এক নারী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানি ও তার আত্মহত্যার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী প্রধান জেনারেল লি সিয়ং-ইয়ং। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মার্চে বিমান বাহিনীর এক মাস্টার সার্জেন্ট এক নারী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানি করেন ও মারধর করেন। এরপর ওই নারী আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ জুন) অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এর একদিন পর বিমান বাহিনী প্রধান লি দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
জেনারেল লি বলেন, ‘এই দুটি ঘটনার দায় আমি ব্যাপকভাবে অনুভব করি। সহকর্মীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন লির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে শুক্রবার তার প্রেস সচিব জানিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে জেনারেল লিকে নিয়োগ দেয়া হয়। পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি বিমান বাহিনী প্রধানের তকমা পেলেন।
শ্লীলতহানির শিকার নারী কর্মীর পরিবার জানায়, তিনি ব্যাপকভাবে মানসিক চাপে ভূগছিলেন ও হুমকির শিকার হচ্ছিলেন। এ ছাড়া বিমান বাহিনী ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল এবং তিনি যেন ঘটনাটি চেপে যান সেই চেষ্টা করছিল বলেও অভিযোগ পরিবারের।
গত মঙ্গলবার এই ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করে পরিবার প্রেসিডেন্ট অফিসে আবেদন করে। এই আবেদনে এ পর্যন্ত তিন লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ সই করেছেন। এরপর ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনা প্রেসিডেন্ট মুনের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তার দলের জনসমর্থনও কমতে থাকে। ইতোমধ্যে নির্বাচনে তার দল দুটি প্রধান শহরে পরাজয় বরণ করেছে। সবমিলিয়ে বেশ চাপে রয়েছেন তিনি।
এরপর বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট এসব ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন এবং বিমান বাহিনী কিভাবে ঘটনাগুলো নিয়ে কাজ করছে তা তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত মার্চে দেশটির সেনা বাহিনীর তৃতীয় লিঙ্গের এক সেনা আত্মহত্যা করেন। লিঙ্গ-পুনর্নির্ধারণে অপারেশন করার পর তাকে জোর করে অবসরে পাঠানো হয়। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন। ওই ঘটনাও দেশটিতে বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়।
শনিবার, ০৫ জুন ২০২১
এক নারী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানি ও তার আত্মহত্যার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী প্রধান জেনারেল লি সিয়ং-ইয়ং। সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মার্চে বিমান বাহিনীর এক মাস্টার সার্জেন্ট এক নারী সহকর্মীকে শ্লীলতাহানি করেন ও মারধর করেন। এরপর ওই নারী আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ জুন) অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এর একদিন পর বিমান বাহিনী প্রধান লি দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
জেনারেল লি বলেন, ‘এই দুটি ঘটনার দায় আমি ব্যাপকভাবে অনুভব করি। সহকর্মীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি ও তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন লির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে শুক্রবার তার প্রেস সচিব জানিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে জেনারেল লিকে নিয়োগ দেয়া হয়। পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি দেশটির সবচেয়ে কম মেয়াদি বিমান বাহিনী প্রধানের তকমা পেলেন।
শ্লীলতহানির শিকার নারী কর্মীর পরিবার জানায়, তিনি ব্যাপকভাবে মানসিক চাপে ভূগছিলেন ও হুমকির শিকার হচ্ছিলেন। এ ছাড়া বিমান বাহিনী ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল এবং তিনি যেন ঘটনাটি চেপে যান সেই চেষ্টা করছিল বলেও অভিযোগ পরিবারের।
গত মঙ্গলবার এই ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করে পরিবার প্রেসিডেন্ট অফিসে আবেদন করে। এই আবেদনে এ পর্যন্ত তিন লাখ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ সই করেছেন। এরপর ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনা প্রেসিডেন্ট মুনের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তার দলের জনসমর্থনও কমতে থাকে। ইতোমধ্যে নির্বাচনে তার দল দুটি প্রধান শহরে পরাজয় বরণ করেছে। সবমিলিয়ে বেশ চাপে রয়েছেন তিনি।
এরপর বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট এসব ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন এবং বিমান বাহিনী কিভাবে ঘটনাগুলো নিয়ে কাজ করছে তা তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত মার্চে দেশটির সেনা বাহিনীর তৃতীয় লিঙ্গের এক সেনা আত্মহত্যা করেন। লিঙ্গ-পুনর্নির্ধারণে অপারেশন করার পর তাকে জোর করে অবসরে পাঠানো হয়। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন। ওই ঘটনাও দেশটিতে বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়।