alt

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে ফের গৃহযুদ্ধের শঙ্কা দেখছেন হিলারি

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১

মার্কিন ও নেটো সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে ফের গৃহযুদ্ধ দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেমোক্র্যাটিকের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করা হিলারি ক্লিন্টন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর দেশটিতে তালেবান আবার ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ওবামা প্রশাসনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সেনা ফেরানোর সিদ্ধান্তকে কঠিন হিসেবে উল্লেখ করে হিলারি বলেন, ‘অনেক কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। আমি এই বিষয়টিকে উভয় সমস্যা হিসেবে দেখি। সেনা প্রত্যাহার কিংবা থেকে যাওয়া, দুটো বিষয়ের একটা পরিণতি আছে বলে আমি মনে করি। তবে এই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কঠিন পরিণতির সৃষ্টি হতে পারে।’

আশঙ্কার কথা জানিয়ে হিলারি বলেন, কাবুল সরকারের পতন হতে পারে এবং ক্ষমতা চলে যেতে পারে তালেবানের হাতে। আর তাতে বিশ্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আবার বেড়ে যেতে পারে।

হিলারি বলেন, ‘আমার মতে, এই দুটি কঠিন বিষয় মোকাবিলা করতে হবে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়া সেনাদের প্রত্যাহার করে নিলে তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কিন্তু সেই সম্ভাব্য পরিণতি থেকে আমরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না।’

১৪ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর শনিবার (১ মে) আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো জোট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন এর মাধ্যমে একটি অন্তহীন যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল।সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখের পর্যন্ত চলবে সেনা ফেরানোর প্রক্রিয়া।

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারসহ তালিবানদের আরও দুটি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এই হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়।

সেসময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী কট্টরপন্থী তালিবান ওসামা বিন লাদেনকে নিরাপত্তা দিয়েছিল এবং তাকে মার্কিন বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করতে প্রত্যাখ্যান করে। নাইন ইলেভেন হামলার এক মাস পর আফগানিস্তানে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন মিত্র দেশগুলো এত যোগ দেয় এবং দ্রুতই তালিবানদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট নেটোর সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান করছে।

ছবি

দালাই লামার উত্তরাধিকারের ওপর বেইজিংয়ের অধিকার দাবি, নয়াদিল্লিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাখোঁ

ছবি

দুই হাজার বছর আগে ডুবে যাওয়া শহরের খোঁজ

কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করল ভারত

ছবি

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কী কারণে স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ, নিহত ৩০

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা চলছেই, নিহত ৫৮ হাজার ছাড়াল

ছবি

সিরিয়ায় বেদুইন সুন্নি-দ্রুজ সংঘর্ষে নিহত অন্তত ৩০

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, জরুরি পথে পালিয়ে বাঁচেন

ছবি

নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি আর নেই

ছবি

ইসরায়েলের পদক্ষেপে উদ্বেগ, গাজার পরিস্থিতি ঠেকাতে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

ছবি

গণহত্যা রুখতে ২০টির বেশি দেশের সম্মেলনে বাংলাদেশেরও অংশগ্রহণ

ছবি

শুল্কহার কমিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে যেতে চায় ভারত

ছবি

অভিযানের সময় আহত শ্রমিকের মৃত্যু, আক্রমণাত্মক কৌশল স্থগিতের নির্দেশ আদালতের

যুক্তরাষ্ট্র হামলা না চালানোর নিশ্চয়তা দিলে আলোচনায় বসবে ইরান

ছবি

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত

ইউক্রেনে রাশিয়ার যে কোন কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের

ছবি

পুতিনকে নিয়ে ‘হতাশ’ ট্রাম্পের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে

মায়ানমারে সংঘাত, থাই সীমান্ত দিয়ে পালাল শতাধিক সেনা

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে ‘নীরব বিপ্লব’

ছবি

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ২৪ জন নিহত, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ

ছবি

এয়ার ইন্ডিয়া উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ: সুইচের অপ্রত্যাশিত বন্ধ হওয়া, তদন্তে জানা গেছে

ছবি

মাত্র ১২ দিনেই যুদ্ধবিরতি’, ইরানের পাল্টা হামলায় তেল আবিবে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি

১২ দিনের যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত: ইরান

ছবি

ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেছে ৮০০ ফিলিস্তিনির

মায়ানমারে বৌদ্ধ মঠে বিমান হামলায় নিহত ২৩

ছবি

হুথিদের সাহায্য করে কারা, কীভাবে তারা অস্ত্র পায়?

কুর্দি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণে তুরস্কের জয় হয়েছে : এরদোয়ান

ছবি

‘বিধ্বস্ত হওয়ার আগে জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয় এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনের’

ছবি

‘আমি জ্বালানির সুইচ বন্ধ করিনি’: বিধ্বস্তের আগে পাইলট

ছবি

‘মিথ্যা অভিযোগে আটক ও মানহানি’, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন ফিলিস্তিনি ছাত্রনেতা

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বয়স্করা

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ‘আশাবাদী’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ইউক্রেইনে যাবে, নেটো দেবে অর্থ: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

ছবি

সৌদিতে বিদেশিদের জন্য সুখবর, কিনতে পারবেন সম্পত্তি

রাশিয়ার ওপর দ্রুত নিষেধাজ্ঞা চান জেলেনস্কি

tab

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে ফের গৃহযুদ্ধের শঙ্কা দেখছেন হিলারি

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১

মার্কিন ও নেটো সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে ফের গৃহযুদ্ধ দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেমোক্র্যাটিকের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করা হিলারি ক্লিন্টন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর দেশটিতে তালেবান আবার ক্ষমতা দখল করে নিতে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ওবামা প্রশাসনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সেনা ফেরানোর সিদ্ধান্তকে কঠিন হিসেবে উল্লেখ করে হিলারি বলেন, ‘অনেক কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। আমি এই বিষয়টিকে উভয় সমস্যা হিসেবে দেখি। সেনা প্রত্যাহার কিংবা থেকে যাওয়া, দুটো বিষয়ের একটা পরিণতি আছে বলে আমি মনে করি। তবে এই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কঠিন পরিণতির সৃষ্টি হতে পারে।’

আশঙ্কার কথা জানিয়ে হিলারি বলেন, কাবুল সরকারের পতন হতে পারে এবং ক্ষমতা চলে যেতে পারে তালেবানের হাতে। আর তাতে বিশ্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আবার বেড়ে যেতে পারে।

হিলারি বলেন, ‘আমার মতে, এই দুটি কঠিন বিষয় মোকাবিলা করতে হবে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়া সেনাদের প্রত্যাহার করে নিলে তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কিন্তু সেই সম্ভাব্য পরিণতি থেকে আমরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না।’

১৪ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর শনিবার (১ মে) আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো জোট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন এর মাধ্যমে একটি অন্তহীন যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল।সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখের পর্যন্ত চলবে সেনা ফেরানোর প্রক্রিয়া।

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারসহ তালিবানদের আরও দুটি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এই হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়।

সেসময় আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামী কট্টরপন্থী তালিবান ওসামা বিন লাদেনকে নিরাপত্তা দিয়েছিল এবং তাকে মার্কিন বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করতে প্রত্যাখ্যান করে। নাইন ইলেভেন হামলার এক মাস পর আফগানিস্তানে বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন মিত্র দেশগুলো এত যোগ দেয় এবং দ্রুতই তালিবানদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট নেটোর সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থান করছে।

back to top