রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনের কাছে যুদ্ধ বন্ধের জন্য তিনটি শর্ত তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো পূর্ব ডনবাস অঞ্চল পুরোপুরি ছাড়তে হবে, নেটোতে যোগদানের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ থাকতে হবে এবং ইউক্রেইনের মাটিতে কোনো পশ্চিমা সেনা রাখা যাবে না। ক্রেমলিন-ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠকে মূলত ইউক্রেইন প্রসঙ্গেই আলোচনা করেন পুতিন। বৈঠকের পর পুতিন বলেন, আলোচনা শান্তির পথে এগোনোর সুযোগ তৈরি করেছে। যদিও বৈঠকে শর্ত বা প্রস্তাব নিয়ে সরাসরি কিছু জানাননি তিনি কিংবা ট্রাম্প।
রয়টার্স জানায়,পুতিন আগের দাবির তুলনায় কিছুটা নরম অবস্থান নিয়েছেন। গত বছর তিনি চারটি প্রদেশ দোনেৎস্ক, লুহানস্ক (ডনবাস অঞ্চল), খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া পুরোপুরি ছেড়ে দেয়ার কথা বললেও এবার শুধু ডনবাসের অবশিষ্ট অংশ ছাড়ার প্রস্তাব করেছেন। এর বিনিময়ে খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ায় বর্তমান যুদ্ধরেখাতেই রুশ সেনারা অবস্থান করবে।
তবে পুরোনো শর্তগুলো অপরিবর্তিত আছে। যেমন ইউক্রেইন নেটোতে যোগ দিতে পারবে না, নেটো পূর্বদিকে আর বিস্তৃত হবে না এবং ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী সীমিত থাকবে। পাশাপাশি ইউক্রেইনে কোনো পশ্চিমা শান্তিরক্ষী বাহিনীও থাকতে পারবে না।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব শর্ত মানতে একেবারেই নারাজ। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ড ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। নেটো সদস্যপদকে কিইভ নিজেদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা হিসেবে দেখে এবং এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ইউক্রেইনের, রাশিয়ার নয়।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন থিংক ট্যাঙ্ক ‘র্যান্ড’-এর বিশ্লেষক স্যামুয়েল চার্যাপ মনে করেন, ডনবাস ছাড়ার শর্ত ইউক্রেইনের কাছে রাজনৈতিক ও কৌশলগতভাবে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ফলে আলোচনার নামে ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টা মূলত রাজনৈতিক প্রদর্শনী হতে পারে। তবে রুশ সূত্রগুলো বলছে, অ্যাঙ্কোরেজ বৈঠক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তির সবচেয়ে বড় সুযোগ তৈরি করেছে। পুতিন আপোসে প্রস্তুত এমন বার্তাই তিনি দিয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেইন এসব শর্ত মানবে কি না সেটিই নির্ধারণ করবে যুদ্ধ চলবে নাকি থামবে।
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনের কাছে যুদ্ধ বন্ধের জন্য তিনটি শর্ত তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো পূর্ব ডনবাস অঞ্চল পুরোপুরি ছাড়তে হবে, নেটোতে যোগদানের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ থাকতে হবে এবং ইউক্রেইনের মাটিতে কোনো পশ্চিমা সেনা রাখা যাবে না। ক্রেমলিন-ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠকে মূলত ইউক্রেইন প্রসঙ্গেই আলোচনা করেন পুতিন। বৈঠকের পর পুতিন বলেন, আলোচনা শান্তির পথে এগোনোর সুযোগ তৈরি করেছে। যদিও বৈঠকে শর্ত বা প্রস্তাব নিয়ে সরাসরি কিছু জানাননি তিনি কিংবা ট্রাম্প।
রয়টার্স জানায়,পুতিন আগের দাবির তুলনায় কিছুটা নরম অবস্থান নিয়েছেন। গত বছর তিনি চারটি প্রদেশ দোনেৎস্ক, লুহানস্ক (ডনবাস অঞ্চল), খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া পুরোপুরি ছেড়ে দেয়ার কথা বললেও এবার শুধু ডনবাসের অবশিষ্ট অংশ ছাড়ার প্রস্তাব করেছেন। এর বিনিময়ে খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ায় বর্তমান যুদ্ধরেখাতেই রুশ সেনারা অবস্থান করবে।
তবে পুরোনো শর্তগুলো অপরিবর্তিত আছে। যেমন ইউক্রেইন নেটোতে যোগ দিতে পারবে না, নেটো পূর্বদিকে আর বিস্তৃত হবে না এবং ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী সীমিত থাকবে। পাশাপাশি ইউক্রেইনে কোনো পশ্চিমা শান্তিরক্ষী বাহিনীও থাকতে পারবে না।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এসব শর্ত মানতে একেবারেই নারাজ। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ড ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। নেটো সদস্যপদকে কিইভ নিজেদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা হিসেবে দেখে এবং এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ইউক্রেইনের, রাশিয়ার নয়।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন থিংক ট্যাঙ্ক ‘র্যান্ড’-এর বিশ্লেষক স্যামুয়েল চার্যাপ মনে করেন, ডনবাস ছাড়ার শর্ত ইউক্রেইনের কাছে রাজনৈতিক ও কৌশলগতভাবে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ফলে আলোচনার নামে ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টা মূলত রাজনৈতিক প্রদর্শনী হতে পারে। তবে রুশ সূত্রগুলো বলছে, অ্যাঙ্কোরেজ বৈঠক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তির সবচেয়ে বড় সুযোগ তৈরি করেছে। পুতিন আপোসে প্রস্তুত এমন বার্তাই তিনি দিয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেইন এসব শর্ত মানবে কি না সেটিই নির্ধারণ করবে যুদ্ধ চলবে নাকি থামবে।