alt

আন্তর্জাতিক

মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় আসাম সরকার

সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর বিরোধিতা

দীপক মুখার্জী, কলকাতা : সোমবার, ২১ জুন ২০২১

সরকারি জমি বেদকলকারীদের বিরুদ্ধে আসাম সরকারের উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে যখন প্রবল বিতর্ক এবং এ নিয়ে মুসলিম সংখ্যালঘুদের টার্গেট করার লক্ষ্য, ঠিক তখন আবার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিচ্ছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। জমি বেদখল, দারিদ্র্য মুসলিমদের (অভিবাসী) সামাজিক ব্যাধির শিকর-ই জনবিস্ফোরণ। তাই এজন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী চান মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে এআইইউডিএফ ও আমসুর মতো সংখ্যালঘু সংগঠনগুলো এগিয়ে আসুক এবং তাদের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে এ ব্যাপারে কাজ করতে চান তিনি। তবে বিভিন্ন এলাকার মঠ-মন্দিরের জমি বা বনাঞ্চলে যে বসতি স্থাপন করা হয়েছে তা কোন মতেই সরকার করতে দেবে না বলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট বলে দিয়েছেন।

হিমন্তবিশ্ব শর্মা ক্ষমতায় আসার এক মাসের মাথায় অবৈধ ড্রাগসহ বিভিন্ন দুর্নীতি এবং উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। বিশেষ করে মন্দির, মঠ ও সত্রের জমি এবং বনাঞ্চল বেদখলমুক্ত করা হচ্ছে। এই আভিযানে সিপাঝাড়ে ১৮০ বিঘা, হোজাইয়ে ২৫০০ বিঘা জমি বেদখলমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া চাতিয়া, করমগঞ্জেও সরকারি জমি ও বনাঞ্চল থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে সরকারি- জমি ও বনাঞ্চল বেশিরভাগ বেদখল করেছে বাংলাদেস থেকে আসা মুসলিম অভিবাসীরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী আসমি মুসলমানদের ব্যাপারে বলেছেন, তারা কখনও সরকারি জমি বা বনাঞ্চল বেদখল করেন না তারা আমাদের ভূমিপুত্র।

কিন্তু এই উচ্ছেদ আভিযানে সরকার কোন কিছু মান্য না করেই নির্বিচারে বেশিরভাগ উচ্ছেদ করছে মুসলিমদের। নতুন সরকারের এই উচ্ছেদ আভিযানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। বিশেষ করে আমসু ও এআইইউডিএফ’র মতো সংখ্যালঘু সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে। তাদের বক্তব্য পুনর্বাসন না করে কোন মানুষকে উচ্ছেদ করা চলবে না। এ নিয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছে রাজপথে। কিন্তু আসাম সরকার তাদের এই দাবি না মেনে আবার নতুন করে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে হিমন্ত বলেছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে সামনে এমন দিন আসবে যখন থাকার জন্য স্থান সংকুলান হবে না। জমি বেদখলের মূল কারণই হচ্ছে জনসংখ্যার আধিক্য। এ ব্যাপারে প্রতিরোধ গড়ে তোলা না হলে সরকারি জমি, মঠ আর মন্দিরের জমি বেদখল করে বসতিস্থাপন করতে হবে, কিন্তু অন্য লোকেরা তা মেনে নেবে না ফলে এ নিয়ে সংঘাত অনিবার্য।

তাই সংগঠনগুলোর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর উপদেশ, সরকারের সমালোচনা না করে মুসলিম পরিবারকে কীভাবে ছোট করা য়ায়, সেইসব চিন্তা করতে বলেছেন তাদের। সহজভাবে তিনি বলেন, একটি পরিবারে দশ বারোটি সন্তান হলে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে, কামাখ্যার জমিতে, আমার বাড়িতে তাদের বসতি স্থাপন করতে হবে, নয়ত আমরা জমি কোথায় পাব? নি¤œ আসামের কোন এক বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচ বছর আগে যেখানে মাত্র ৬৫ হাজার জনসংখ্যা ছিল, সেখানে বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০ হাজার। এই উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব জানান, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আমরা আরও কিছু পদক্ষেপ নেব।

ছবি

‘গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল’

তৃতীয় দফা ভোটেও জয়, জোহরান এখন নিউইয়র্ক সিটির আনুষ্ঠানিক মেয়র প্রার্থী

ছবি

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের বড় ঘোষণা

মুসলিম দেশ কাজাখস্তানে বোরকা ও নিকাব পরা নিষিদ্ধ

ইরান ভ্রমণে আবারও নাগরিকদের সতর্ক করল চীন

ছবি

হরমুজ প্রণালিতে ইরানের মাইন পাতার প্রস্তুতি, উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

গাজায় ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

ছবি

তেলেঙ্গানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ৪৪, নিখোঁজ ১২ শ্রমিক

ছবি

আরও উত্তপ্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নিল পাকিস্তান

ফোনালাপ ফাঁসের জেরে বরখাস্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

ভারতে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৩৪

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া কতদূর

ছবি

সীমান্ত বিরোধ নিয়ে অডিও ফাঁস: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

ছবি

ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানের হামলা থেকে বাদ গেল না ক্যাফেও, গাজায় এক দিনে নিহত ৯৫

ছবি

ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ: বিনিয়োগ প্রত্যাহার করল নরওয়ের বৃহৎ পেনশন কোম্পানি কেএলপি

