যুদ্ধাপরাধের প্রথম মামলায় রুশ সেনা ভাদিম শিশিমারিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ইউক্রেনের একটি আদালত। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সোমবার (২৩ মে) রুশ ওই সৈন্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভাদিম শিশিমারিনের বিরুদ্ধে এক বেসামরিক লোককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, ২১ বছর বয়সী রাশিয়ান ট্যাঙ্ক কমান্ডার ভাদিম শিশিমারিন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের চুপাখিভকা গ্রামে ৬২ বছর বয়সী ওলেকজান্ডার শেলিপভকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। রুশ সামরিক বাহিনীর নির্দেশ পাওয়ার পর তিনি গুলি চালিয়ে নিরস্ত্র ওই ইউক্রেনীয়কে হত্যা করেন বলে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি দেন।
আদালতের বিচারক সেরহি আগাফোনভ বলেন, শিশিমারিন রুশ সামরিক বাহিনীর উচ্চ-পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার ‘অপরাধমূলক আদেশ’ পালন করেছেন। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে তিনি ভুক্তভোগীর মাথায় কয়েকটি গুলি চালান।
সোমবার আদালতে শিশিমারিনকে নীল এবং ধূসর রঙের সোয়েটশার্ট পরা অবস্থায় দেখা যায়। আদালত কক্ষে নীরব ছিলেন তিনি। বিচারক রায় ঘোষণার সময় কোনও আবেগ দেখাতে যায়নি তাকে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিসের তরফে জানানো হয়, রুশ সেনাদের ওপর ইউক্রেনের সেনারা হামলা চালান। অভিযুক্ত ওই সেনাসহ চার রুশ সেনা একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ি চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। চুপাখিভকা আসার পর তারা গ্রামের এক সাইকেল আরোহীকে দেখতে পান। এসময় ওই ব্যক্তি ফোনে কথা বলছিলেন। রুশ সেনাদের উপস্থিতি সম্পর্কে যাতে তথ্য দিতে না পারেন, সে জন্য অভিযুক্ত সেনা গুলির নির্দেশ দেন। গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
রায়ের আগে, শিশিমারিনের প্রতিরক্ষাবিষয়ক আইনজীবী বলেন, কোনো রাশিয়ান কর্মকর্তা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র বলেছেন, এই মামলার বিষয়ে ক্রেমলিনের কাছে কোনো তথ্য নেই।
ইউক্রেনে আরও একাধিক যুদ্ধাপরাধের মামলার তদন্ত চলছে।
রুশ সৈন্যের এই বিচার ইউক্রেনের জন্য বিশাল প্রতীকী তাৎপর্য বহন করছে। ফেব্রুয়ারিতে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস ও বর্বর অভিযান চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, মস্কো সেনাদের হামলার সময় বেসামরিক লোকদের টার্গেট করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। যেখানে ইউক্রেন দাবি করে দেশটিতে ১১ হাজারের বেশি যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হতে পারে।
তবে এই যুদ্ধে বেসামরিকদের টার্গেট অথবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
সোমবার, ২৩ মে ২০২২
যুদ্ধাপরাধের প্রথম মামলায় রুশ সেনা ভাদিম শিশিমারিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ইউক্রেনের একটি আদালত। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবারের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সোমবার (২৩ মে) রুশ ওই সৈন্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভাদিম শিশিমারিনের বিরুদ্ধে এক বেসামরিক লোককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, ২১ বছর বয়সী রাশিয়ান ট্যাঙ্ক কমান্ডার ভাদিম শিশিমারিন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের চুপাখিভকা গ্রামে ৬২ বছর বয়সী ওলেকজান্ডার শেলিপভকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। রুশ সামরিক বাহিনীর নির্দেশ পাওয়ার পর তিনি গুলি চালিয়ে নিরস্ত্র ওই ইউক্রেনীয়কে হত্যা করেন বলে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি দেন।
আদালতের বিচারক সেরহি আগাফোনভ বলেন, শিশিমারিন রুশ সামরিক বাহিনীর উচ্চ-পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার ‘অপরাধমূলক আদেশ’ পালন করেছেন। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে তিনি ভুক্তভোগীর মাথায় কয়েকটি গুলি চালান।
সোমবার আদালতে শিশিমারিনকে নীল এবং ধূসর রঙের সোয়েটশার্ট পরা অবস্থায় দেখা যায়। আদালত কক্ষে নীরব ছিলেন তিনি। বিচারক রায় ঘোষণার সময় কোনও আবেগ দেখাতে যায়নি তাকে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিসের তরফে জানানো হয়, রুশ সেনাদের ওপর ইউক্রেনের সেনারা হামলা চালান। অভিযুক্ত ওই সেনাসহ চার রুশ সেনা একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ি চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। চুপাখিভকা আসার পর তারা গ্রামের এক সাইকেল আরোহীকে দেখতে পান। এসময় ওই ব্যক্তি ফোনে কথা বলছিলেন। রুশ সেনাদের উপস্থিতি সম্পর্কে যাতে তথ্য দিতে না পারেন, সে জন্য অভিযুক্ত সেনা গুলির নির্দেশ দেন। গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
রায়ের আগে, শিশিমারিনের প্রতিরক্ষাবিষয়ক আইনজীবী বলেন, কোনো রাশিয়ান কর্মকর্তা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র বলেছেন, এই মামলার বিষয়ে ক্রেমলিনের কাছে কোনো তথ্য নেই।
ইউক্রেনে আরও একাধিক যুদ্ধাপরাধের মামলার তদন্ত চলছে।
রুশ সৈন্যের এই বিচার ইউক্রেনের জন্য বিশাল প্রতীকী তাৎপর্য বহন করছে। ফেব্রুয়ারিতে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস ও বর্বর অভিযান চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, মস্কো সেনাদের হামলার সময় বেসামরিক লোকদের টার্গেট করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। যেখানে ইউক্রেন দাবি করে দেশটিতে ১১ হাজারের বেশি যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হতে পারে।
তবে এই যুদ্ধে বেসামরিকদের টার্গেট অথবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।