দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মুখে অনেক আগেই পদত্যাগ করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। এরপর ছাড়তে হয়েছে তার বাসভবন। এমনকি রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনে অগ্নিসংযোগও করেছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। তবে বিক্ষোভকারীদের এমন আগ্রাসনে রাজাপাকসেকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষাসচিব কমল গুণারত্নে। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী যেখানে যেতে চান, সেখানে তাকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১১ মে) শ্রীলঙ্কার চলমান টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে রাজধানী কলম্বোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কমল গুণারত্নে। এসময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমল গুণারত্নে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিজ–এর সামনে বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে উঠলে নিরাপত্তার জন্য মাহিন্দা রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি জানান, সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ত্রিঙ্কোমালির নৌ ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে তার পছন্দমতো জায়গায় তাকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এর আগে তুমুল বিক্ষোভের মুখে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তাতেও জনরোষ কমেনি। রাতে হাজারো বিক্ষোভকারী কলম্বোয় রাজাপাকসের বাসভবনের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আটকা পড়েন। পরে ভোরের আলো ফোটার আগেই সেনা পাহারায় কলম্বোর সরকারি বাসভবন ছাড়েন রাজাপাকসে।
লঙ্কান প্রতিরক্ষা বাহিনী ও রাজপাকসের পরিবারের সদস্যদের দাবি, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিঙ্কোমালি শহরে একটি নৌঘাঁটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। এমন খবরে ওই নৌঘাঁটিও ঘিরে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাজাপাকসের ভাই ও দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেরও পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তারা।
বুধবার, ১১ মে ২০২২
দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মুখে অনেক আগেই পদত্যাগ করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। এরপর ছাড়তে হয়েছে তার বাসভবন। এমনকি রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনে অগ্নিসংযোগও করেছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। তবে বিক্ষোভকারীদের এমন আগ্রাসনে রাজাপাকসেকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষাসচিব কমল গুণারত্নে। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী যেখানে যেতে চান, সেখানে তাকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১১ মে) শ্রীলঙ্কার চলমান টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে রাজধানী কলম্বোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কমল গুণারত্নে। এসময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমল গুণারত্নে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিজ–এর সামনে বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে উঠলে নিরাপত্তার জন্য মাহিন্দা রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি জানান, সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ত্রিঙ্কোমালির নৌ ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে তার পছন্দমতো জায়গায় তাকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এর আগে তুমুল বিক্ষোভের মুখে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তাতেও জনরোষ কমেনি। রাতে হাজারো বিক্ষোভকারী কলম্বোয় রাজাপাকসের বাসভবনের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আটকা পড়েন। পরে ভোরের আলো ফোটার আগেই সেনা পাহারায় কলম্বোর সরকারি বাসভবন ছাড়েন রাজাপাকসে।
লঙ্কান প্রতিরক্ষা বাহিনী ও রাজপাকসের পরিবারের সদস্যদের দাবি, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিঙ্কোমালি শহরে একটি নৌঘাঁটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। এমন খবরে ওই নৌঘাঁটিও ঘিরে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাজাপাকসের ভাই ও দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেরও পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তারা।