একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ২৪-এর লোকসভা ভোটে জোট তৈরির সলতে পাকানো শুরু হলো। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বুধবার ‘শহীদ দিবসের’ ভাষণে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট তৈরির ডাক দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তিনি বলেন,‘ খেলা এখনও শেষ হয়নি। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে না সরানো পর্যন্ত এই খেলা অব্যাহত থাকবে। ১৬ অগাস্ট উদযাপিত হবে ‘খেলা হবে দিবস’।
তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় মোক্ষম সময় এখন। দিল্লি দখলের লক্ষ্যে এখন থেকেই এক হয়ে চলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া।’
বুধবার একুশে জুলাই শহদি দিবসের ভার্চুয়াল সভায় ভাষণে দিতে গিয়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে একসঙ্গে চলার বার্তা দিলেন মমতা।
বাংলায় বিরাট জয়ের জন্য এ দিন মহিলাদের আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানালেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘কর্মীদের দল তৃণমূল। বুথ কর্মী, সাধারণ মানুষ ও মা-বোনেদের অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি নির্বাচনের সময় দেখেছি বিজেপি যত অত্যাচার করেছে আমার মা-বোনেরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন। আমার সভায় এসেছেন তাঁরা। হুইলচেয়ারে সভা করতে হয়েছে। মা-বোনেরা, তপশিলী-আদিবাসী ভাইবোনেরা এবং কৃষকরা মিলে আমার দলকে জিতিয়েছেন। আপনাদের কাছে আমি ও আমার দল চিরকৃতজ্ঞ। ঈদ মোবারক জানাই। খোদা সবাইকে ভালো রাখুন। সব ধর্ম-বর্ণ মিলে ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়তে চাই।’
বাংলায় ভোটে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল। সেই খেলায় জয় হয়েছে নেত্রীর। তবে খেলা এখনও শেষ হয়নি। ২৪-র মিশন বেঁধে দিলেন মমতা। তাঁর কথায়,‘ খেলা একটা হয়েছে। ৫ মে যার রেজাল্ট আপনারা দেখতে পেয়েছেন। খেলা আবার হবে। যত দিন বিজেপিকে ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত না করতে না পারি ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা ।’
২১ শে জুলাই শহিদ দিবসের ভাষণে তৃণমূল নেত্রীর মূল টার্গেট হল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। উপর্যুপরি তিন বার রাজ্যে ক্ষমতা দখলে রাখার পর এই “শহিদ দিবস” কেই যে মমতা বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করার জন্য বেছে নেবেন তা হয়ত গেরুয়া শিবিরও জানত। তাই এদিন বিজেপিও দিল্লি ও কলকাতায় “গণতন্ত্র বাঁচাও” কর্মসূচি পালন করেতারা। মমতার এই ভাষণ শুধু কলকাতা নয়, রাজ্য পেরিয়ে পাঞ্জাব, গুজরাট, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যের লাইভ প্রচার হয়েছে।
মমতা বলেন, ‘২০২৪ সালে কি হবে জানিনা, তবে আগে থেকেই সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।’ তিনি জানান, দু’তিনদিনের জন্য তিনি দিল্লি যাবেন। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই সভা থেকেই সেই সময় দিল্লিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করার জন্য এনসিপি সভাপতি শারদ পাওয়ারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা।
মমতা বলেন, ‘পেগাসাস কাণ্ডকে সামনে রেখে মমতার অভিযোগ, সারা দেশেই গোয়েন্দাগিরি চলছে।আমি চিদম্বরমকে ফোন করতে পারি না, ফোনে আড়িপাতা হয়। আমাকে ফোনের ক্যামেরায় প্লাস্টার লাগাতে হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, ‘রান্নার গ্যাসের দাম ৪৭ বার বেড়েছে। প্রায় পৌনে চার লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে গৃহস্থর। বিজেপি সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় অধিকার, বিচারব্যবস্থাকে শেষ করছে।’ এই পরিস্থিতিতে দেশকে বাঁচাতে একমাত্র বিচারব্যবস্থার উপরেই আস্থা রাখেন মমতা।
রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেই মমতা ঘোষণা করেছিলেন, একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস ও নির্বাচন জয়ের বিজয়োৎসব একসঙ্গে হবে। কিন্তু, করোনাবিধি মেনে, গত বছরের মতো এবারও, ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর বক্তব্য, সরাসরি সম্প্রচার করা হয় দেশের দিল্লি, গুজরাত সহ ৬টি রাজ্যে। দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে উপস্থিত হন বিজেপি বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। কার্যত মমতার ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে ধরা পড়ে বিরোধী ঐক্যের ছবি।
বুধবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের বার্তা পৌঁছে দিতে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো পাশের রাজ্য ত্রিপুরাতেও লাগানো হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। দলীয় কর্মসূচি পালনে বুধবার সকালে কৈলাশ নগরে দলীয় কর্মীদের জমায়েত করতে উপস্থিত হন আশিষলাল সিনহা ও ত্রিপুরার অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। অভিযোগ, সেইসময় বিজেপি কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। একইসঙ্গে এই সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ৮২ জন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তৃণমূলের তরফ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে সরব হলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি , টুইট করে লেখেন, এই ভাবে তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’
বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ২৪-এর লোকসভা ভোটে জোট তৈরির সলতে পাকানো শুরু হলো। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বুধবার ‘শহীদ দিবসের’ ভাষণে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট তৈরির ডাক দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তিনি বলেন,‘ খেলা এখনও শেষ হয়নি। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে না সরানো পর্যন্ত এই খেলা অব্যাহত থাকবে। ১৬ অগাস্ট উদযাপিত হবে ‘খেলা হবে দিবস’।
তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় মোক্ষম সময় এখন। দিল্লি দখলের লক্ষ্যে এখন থেকেই এক হয়ে চলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া।’
বুধবার একুশে জুলাই শহদি দিবসের ভার্চুয়াল সভায় ভাষণে দিতে গিয়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে একসঙ্গে চলার বার্তা দিলেন মমতা।
বাংলায় বিরাট জয়ের জন্য এ দিন মহিলাদের আলাদা করে কৃতজ্ঞতা জানালেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘কর্মীদের দল তৃণমূল। বুথ কর্মী, সাধারণ মানুষ ও মা-বোনেদের অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি নির্বাচনের সময় দেখেছি বিজেপি যত অত্যাচার করেছে আমার মা-বোনেরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন। আমার সভায় এসেছেন তাঁরা। হুইলচেয়ারে সভা করতে হয়েছে। মা-বোনেরা, তপশিলী-আদিবাসী ভাইবোনেরা এবং কৃষকরা মিলে আমার দলকে জিতিয়েছেন। আপনাদের কাছে আমি ও আমার দল চিরকৃতজ্ঞ। ঈদ মোবারক জানাই। খোদা সবাইকে ভালো রাখুন। সব ধর্ম-বর্ণ মিলে ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়তে চাই।’
বাংলায় ভোটে ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল। সেই খেলায় জয় হয়েছে নেত্রীর। তবে খেলা এখনও শেষ হয়নি। ২৪-র মিশন বেঁধে দিলেন মমতা। তাঁর কথায়,‘ খেলা একটা হয়েছে। ৫ মে যার রেজাল্ট আপনারা দেখতে পেয়েছেন। খেলা আবার হবে। যত দিন বিজেপিকে ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত না করতে না পারি ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা ।’
২১ শে জুলাই শহিদ দিবসের ভাষণে তৃণমূল নেত্রীর মূল টার্গেট হল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। উপর্যুপরি তিন বার রাজ্যে ক্ষমতা দখলে রাখার পর এই “শহিদ দিবস” কেই যে মমতা বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করার জন্য বেছে নেবেন তা হয়ত গেরুয়া শিবিরও জানত। তাই এদিন বিজেপিও দিল্লি ও কলকাতায় “গণতন্ত্র বাঁচাও” কর্মসূচি পালন করেতারা। মমতার এই ভাষণ শুধু কলকাতা নয়, রাজ্য পেরিয়ে পাঞ্জাব, গুজরাট, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যের লাইভ প্রচার হয়েছে।
মমতা বলেন, ‘২০২৪ সালে কি হবে জানিনা, তবে আগে থেকেই সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।’ তিনি জানান, দু’তিনদিনের জন্য তিনি দিল্লি যাবেন। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই সভা থেকেই সেই সময় দিল্লিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করার জন্য এনসিপি সভাপতি শারদ পাওয়ারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা।
মমতা বলেন, ‘পেগাসাস কাণ্ডকে সামনে রেখে মমতার অভিযোগ, সারা দেশেই গোয়েন্দাগিরি চলছে।আমি চিদম্বরমকে ফোন করতে পারি না, ফোনে আড়িপাতা হয়। আমাকে ফোনের ক্যামেরায় প্লাস্টার লাগাতে হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, ‘রান্নার গ্যাসের দাম ৪৭ বার বেড়েছে। প্রায় পৌনে চার লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে গৃহস্থর। বিজেপি সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় অধিকার, বিচারব্যবস্থাকে শেষ করছে।’ এই পরিস্থিতিতে দেশকে বাঁচাতে একমাত্র বিচারব্যবস্থার উপরেই আস্থা রাখেন মমতা।
রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেই মমতা ঘোষণা করেছিলেন, একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস ও নির্বাচন জয়ের বিজয়োৎসব একসঙ্গে হবে। কিন্তু, করোনাবিধি মেনে, গত বছরের মতো এবারও, ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর বক্তব্য, সরাসরি সম্প্রচার করা হয় দেশের দিল্লি, গুজরাত সহ ৬টি রাজ্যে। দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে উপস্থিত হন বিজেপি বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। কার্যত মমতার ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে ধরা পড়ে বিরোধী ঐক্যের ছবি।
বুধবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের বার্তা পৌঁছে দিতে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো পাশের রাজ্য ত্রিপুরাতেও লাগানো হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। দলীয় কর্মসূচি পালনে বুধবার সকালে কৈলাশ নগরে দলীয় কর্মীদের জমায়েত করতে উপস্থিত হন আশিষলাল সিনহা ও ত্রিপুরার অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। অভিযোগ, সেইসময় বিজেপি কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। একইসঙ্গে এই সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ৮২ জন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তৃণমূলের তরফ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে সরব হলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি , টুইট করে লেখেন, এই ভাবে তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’