ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সেমেরু আগ্নেয়গিরির উদগীরণে ছাই ও ধোঁয়ার বিশাল মেঘ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে; এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে, আহত হয়েছে বহু মানুষ।
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, উদগীরণের পর একটি খনিতে আটকা পড়া ১০ ব্যক্তিকে রোববার নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জাভা দ্বীপের সবচেয়ে উঁচু এই আগ্নেয়গিরি থেকে শনিবার উত্তপ্ত ছাই ও ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডুলি উৎক্ষিপ্ত হয়। তাতে পূর্ব জাভা প্রদেশের পার্বত্য গ্রামগুলো ছাইয়ে ঢাকা পড়ে, আতঙ্কিত লোকজন বাড়ি ছেড়ে সরে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদগীরণের কারণে লুমাজাং জেলার দুটি এলাকার সঙ্গে মালাং শহরের সংযোগকারী একটি সেতু বন্ধ হয়ে গেছে। বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
বিএনপিবির কর্মকর্তা আবদুল মুহারি জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত নিহত ১৩ জনের মধ্যে দুইজনকে শনাক্ত করা গেছে।
আহত হয়েছেন অন্তত ৯৮ জন, তাদের মধ্যে দুইজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন। ৯০২ জনকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
লুমাজাংয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা থোরিকুল হক জানান, ওই এলাকার একটি বালু খনির কর্মীরা আটকা পড়ে গিয়েছিলেন, পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
ঊদগীরণের পর এলাকা ছেড়ে আসা লোকজনের আশ্রয়ের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ। তবে উত্তাপ আর ধোঁয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিএনপিবির প্রধান সুহারিয়ানতো।
বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এয়ারনাভ ইন্দোনেশিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদগীরণের কারণে ফ্লাইট চলাচলে ‘উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব’ পড়েনি।
ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে সেমেরু একটি। জাভা দ্বীপে ৩৬০০ মিটার উঁচু এ আগ্নেয়গিরি থেকে গত জানুয়ারিতেও উদগীরণ হয়েছিল, তবে তখন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’ বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার ওপর ছড়িয়ে থাকা বহু দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। কয়েকটি টেকটনিক প্লেটের প্রান্তসীমা রয়েছে ওই এলাকায়, ফলে সেখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয় এবং অনেকগুলো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়েছে।
সেমেরু আগ্নেয়গিরির উদগীরণের পর রোববার সেখান থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার উত্তরপূর্বে হালমাহেরা এলাকার কাছে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।
রোববার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সেমেরু আগ্নেয়গিরির উদগীরণে ছাই ও ধোঁয়ার বিশাল মেঘ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে; এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে, আহত হয়েছে বহু মানুষ।
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, উদগীরণের পর একটি খনিতে আটকা পড়া ১০ ব্যক্তিকে রোববার নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জাভা দ্বীপের সবচেয়ে উঁচু এই আগ্নেয়গিরি থেকে শনিবার উত্তপ্ত ছাই ও ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডুলি উৎক্ষিপ্ত হয়। তাতে পূর্ব জাভা প্রদেশের পার্বত্য গ্রামগুলো ছাইয়ে ঢাকা পড়ে, আতঙ্কিত লোকজন বাড়ি ছেড়ে সরে যায়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদগীরণের কারণে লুমাজাং জেলার দুটি এলাকার সঙ্গে মালাং শহরের সংযোগকারী একটি সেতু বন্ধ হয়ে গেছে। বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
বিএনপিবির কর্মকর্তা আবদুল মুহারি জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত নিহত ১৩ জনের মধ্যে দুইজনকে শনাক্ত করা গেছে।
আহত হয়েছেন অন্তত ৯৮ জন, তাদের মধ্যে দুইজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন। ৯০২ জনকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
লুমাজাংয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা থোরিকুল হক জানান, ওই এলাকার একটি বালু খনির কর্মীরা আটকা পড়ে গিয়েছিলেন, পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
ঊদগীরণের পর এলাকা ছেড়ে আসা লোকজনের আশ্রয়ের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ। তবে উত্তাপ আর ধোঁয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিএনপিবির প্রধান সুহারিয়ানতো।
বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এয়ারনাভ ইন্দোনেশিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদগীরণের কারণে ফ্লাইট চলাচলে ‘উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব’ পড়েনি।
ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে সেমেরু একটি। জাভা দ্বীপে ৩৬০০ মিটার উঁচু এ আগ্নেয়গিরি থেকে গত জানুয়ারিতেও উদগীরণ হয়েছিল, তবে তখন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’ বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার ওপর ছড়িয়ে থাকা বহু দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। কয়েকটি টেকটনিক প্লেটের প্রান্তসীমা রয়েছে ওই এলাকায়, ফলে সেখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয় এবং অনেকগুলো আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়েছে।
সেমেরু আগ্নেয়গিরির উদগীরণের পর রোববার সেখান থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার উত্তরপূর্বে হালমাহেরা এলাকার কাছে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।