ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এক অদ্ভুত পদক্ষেপের কারণে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের মালা টকমাচকা এলাকায় হামলা চালানোর সময় দখল করা একটি মার্কিন সাঁজোয়া যানে তারা রাশিয়ার পতাকার পাশে আমেরিকার পতাকাও উড়িয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই যান চলন্ত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে উড়ে যেতে দেখা গেছে একটি ভিডিওতে। সোমবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, দখল করা অঞ্চলে আমেরিকান নির্মিত এম-১১৩ সাঁজোয়া যানটি ফেলে রেখে গিয়েছিল ইউক্রেনের সেনারা। পরে রুশ সেনারা এই যানটিতে রাশিয়া ও আমেরিকার পতাকা পাশাপাশি বাঁধে এবং গাড়িটি সজোরে চালিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে। ক্রেমলিনপন্থী একাধিক গণমাধ্যম এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তবে এতে দেখা গেছে, পতাকাবাহী ওই ট্যাংক কিছু দূর এগিয়ে যাওয়ার পরই মাইন বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়। রুশ কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, ওই ট্যাংকে থাকা তিন রুশ সেনা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে। রাষ্ট্রীয় প্রচারণায় তাদের ‘সুপারহিরো’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের ওই পদক্ষেপকে রাশিয়ার ‘প্রচারযুদ্ধের কৌশল’ বলে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পেত্র আন্দ্রিউশচেঙ্কো। তিনি বলেন, ‘রুশ সেনারা এখন প্রকাশ্যে দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র, আর তারা মার্কিন সাঁজোয়া যানেই হামলা চালাচ্ছে—এটি ট্রাম্পের অযৌক্তিক অবস্থানেরই পরিণতি। ’
ইউক্রেনের গণমাধ্যমগুলোও বলছে, আমেরিকান পতাকা নিয়ে রুশ বাহিনীর দৌরাত্ম্য দেখানো আসলে আলাস্কার আলোচনার ব্যর্থতার প্রতীক। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক হলেও যুদ্ধ থামানো নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি; বরং সমালোচকেরা মনে করছেন, সেই বৈঠক পুতিনকে আবারও বৈশ্বিক কূটনীতির মঞ্চে জায়গা করে দিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, রুশ বাহিনীর এসব পদক্ষেপ মূলত যুদ্ধে সামান্য অগ্রগতি দেখিয়ে ভবিষ্যৎ শান্তিচুক্তির আলোচনায় সুবিধা আদায় করে নিতে পুতিনের মরিয়া চেষ্টা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
এক অদ্ভুত পদক্ষেপের কারণে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের মালা টকমাচকা এলাকায় হামলা চালানোর সময় দখল করা একটি মার্কিন সাঁজোয়া যানে তারা রাশিয়ার পতাকার পাশে আমেরিকার পতাকাও উড়িয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই যান চলন্ত অবস্থায় মাইন বিস্ফোরণে উড়ে যেতে দেখা গেছে একটি ভিডিওতে। সোমবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, দখল করা অঞ্চলে আমেরিকান নির্মিত এম-১১৩ সাঁজোয়া যানটি ফেলে রেখে গিয়েছিল ইউক্রেনের সেনারা। পরে রুশ সেনারা এই যানটিতে রাশিয়া ও আমেরিকার পতাকা পাশাপাশি বাঁধে এবং গাড়িটি সজোরে চালিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে। ক্রেমলিনপন্থী একাধিক গণমাধ্যম এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তবে এতে দেখা গেছে, পতাকাবাহী ওই ট্যাংক কিছু দূর এগিয়ে যাওয়ার পরই মাইন বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়। রুশ কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, ওই ট্যাংকে থাকা তিন রুশ সেনা অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে। রাষ্ট্রীয় প্রচারণায় তাদের ‘সুপারহিরো’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের ওই পদক্ষেপকে রাশিয়ার ‘প্রচারযুদ্ধের কৌশল’ বলে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পেত্র আন্দ্রিউশচেঙ্কো। তিনি বলেন, ‘রুশ সেনারা এখন প্রকাশ্যে দাবি করছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র, আর তারা মার্কিন সাঁজোয়া যানেই হামলা চালাচ্ছে—এটি ট্রাম্পের অযৌক্তিক অবস্থানেরই পরিণতি। ’
ইউক্রেনের গণমাধ্যমগুলোও বলছে, আমেরিকান পতাকা নিয়ে রুশ বাহিনীর দৌরাত্ম্য দেখানো আসলে আলাস্কার আলোচনার ব্যর্থতার প্রতীক। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক হলেও যুদ্ধ থামানো নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি; বরং সমালোচকেরা মনে করছেন, সেই বৈঠক পুতিনকে আবারও বৈশ্বিক কূটনীতির মঞ্চে জায়গা করে দিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, রুশ বাহিনীর এসব পদক্ষেপ মূলত যুদ্ধে সামান্য অগ্রগতি দেখিয়ে ভবিষ্যৎ শান্তিচুক্তির আলোচনায় সুবিধা আদায় করে নিতে পুতিনের মরিয়া চেষ্টা।