ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত গাজা সিটি ও তার আশেপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার কথা জানিয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা।
‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি) গাজার পরিস্থিতিকে তাদের স্কেলের সবচেয়ে গুরুতর স্তর ‘ফেজ ফাইভ’ ঘোষণা করেছে, যা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সর্বোচ্চ পর্যায়। শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটি এবং আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যে ‘বিপর্যয়কর’ রূপ ধারণ করেছে।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেইর এল-বালাহ এবং খান ইউনিসেও একই পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আইপিসি জানিয়েছে, গাজার ৫ লাখের বেশি মানুষ বর্তমানে অনাহারে চরম দারিদ্র্য এবং মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খাদ্য সংকটের কারণে মৃত্যুর হারও বেড়েছে।
আইপিসি নিজে সরাসরি দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে না। তবে তাদের বিশ্লেষণ এবং পর্যবেক্ষণ সংশ্লিষ্ট সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সেরকম ঘোষণা দেওয়ার ভিত্তি তৈরি করে। এর আগে মে মাসে আইপিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের অবরোধে গাজার প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে এবং দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ রয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই পরিস্থিতিকে ‘মানবতার ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, সকল জিম্মিকে মুক্তি এবং পূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রবাহের আহ্বান জানিয়েছেন।
আইপিসি আরও জানিয়েছে, গাজা সিটির উত্তরে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেইর এল-বালাহ এবং খান ইউনিসেও দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যদি মানবিক সহায়তা অব্যাহত না থাকে এবং যুদ্ধবিরতি না হয়।
এই পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত গাজা সিটি ও তার আশেপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার কথা জানিয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা।
‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি) গাজার পরিস্থিতিকে তাদের স্কেলের সবচেয়ে গুরুতর স্তর ‘ফেজ ফাইভ’ ঘোষণা করেছে, যা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সর্বোচ্চ পর্যায়। শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটি এবং আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যে ‘বিপর্যয়কর’ রূপ ধারণ করেছে।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেইর এল-বালাহ এবং খান ইউনিসেও একই পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আইপিসি জানিয়েছে, গাজার ৫ লাখের বেশি মানুষ বর্তমানে অনাহারে চরম দারিদ্র্য এবং মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খাদ্য সংকটের কারণে মৃত্যুর হারও বেড়েছে।
আইপিসি নিজে সরাসরি দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে না। তবে তাদের বিশ্লেষণ এবং পর্যবেক্ষণ সংশ্লিষ্ট সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সেরকম ঘোষণা দেওয়ার ভিত্তি তৈরি করে। এর আগে মে মাসে আইপিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের অবরোধে গাজার প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে এবং দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ রয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই পরিস্থিতিকে ‘মানবতার ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, সকল জিম্মিকে মুক্তি এবং পূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রবাহের আহ্বান জানিয়েছেন।
আইপিসি আরও জানিয়েছে, গাজা সিটির উত্তরে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেইর এল-বালাহ এবং খান ইউনিসেও দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যদি মানবিক সহায়তা অব্যাহত না থাকে এবং যুদ্ধবিরতি না হয়।
এই পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।