দক্ষিণ আফ্রিকায় গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন শনাক্ত হয়েছে জানার পর থেকেই কাজে লেগে গেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করার আগেই ডারবানসহ বিভিন্ন জায়গার বিজ্ঞানীরা গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে ‘ওমিক্রন’।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই কীভাবে রূপ বদলে ওমিক্রন ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তার একটি চিত্র তৈরি করে ফেলেছে।
এছাড়া অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে মিল-অমিলের দিকগুলোও বের করে ফেলেছেন তারা। তবে সেগুলোর তুলনায়, বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে তুলনায়, এটি কতখানি ভয়াবহ তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।
সেজন্য তারা বাস্তবে কী ঘটছে তা দেখবেন। রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করবেন।
তারা দেখবেন ওমিক্রন সংক্রমিতদের দেহে কী ধরনের উপসর্গ ও সমস্যা তৈরি করে এবং টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মাত্রা ও আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা দেখবেন।
বাস্তবের তথ্য থেকে তাদের এই পরীক্ষা কয়েক মাস লাগতে পারে।
টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক মুখপাত্র সিএনএনকে জানান তাদের প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই আফ্রিকার বতসোয়ানা ও এসওয়াতিনি - যেখানে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে - সেখানে গবেষণা শুরু করেছে।
ফাইজার এবং তার সহযোগী বায়োএনটেক, মডার্না এবং জনসনএন্ডজনসন-তারাও পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে।
সোমবার জনসন এন্ড জনসনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারাও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা যাচাইয়ে তাদের টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহীতাদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এইসব পরীক্ষার লক্ষ্য ওমিক্রনের ঝুঁকি বিশ্বকে জানানো।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এর ডিরেক্টর ড. ফ্রান্সিস কলিন্স বলেন, ‘দুইভাবে আমরা এটি করবো। একটি হচ্ছে গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে ল্যাবে ওমিক্রন ভাইরাস বড় করা হবে। তারপর তা টিকা গ্রহণ করেছে এমন ব্যক্তির শরীর থেকে নেওয়া রক্তে দিয়ে দেখা হবে তা ওমিক্রম ভ্যারিয়েন্টকে দমাতে পারে কি না।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিকাল লীড মারিয়া ভন কারখোভ সিএনএনকে জানান এই ভাইরাসগুলো পরীক্ষার উপযোগী করতে দুই থেকে চার সপ্তাহ লাগবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ই্নস্টিটিউট অব অ্যালার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে করোনাভাইরাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাব্য প্রভাব যাচাইয়ে পরীক্ষার পদ্ধতি সবিস্তারে তুলে ধরেন।
তার সেই বক্তব্য থেকে জানা যায় যারা টিকা নিয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে তাদের শরীর থেকে সংগৃহীত রক্তের নমুনায় ওমিক্রন দিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে এই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব যাচাই করা হবে। তিনি বলেন ‘দুসপ্তাহ বা তার বেশি লাগতে পারে, আবার হয়তো কমও লাগতে পারে।’
আর দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমণের ঘটনা থেকে যাচাই করা হবে ডেল্টা ভাইরাসের তুলনায় এটি কতখানি শক্তিশালী, কত দ্রুত ছড়াচ্ছে।
আবার যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার ড: জ্যানেট উডকক এক বিবৃতিতে নতুন ভ্যারিয়েন্টটার প্রভাব কেমন হতে যাচ্ছে তার গবেষণা ও পরীক্ষায় স্বাস্থ্যসেবাখাতের সব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১
দক্ষিণ আফ্রিকায় গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন শনাক্ত হয়েছে জানার পর থেকেই কাজে লেগে গেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করার আগেই ডারবানসহ বিভিন্ন জায়গার বিজ্ঞানীরা গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে ‘ওমিক্রন’।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই কীভাবে রূপ বদলে ওমিক্রন ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তার একটি চিত্র তৈরি করে ফেলেছে।
এছাড়া অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে মিল-অমিলের দিকগুলোও বের করে ফেলেছেন তারা। তবে সেগুলোর তুলনায়, বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে তুলনায়, এটি কতখানি ভয়াবহ তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।
সেজন্য তারা বাস্তবে কী ঘটছে তা দেখবেন। রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করবেন।
তারা দেখবেন ওমিক্রন সংক্রমিতদের দেহে কী ধরনের উপসর্গ ও সমস্যা তৈরি করে এবং টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের মাত্রা ও আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা দেখবেন।
বাস্তবের তথ্য থেকে তাদের এই পরীক্ষা কয়েক মাস লাগতে পারে।
টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক মুখপাত্র সিএনএনকে জানান তাদের প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই আফ্রিকার বতসোয়ানা ও এসওয়াতিনি - যেখানে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে - সেখানে গবেষণা শুরু করেছে।
ফাইজার এবং তার সহযোগী বায়োএনটেক, মডার্না এবং জনসনএন্ডজনসন-তারাও পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে।
সোমবার জনসন এন্ড জনসনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তারাও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা যাচাইয়ে তাদের টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহীতাদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এইসব পরীক্ষার লক্ষ্য ওমিক্রনের ঝুঁকি বিশ্বকে জানানো।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এর ডিরেক্টর ড. ফ্রান্সিস কলিন্স বলেন, ‘দুইভাবে আমরা এটি করবো। একটি হচ্ছে গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে ল্যাবে ওমিক্রন ভাইরাস বড় করা হবে। তারপর তা টিকা গ্রহণ করেছে এমন ব্যক্তির শরীর থেকে নেওয়া রক্তে দিয়ে দেখা হবে তা ওমিক্রম ভ্যারিয়েন্টকে দমাতে পারে কি না।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিকাল লীড মারিয়া ভন কারখোভ সিএনএনকে জানান এই ভাইরাসগুলো পরীক্ষার উপযোগী করতে দুই থেকে চার সপ্তাহ লাগবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ই্নস্টিটিউট অব অ্যালার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে করোনাভাইরাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাব্য প্রভাব যাচাইয়ে পরীক্ষার পদ্ধতি সবিস্তারে তুলে ধরেন।
তার সেই বক্তব্য থেকে জানা যায় যারা টিকা নিয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে তাদের শরীর থেকে সংগৃহীত রক্তের নমুনায় ওমিক্রন দিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে এই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব যাচাই করা হবে। তিনি বলেন ‘দুসপ্তাহ বা তার বেশি লাগতে পারে, আবার হয়তো কমও লাগতে পারে।’
আর দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমণের ঘটনা থেকে যাচাই করা হবে ডেল্টা ভাইরাসের তুলনায় এটি কতখানি শক্তিশালী, কত দ্রুত ছড়াচ্ছে।
আবার যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার ড: জ্যানেট উডকক এক বিবৃতিতে নতুন ভ্যারিয়েন্টটার প্রভাব কেমন হতে যাচ্ছে তার গবেষণা ও পরীক্ষায় স্বাস্থ্যসেবাখাতের সব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।