দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার গৌতেং প্রদেশে ৭৭ জনের দেহে এই ধরনটি পাওয়া গেছে; এর বাইরে বতসোয়ানায় যে চারজন ও হংকংয়ে একজনের দেহে এ ধরন শনাক্ত হয়েছে, তারাও মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাওয়া।
প্রাথমিকভাবে এটির বৈজ্ঞানিক নাম রাখা হয়েছে বি.১.১.৫২৯। এটি দ্রুত রূপান্তর ঘটিয়ে বিস্তার ঘটাতে সক্ষম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দেশটির বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য জানান। বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের যত ধরন শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশিবার জিনের বিন্যাস বদলানো সংস্করণ।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অন্য ধরনগুলোর মতো এরও একটি গ্রিক নাম দেবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ধরনটি এতবার রূপ বদলেছে যে একে ‘ভয়ংকর’ অ্যখ্যা দিয়েছেন এক বিজ্ঞানী, আরেকজনের মতে তাদের দেখা সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরন এই বি ১.১.৫২৯।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোয়ে ফাহলা বলেন, এটি খুবই উদ্বেগের একটি বিষয়। এমনিতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। ভাইরাসটির নতুন ধরনের কারণে তা বিপদ আরও বাড়াতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ধরনটি কত দ্রুত ছড়ায়, টিকার সুরক্ষা এড়িয়ে যেতে পারে কিনা- এসব প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর এখনও মেলেনি; ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীও এখন পর্যন্ত খুব বেশি শনাক্ত হয়নি।
গৌতেংয়ে শনাক্ত কোভিড রোগীদের ৯০ শতাংশের মধ্যেই সম্ভবত এখন এই বি.১.১.৫২৯ পাওয়া যাবে এবং ধরনটি ‘হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার সব প্রদেশেই মিলবে’ বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।
তবে এটি ডেল্টা ধরনের তুলনায় দ্রুত ছড়ায় কিনা, অন্য ধরনগুলোর তুলনায় বেশি প্রাণঘাতী কিনা, যেসব দেশে টিকাদানের হার অনেক বেশি সেখানে বিস্তার লাভ করতে সক্ষম কিনা- তা এখনও অস্পষ্ট।
নতুন এ ধরনটি মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর প্রতিবেশী ৫ দেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত যত ধরন দেখেছেন, তার মধ্যে এই বি.১.১.৫২৯-ই ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’, বলছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা।
ধরনটির স্পাইক প্রোটিন উহানে শনাক্ত করোনাভাইরাসের আদিরূপের তুলনায় আলাদা। যে কারণে এটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকাগুলোর সুরক্ষাকে পাশ কাটাতে বেশি সক্ষম হতে পারে এবং মহামারী পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বলে শঙ্কা তাদের।
অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের ওপর নজর রাখছে। ঝুঁকির পরিমাণ বেশি বলে মনে হলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর আশপাশের দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে ইচ্ছুকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা।
নিউ জিল্যান্ড বলেছে, তারা কোভিডের এই নতুন ধরনের জন্যও প্রস্তুত। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে রাজ্যগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ থেকে আগতদের ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছে।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৮৯ হাজার ৬৫৭ জন।
শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার গৌতেং প্রদেশে ৭৭ জনের দেহে এই ধরনটি পাওয়া গেছে; এর বাইরে বতসোয়ানায় যে চারজন ও হংকংয়ে একজনের দেহে এ ধরন শনাক্ত হয়েছে, তারাও মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাওয়া।
প্রাথমিকভাবে এটির বৈজ্ঞানিক নাম রাখা হয়েছে বি.১.১.৫২৯। এটি দ্রুত রূপান্তর ঘটিয়ে বিস্তার ঘটাতে সক্ষম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দেশটির বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য জানান। বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের যত ধরন শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশিবার জিনের বিন্যাস বদলানো সংস্করণ।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অন্য ধরনগুলোর মতো এরও একটি গ্রিক নাম দেবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ধরনটি এতবার রূপ বদলেছে যে একে ‘ভয়ংকর’ অ্যখ্যা দিয়েছেন এক বিজ্ঞানী, আরেকজনের মতে তাদের দেখা সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরন এই বি ১.১.৫২৯।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোয়ে ফাহলা বলেন, এটি খুবই উদ্বেগের একটি বিষয়। এমনিতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। ভাইরাসটির নতুন ধরনের কারণে তা বিপদ আরও বাড়াতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ধরনটি কত দ্রুত ছড়ায়, টিকার সুরক্ষা এড়িয়ে যেতে পারে কিনা- এসব প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর এখনও মেলেনি; ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীও এখন পর্যন্ত খুব বেশি শনাক্ত হয়নি।
গৌতেংয়ে শনাক্ত কোভিড রোগীদের ৯০ শতাংশের মধ্যেই সম্ভবত এখন এই বি.১.১.৫২৯ পাওয়া যাবে এবং ধরনটি ‘হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার সব প্রদেশেই মিলবে’ বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।
তবে এটি ডেল্টা ধরনের তুলনায় দ্রুত ছড়ায় কিনা, অন্য ধরনগুলোর তুলনায় বেশি প্রাণঘাতী কিনা, যেসব দেশে টিকাদানের হার অনেক বেশি সেখানে বিস্তার লাভ করতে সক্ষম কিনা- তা এখনও অস্পষ্ট।
নতুন এ ধরনটি মোকাবেলায় যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর প্রতিবেশী ৫ দেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত যত ধরন দেখেছেন, তার মধ্যে এই বি.১.১.৫২৯-ই ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’, বলছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা।
ধরনটির স্পাইক প্রোটিন উহানে শনাক্ত করোনাভাইরাসের আদিরূপের তুলনায় আলাদা। যে কারণে এটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকাগুলোর সুরক্ষাকে পাশ কাটাতে বেশি সক্ষম হতে পারে এবং মহামারী পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বলে শঙ্কা তাদের।
অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের ওপর নজর রাখছে। ঝুঁকির পরিমাণ বেশি বলে মনে হলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর আশপাশের দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে ইচ্ছুকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা।
নিউ জিল্যান্ড বলেছে, তারা কোভিডের এই নতুন ধরনের জন্যও প্রস্তুত। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে রাজ্যগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশ’ থেকে আগতদের ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছে।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৮৯ হাজার ৬৫৭ জন।