গত আট দিন ধরে কাশ্মিরের পুঞ্চ জেলার একটি জঙ্গলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের লড়াই চলছে। লড়াইয়ের তীব্রতা দেখে ভারতের সেনাবাহিনী ও পুলিশের ধারণা এসব সন্ত্রাসী পাকিস্তানি কমান্ডোদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের বরাতে ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।
গত সোমবার থেকে চলা লড়াইয়ে ভারতের দুই জুনিয়র কমিশন অফিসারসহ নয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে কাশ্মিরে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্দুকযুদ্ধ।
তবে এই বন্দুকযুদ্ধে কোনও সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেননা এখন পর্যন্ত কোনও মরদেহ উদ্ধার হয়নি। ৮-৯ কিলোমিটার জঙ্গল এলাকায় লড়াই চলছে। এলাকাটি শক্ত নিরাপত্তা বেস্টনিতে ঘিরে রাখা হয়েছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রথম লড়াই শুরু হয় গত ১০ অক্টোবর রাতে। সেদিনই এক জুনিয়র কমিশন অফিসারসহ ৫ সেনা সদস্য নিহত হয়। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত পুঞ্চ জেলার ডেরা ওয়ালি গলিতে এই লড়াই চলে।
ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার নার খাস জঙ্গলে সন্ত্রাসীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সে সময় দুই সেনা নিহত এবং আরও দুই জন নিখোঁজ হয়। দুই দিন পর জোরালো তল্লাশির পর তাদেরও মরদেহ পাওয়া যায়।
সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী দলটি যেভাবে ক্ষয়ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে আর বিগত আট দিন ধরে হাজার হাজার নিরাপত্তা সদস্যের চোখ এড়াতে সক্ষম হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এলিট কমান্ডোদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
গ্রুপটিতে পাকিস্তানি কমান্ডো থাকতে পারে বলেও ধারণা করছে ভারতীয় বাহিনী। ‘তবে কাউকে হত্যা করা গেলেই কেবল নিশ্চিত হওয়া যাবে,’ বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
ধারণা করা হচ্ছে এই মুহূর্তে সন্ত্রাসীদের কোনঠাসা করে ফেলা গেছে। আর সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো এবং হেলিকপ্টারের সহায়তায় খুব শিগগিরই এই প্রাণঘাতী লড়াইয়ের অবসান ঘটানো যাবে বলে আশা করছে ভারতীয় বাহিনী।
সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
গত আট দিন ধরে কাশ্মিরের পুঞ্চ জেলার একটি জঙ্গলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের লড়াই চলছে। লড়াইয়ের তীব্রতা দেখে ভারতের সেনাবাহিনী ও পুলিশের ধারণা এসব সন্ত্রাসী পাকিস্তানি কমান্ডোদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের বরাতে ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।
গত সোমবার থেকে চলা লড়াইয়ে ভারতের দুই জুনিয়র কমিশন অফিসারসহ নয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে কাশ্মিরে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী বন্দুকযুদ্ধ।
তবে এই বন্দুকযুদ্ধে কোনও সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেননা এখন পর্যন্ত কোনও মরদেহ উদ্ধার হয়নি। ৮-৯ কিলোমিটার জঙ্গল এলাকায় লড়াই চলছে। এলাকাটি শক্ত নিরাপত্তা বেস্টনিতে ঘিরে রাখা হয়েছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রথম লড়াই শুরু হয় গত ১০ অক্টোবর রাতে। সেদিনই এক জুনিয়র কমিশন অফিসারসহ ৫ সেনা সদস্য নিহত হয়। নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত পুঞ্চ জেলার ডেরা ওয়ালি গলিতে এই লড়াই চলে।
ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার নার খাস জঙ্গলে সন্ত্রাসীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সে সময় দুই সেনা নিহত এবং আরও দুই জন নিখোঁজ হয়। দুই দিন পর জোরালো তল্লাশির পর তাদেরও মরদেহ পাওয়া যায়।
সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী দলটি যেভাবে ক্ষয়ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে আর বিগত আট দিন ধরে হাজার হাজার নিরাপত্তা সদস্যের চোখ এড়াতে সক্ষম হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এলিট কমান্ডোদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
গ্রুপটিতে পাকিস্তানি কমান্ডো থাকতে পারে বলেও ধারণা করছে ভারতীয় বাহিনী। ‘তবে কাউকে হত্যা করা গেলেই কেবল নিশ্চিত হওয়া যাবে,’ বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
ধারণা করা হচ্ছে এই মুহূর্তে সন্ত্রাসীদের কোনঠাসা করে ফেলা গেছে। আর সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো এবং হেলিকপ্টারের সহায়তায় খুব শিগগিরই এই প্রাণঘাতী লড়াইয়ের অবসান ঘটানো যাবে বলে আশা করছে ভারতীয় বাহিনী।