ছবি

‘শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর, দেখা যায় খালি চোখেও’

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্ত করার দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ

ইরান শান্তি চাইলে উঠে যেতে পারে নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: ইরান

ছবি

হুমকি ও শান্তির বার্তা, গাজা নিয়ে দ্বৈত নীতি

পাকিস্তানের জন্য ৩৪০ কোটি ডলারের ঋণ নবায়ন করলো চীন

ছবি

আলোচনা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: ইরান

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৭২

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মী নিহত

ছবি

সার্বিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, উত্তাল বেলগ্রেড

‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ : ফের ট্রাম্পের সমালোচনায় ইলন মাস্ক

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ ইরানের

ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে

নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিচার বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তির উদ্যোগের পরও গাজায় থেমে নেই হত্যাযজ্ঞ

ছবি

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় দুই দিনে ৩২ জনের মৃত্যু

ছবি

পুরিতে রথযাত্রায় ভিড়ের চাপে পিষ্ট হয়ে নিহত ৩, আহত ১০

ছবি

নর্থ ওয়াজিরিস্তানে সামরিক বহরে আত্মঘাতী হামলা, শিশু আহত ছয়

কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করছেন ট্রাম্প

tab

আন্তর্জাতিক

মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় আসাম সরকার

সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর বিরোধিতা

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

সোমবার, ২১ জুন ২০২১

সরকারি জমি বেদকলকারীদের বিরুদ্ধে আসাম সরকারের উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে যখন প্রবল বিতর্ক এবং এ নিয়ে মুসলিম সংখ্যালঘুদের টার্গেট করার লক্ষ্য, ঠিক তখন আবার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিচ্ছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। জমি বেদখল, দারিদ্র্য মুসলিমদের (অভিবাসী) সামাজিক ব্যাধির শিকর-ই জনবিস্ফোরণ। তাই এজন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী চান মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে এআইইউডিএফ ও আমসুর মতো সংখ্যালঘু সংগঠনগুলো এগিয়ে আসুক এবং তাদের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে এ ব্যাপারে কাজ করতে চান তিনি। তবে বিভিন্ন এলাকার মঠ-মন্দিরের জমি বা বনাঞ্চলে যে বসতি স্থাপন করা হয়েছে তা কোন মতেই সরকার করতে দেবে না বলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট বলে দিয়েছেন।

হিমন্তবিশ্ব শর্মা ক্ষমতায় আসার এক মাসের মাথায় অবৈধ ড্রাগসহ বিভিন্ন দুর্নীতি এবং উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। বিশেষ করে মন্দির, মঠ ও সত্রের জমি এবং বনাঞ্চল বেদখলমুক্ত করা হচ্ছে। এই আভিযানে সিপাঝাড়ে ১৮০ বিঘা, হোজাইয়ে ২৫০০ বিঘা জমি বেদখলমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া চাতিয়া, করমগঞ্জেও সরকারি জমি ও বনাঞ্চল থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে সরকারি- জমি ও বনাঞ্চল বেশিরভাগ বেদখল করেছে বাংলাদেস থেকে আসা মুসলিম অভিবাসীরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী আসমি মুসলমানদের ব্যাপারে বলেছেন, তারা কখনও সরকারি জমি বা বনাঞ্চল বেদখল করেন না তারা আমাদের ভূমিপুত্র।

কিন্তু এই উচ্ছেদ আভিযানে সরকার কোন কিছু মান্য না করেই নির্বিচারে বেশিরভাগ উচ্ছেদ করছে মুসলিমদের। নতুন সরকারের এই উচ্ছেদ আভিযানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। বিশেষ করে আমসু ও এআইইউডিএফ’র মতো সংখ্যালঘু সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে। তাদের বক্তব্য পুনর্বাসন না করে কোন মানুষকে উচ্ছেদ করা চলবে না। এ নিয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছে রাজপথে। কিন্তু আসাম সরকার তাদের এই দাবি না মেনে আবার নতুন করে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে হিমন্ত বলেছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে সামনে এমন দিন আসবে যখন থাকার জন্য স্থান সংকুলান হবে না। জমি বেদখলের মূল কারণই হচ্ছে জনসংখ্যার আধিক্য। এ ব্যাপারে প্রতিরোধ গড়ে তোলা না হলে সরকারি জমি, মঠ আর মন্দিরের জমি বেদখল করে বসতিস্থাপন করতে হবে, কিন্তু অন্য লোকেরা তা মেনে নেবে না ফলে এ নিয়ে সংঘাত অনিবার্য।

তাই সংগঠনগুলোর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর উপদেশ, সরকারের সমালোচনা না করে মুসলিম পরিবারকে কীভাবে ছোট করা য়ায়, সেইসব চিন্তা করতে বলেছেন তাদের। সহজভাবে তিনি বলেন, একটি পরিবারে দশ বারোটি সন্তান হলে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে, কামাখ্যার জমিতে, আমার বাড়িতে তাদের বসতি স্থাপন করতে হবে, নয়ত আমরা জমি কোথায় পাব? নি¤œ আসামের কোন এক বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচ বছর আগে যেখানে মাত্র ৬৫ হাজার জনসংখ্যা ছিল, সেখানে বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০ হাজার। এই উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব জানান, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আমরা আরও কিছু পদক্ষেপ নেব।

back to top