ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের আকস্মিক পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রেসিডেন্ট মানিক সাহা। পেশায় দন্তচিকিৎসক মানিক সাহা মাত্র দুই মাস আগে রাজ্যসভার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আগামী এক বছরের কম সমযের জন্য এ দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী বছর ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন।
এদিকে বিপ্লব দেব নিজেই টুইট করে মানিক সাহার নাম জানান৷ টুইটারে বিপ্লব দেব জানান, ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপি-র নতুন পরিষদীয় নেতা হচ্ছেন মানিক সাহা৷ নিজের উত্তরসূরিকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী৷
টুইটারে বিপ্লব দেব আরও লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ত্রিপুরার সমৃদ্ধি হবে৷’
ত্রিপুরায় স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মধ্যে আন্তঃকোন্দলের গুঞ্জন সম্প্রতি বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এ মধ্যেই শনিবার হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা জানান বিপ্লব।
তার আগে গত বৃহস্পতিবার বিপ্লব দিল্লি যান এবং পরদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে ফিরে এসেই তার পদত্যাগের ঘোষণায় মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশই পালন করেছেন তিনি।
বিপ্লবের পদত্যাগের পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে যায়। বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব এবং ত্রিপুরার পরিষদীয় দল।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে মানিকের সঙ্গে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব ভর্মার নামও শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মানিকেই ভরসা রাখে বিজেপি।
মানিক গত ৩১ মার্চ নির্বাচিত এবং ৩ এপ্রিল রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এখানো তার এমপি জীবনের দুইমাস পূর্ণ হয়নি। তার আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন।
৬৭ বছরের মানিককে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ছয়মাসের মধ্যে বিধানসভার কোনো একটি আসনে জিততে হবে। বিজেপির জন্য সেটা খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। ত্রিপুরার ৬০ আসনের বিধানসভায় গত নির্বাচনে ৪৪টিতে জয় পায় বিজেপি। তারই কোনও একটি থেকে হয়তো মানিকের জয় নিশ্চিত করা হবে।
১৯৯৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার দখল ছিল বাম সরকারের হাতে; মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। বিজেপি রাজ্যের দখল নেওয়ার পর মানিককে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন বিপ্লব। বিপ্লব শেষে এলো মানিক।
শনিবার, ১৪ মে ২০২২
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের আকস্মিক পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রেসিডেন্ট মানিক সাহা। পেশায় দন্তচিকিৎসক মানিক সাহা মাত্র দুই মাস আগে রাজ্যসভার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আগামী এক বছরের কম সমযের জন্য এ দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী বছর ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন।
এদিকে বিপ্লব দেব নিজেই টুইট করে মানিক সাহার নাম জানান৷ টুইটারে বিপ্লব দেব জানান, ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপি-র নতুন পরিষদীয় নেতা হচ্ছেন মানিক সাহা৷ নিজের উত্তরসূরিকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী৷
টুইটারে বিপ্লব দেব আরও লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ত্রিপুরার সমৃদ্ধি হবে৷’
ত্রিপুরায় স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মধ্যে আন্তঃকোন্দলের গুঞ্জন সম্প্রতি বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এ মধ্যেই শনিবার হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা জানান বিপ্লব।
তার আগে গত বৃহস্পতিবার বিপ্লব দিল্লি যান এবং পরদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে ফিরে এসেই তার পদত্যাগের ঘোষণায় মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশই পালন করেছেন তিনি।
বিপ্লবের পদত্যাগের পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে যায়। বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব এবং ত্রিপুরার পরিষদীয় দল।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে মানিকের সঙ্গে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব ভর্মার নামও শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মানিকেই ভরসা রাখে বিজেপি।
মানিক গত ৩১ মার্চ নির্বাচিত এবং ৩ এপ্রিল রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এখানো তার এমপি জীবনের দুইমাস পূর্ণ হয়নি। তার আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন।
৬৭ বছরের মানিককে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ছয়মাসের মধ্যে বিধানসভার কোনো একটি আসনে জিততে হবে। বিজেপির জন্য সেটা খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। ত্রিপুরার ৬০ আসনের বিধানসভায় গত নির্বাচনে ৪৪টিতে জয় পায় বিজেপি। তারই কোনও একটি থেকে হয়তো মানিকের জয় নিশ্চিত করা হবে।
১৯৯৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার দখল ছিল বাম সরকারের হাতে; মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। বিজেপি রাজ্যের দখল নেওয়ার পর মানিককে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন বিপ্লব। বিপ্লব শেষে এলো মানিক।