পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে বিল আনছে ইসরায়েলের জোট সরকার। আগামী সপ্তাহেই বিলটি আনা হবে বলে সরকারের একজন সদস্য জানিয়েছেন। যদি বিলটি পাস হয় তবে ফের ভোট হবে ইসরাইলে। আর তা হবে তিন বছরের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচন।
এক বিবৃতিতে জোটের দুই শীর্ষস্থানীয় শরিক নেতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ জোটকে স্থিতিশীল করার সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য আগামী সপ্তাহে একটি বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট তার ক্ষমতাসীন ভঙ্গুর ক্ষমতাসীন জোটের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার পর ইসরায়েলি আইনপ্রণেতারা আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন। আর এতে করেই গত তিন বছরের মধ্যে ইসরায়েলে পঞ্চম নির্বাচনের পথ খুলে যেতে পারে।
রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১২ মাস আগে ক্ষমতায় এসেছিলেন নাফতালি বেনেট। তবে বিরোদীদের অদ্ভূত জোটে ফাটলের পর এখন নাফতালি বেনেট সরে দাঁড়াবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পদে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন ইয়ার লাপিদ।
ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটে থাকা সবগুলো দলের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলের প্রধান সাবেক সাংবাদিক ইয়ার লাপিদ নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ইহুদি এই দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে নাফতালি বেনেট বলেছেন, ‘আজ আমরা আপনাদের সামনে কঠিন এক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি। তবে সমঝোতার সাথে আমরা ইসরায়েলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি।’
বেনেটের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে একটি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর এরপরই ইয়ার লাপিদ প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করবেন।
ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যপন্থী দলের প্রধান ও দেশটির বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, ‘আমি মনে করি সরকার গত এক বছরে খুব ভালো কাজ করেছে। এটা লজ্জাজনক যে দেশে (অল্প সময়ের মধ্যে) আবারও একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা যতটা সম্ভব একটি অস্থায়ী সরকার হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব।’
রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলে আগামী নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আগামী অক্টোবরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের হবু প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেছেন, ইসরায়েল বর্তমানে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে সেগুলো সমাধানের তিনি নতুন নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।
তার ভাষায়, ‘আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় মোকাবিলা করতে হবে, ইরান, হামাস এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে এবং ইসরায়েলকে একটি অগণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করার হুমকির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’
মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে বিল আনছে ইসরায়েলের জোট সরকার। আগামী সপ্তাহেই বিলটি আনা হবে বলে সরকারের একজন সদস্য জানিয়েছেন। যদি বিলটি পাস হয় তবে ফের ভোট হবে ইসরাইলে। আর তা হবে তিন বছরের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচন।
এক বিবৃতিতে জোটের দুই শীর্ষস্থানীয় শরিক নেতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ জোটকে স্থিতিশীল করার সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য আগামী সপ্তাহে একটি বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট তার ক্ষমতাসীন ভঙ্গুর ক্ষমতাসীন জোটের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার পর ইসরায়েলি আইনপ্রণেতারা আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন। আর এতে করেই গত তিন বছরের মধ্যে ইসরায়েলে পঞ্চম নির্বাচনের পথ খুলে যেতে পারে।
রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১২ মাস আগে ক্ষমতায় এসেছিলেন নাফতালি বেনেট। তবে বিরোদীদের অদ্ভূত জোটে ফাটলের পর এখন নাফতালি বেনেট সরে দাঁড়াবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পদে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন ইয়ার লাপিদ।
ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটে থাকা সবগুলো দলের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলের প্রধান সাবেক সাংবাদিক ইয়ার লাপিদ নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ইহুদি এই দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে নাফতালি বেনেট বলেছেন, ‘আজ আমরা আপনাদের সামনে কঠিন এক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি। তবে সমঝোতার সাথে আমরা ইসরায়েলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি।’
বেনেটের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে একটি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর এরপরই ইয়ার লাপিদ প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করবেন।
ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যপন্থী দলের প্রধান ও দেশটির বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, ‘আমি মনে করি সরকার গত এক বছরে খুব ভালো কাজ করেছে। এটা লজ্জাজনক যে দেশে (অল্প সময়ের মধ্যে) আবারও একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা যতটা সম্ভব একটি অস্থায়ী সরকার হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব।’
রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলে আগামী নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আগামী অক্টোবরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের হবু প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেছেন, ইসরায়েল বর্তমানে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে সেগুলো সমাধানের তিনি নতুন নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।
তার ভাষায়, ‘আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় মোকাবিলা করতে হবে, ইরান, হামাস এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে এবং ইসরায়েলকে একটি অগণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করার হুমকির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’