ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে। আর তাতে এক বাংলাদেশিসহ দুইজন আহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় জাযান অঞ্চলের আহাদ আল-মাসারিহাহ শিল্প এলাকায়। একজন বাংলাদেশি ও একজন সুদানি নাগরিক আহত হয়েছেন বলে সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তবে আহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। এ বিষয়ে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের কারও বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কয়েকটি গাড়ি মেরামতের দোকান ও বেসামরিক গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সম্প্রতি ইয়েমেনের একটি কারাগারে সৌদি জোটের বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
এক হুতি কর্মকর্তা এবং দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, উত্তর ইয়েমেনের একটি কারাগারে বিমান হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হন। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সংঘাত গত সোমবার আবুধাবিতে হুতিদের ড্রোন হামলার পর নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে আহাদ আল-মাসারিহাহ শিল্প এলাকায় হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তৃতীয়বারের মত অন্য দেশের নাগরিক আহত হলেন।
ইয়েমেন থেকে পাঠানো দুটি ড্রোন ধ্বংস করার কথাও জানিয়েছে জোট বাহিনী।
তারা এই হামলাকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ ও নিষ্ঠুর’ বলে তা ‘দৃঢ়ভাবে’ মোকাবেলার কথা বলেছে।
সৌদি নেতৃত্বে জোট বাহিনী ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করছে। গত সোমবার জোট বাহিনীর আরেক সদস্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি শহরে এক হামলা চালায় হুতিরা। তাতে প্রবাসী দুই ভারতীয় এবং এক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হন।
তখন হুতিরা সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ও ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা করে।
এরপর ইয়েমেনে হুতিদের সামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতে বিমান হামলা জোরদার করেছে সৌদি নেতৃত্বের জোট।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখল করে নেয় দেশটির ইরান-সমর্থিত শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হাদি। হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি-আমিরাতের সামরিক জোট। এরপর থেকেই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে।
এতে ইয়েমেনের লাখো মানুষ নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ক্ষমতাধর প্রতিবেশীদের ধারাবাহিক হামলায় দেশটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে। আর তাতে এক বাংলাদেশিসহ দুইজন আহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় জাযান অঞ্চলের আহাদ আল-মাসারিহাহ শিল্প এলাকায়। একজন বাংলাদেশি ও একজন সুদানি নাগরিক আহত হয়েছেন বলে সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তবে আহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। এ বিষয়ে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের কারও বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কয়েকটি গাড়ি মেরামতের দোকান ও বেসামরিক গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সম্প্রতি ইয়েমেনের একটি কারাগারে সৌদি জোটের বিমান হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
এক হুতি কর্মকর্তা এবং দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, উত্তর ইয়েমেনের একটি কারাগারে বিমান হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হন। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সংঘাত গত সোমবার আবুধাবিতে হুতিদের ড্রোন হামলার পর নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে আহাদ আল-মাসারিহাহ শিল্প এলাকায় হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তৃতীয়বারের মত অন্য দেশের নাগরিক আহত হলেন।
ইয়েমেন থেকে পাঠানো দুটি ড্রোন ধ্বংস করার কথাও জানিয়েছে জোট বাহিনী।
তারা এই হামলাকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ ও নিষ্ঠুর’ বলে তা ‘দৃঢ়ভাবে’ মোকাবেলার কথা বলেছে।
সৌদি নেতৃত্বে জোট বাহিনী ২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করছে। গত সোমবার জোট বাহিনীর আরেক সদস্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি শহরে এক হামলা চালায় হুতিরা। তাতে প্রবাসী দুই ভারতীয় এবং এক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হন।
তখন হুতিরা সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ও ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা করে।
এরপর ইয়েমেনে হুতিদের সামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতে বিমান হামলা জোরদার করেছে সৌদি নেতৃত্বের জোট।
২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখল করে নেয় দেশটির ইরান-সমর্থিত শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হাদি। হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামের সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি-আমিরাতের সামরিক জোট। এরপর থেকেই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে।
এতে ইয়েমেনের লাখো মানুষ নিহত এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ক্ষমতাধর প্রতিবেশীদের ধারাবাহিক হামলায় দেশটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।