পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ের অবস্থা খুবই খারাপ জায়গায় এসে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের মুদ্রার মূল্যও ভয়ংকরভাবে কমে গেছে। এই সংকট থেকে ইসলামাবাদকে উদ্ধার করতে চীনের একাধিক ব্যাংকের কনর্সটিয়াম ২৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে।
মূলত ঋণ চুক্তির অধীনে ‘কয়েক দিনের মধ্যে’ চীনের কাছ থেকে বিপুল এই অর্থ হাতে পাবে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
পাক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল চীনকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, দেশে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে কিছু অর্থ জমা পড়বে এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নও ঠেকানো যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বর্তমান আর্থিক বছরে পাকিস্তানে রুপির দাম ডলারের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কমেছে।
গত ১০ জুনের হিসাব হলো, পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের কাছে নয়শ কোটি ডলার আছে, তা দিয়ে মাত্র ছয় সপ্তাহের আমদানির খরচ মেটানো সম্ভব। তাই পাকিস্তানে-চীন থেকে পাওয়া ২৩০ কোটি ডলারের খুবই প্রয়োজন ছিল।
পাকিস্তানের প্রধান সারির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের বরাত দিয়ে ভারতীয় এই বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, চীনের একাধিক ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম এবং পাকিস্তান আগেই ২.৩ বিলিয়ন বা ২৩০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি ঋণ সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
চুক্তির সর্বশেষ আপডেটে বুধবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, ঋণ চুক্তির অধীনে চীন থেকে নগদ এই অর্থপ্রবাহ কয়েক দিনের মধ্যেই চলে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, ‘চীনা ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম আজকে ১৫০০ কোটি আরএমবি (চীনা মুদ্রা) ঋণ সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাকিস্তান স্বাক্ষর সম্পন্ন করেছে গতকাল। কয়েকদিনের মধ্যেই নগদ অর্থ চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই লেনদেন সহজতর করার জন্য আমরা চীনা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গেও পাকিস্তানের আলোচনা চলছে। তারা যাতে আগের মতো এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটি দেয় তা নিয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে।
বুধবার রাতে আইএমএফ ও পাকিস্তান ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। সেখানে কীভাবে খরচ কমানো হবে এবং আয় বাড়ানো হবে, তা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে উভয় পক্ষই।
দ্য ডন জানিয়েছে, সমঝোতা অনুযায়ী প্রতি মাসে পাঁচ রুপি করে পেট্রোলিয়াম লেভি বসানো হবে। ১০ মাস লেভি বসবে। কর আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে ৪২ হাজার ২০০ কোটি রুপি। সংস্থাগুলোকে পভার্টি ট্যাক্স দিতে হবে। অতিরিক্ত বেতন ও পেনশনের জন্য যে তহবিল রাখা হয়েছিল, সেটাও বন্ধ করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ের অবস্থা খুবই খারাপ জায়গায় এসে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের মুদ্রার মূল্যও ভয়ংকরভাবে কমে গেছে। এই সংকট থেকে ইসলামাবাদকে উদ্ধার করতে চীনের একাধিক ব্যাংকের কনর্সটিয়াম ২৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে।
মূলত ঋণ চুক্তির অধীনে ‘কয়েক দিনের মধ্যে’ চীনের কাছ থেকে বিপুল এই অর্থ হাতে পাবে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
পাক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল চীনকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, দেশে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে কিছু অর্থ জমা পড়বে এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নও ঠেকানো যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বর্তমান আর্থিক বছরে পাকিস্তানে রুপির দাম ডলারের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কমেছে।
গত ১০ জুনের হিসাব হলো, পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের কাছে নয়শ কোটি ডলার আছে, তা দিয়ে মাত্র ছয় সপ্তাহের আমদানির খরচ মেটানো সম্ভব। তাই পাকিস্তানে-চীন থেকে পাওয়া ২৩০ কোটি ডলারের খুবই প্রয়োজন ছিল।
পাকিস্তানের প্রধান সারির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের বরাত দিয়ে ভারতীয় এই বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, চীনের একাধিক ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম এবং পাকিস্তান আগেই ২.৩ বিলিয়ন বা ২৩০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি ঋণ সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
চুক্তির সর্বশেষ আপডেটে বুধবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, ঋণ চুক্তির অধীনে চীন থেকে নগদ এই অর্থপ্রবাহ কয়েক দিনের মধ্যেই চলে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, ‘চীনা ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম আজকে ১৫০০ কোটি আরএমবি (চীনা মুদ্রা) ঋণ সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাকিস্তান স্বাক্ষর সম্পন্ন করেছে গতকাল। কয়েকদিনের মধ্যেই নগদ অর্থ চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই লেনদেন সহজতর করার জন্য আমরা চীনা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গেও পাকিস্তানের আলোচনা চলছে। তারা যাতে আগের মতো এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটি দেয় তা নিয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে।
বুধবার রাতে আইএমএফ ও পাকিস্তান ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। সেখানে কীভাবে খরচ কমানো হবে এবং আয় বাড়ানো হবে, তা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে উভয় পক্ষই।
দ্য ডন জানিয়েছে, সমঝোতা অনুযায়ী প্রতি মাসে পাঁচ রুপি করে পেট্রোলিয়াম লেভি বসানো হবে। ১০ মাস লেভি বসবে। কর আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে ৪২ হাজার ২০০ কোটি রুপি। সংস্থাগুলোকে পভার্টি ট্যাক্স দিতে হবে। অতিরিক্ত বেতন ও পেনশনের জন্য যে তহবিল রাখা হয়েছিল, সেটাও বন্ধ করা হবে।