্কবার্তায় জেলাজুড়ে ‘ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি’ হওয়ার কথা জানিয়ে লোকজনকে নদী, নালা, ঝর্ণাসহ সব ধরনের জলাশয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
“ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এসব জলাশয়ের পানির মাত্রা হুটহাট বাড়তে পারে; বাড়িয়ে দিতে পারে হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি,” কাথুয়ার জেলা তথ্য কেন্দ্র এক্সে দেওয়া পোস্টে এমনটাই বলেছে।
ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জেলাটির বেশিরভাগ জলাশয়ে পানির মাত্রা এরই মধ্যে অনেকখানি বেড়েছে, উঝ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বলেছেন কর্মকর্তারা।
কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরের কিশতওয়ারের চিশোতি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যায় অর্ধশতাধিক মৃত্যু ও শতাধিক আহত হয়েছে।
মচাইল মাতা মন্দিরে বার্ষিক তীর্থযাত্রা উপলক্ষে শত শত পুণ্যার্থী তখন ওই চিশোতি গ্রামে ছিলেন, তার মধ্যেই এই দুর্যোগ আঘাত হানে। ওই ঘটনায় এখনও অন্তত ৮২ জন নিখোঁজ।
বার্ষিক এই তীর্থ যাত্রা শুরু হয়েছে গত ২৫ জুলাই, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এটি শেষ হওয়ার কথা। হিমালয়ের কোলে সাড়ে ৯ হাজার ফুট উঁচুতে থাকা মন্দিরে যাওয়ার সাড়ে কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রা শুরু হয় চিশোতি থেকে; গ্রামটি কিশতওয়ার থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।