চীনের চরম বিরোধিতা ও হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফরে গেলেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মঙ্গলবার রাতে তিনি নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই তাইপেতে এসে পৌঁছান। স্থানীয় সময় ১০টা ৪৪ মিনিটে তাঁর উড়োজাহাজ তাইপের মাটি স্পর্শ করে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে তিনি তাইপেতে এসে পৌঁছান।
তাইপে বিমানবন্দরে পেলোসিকে বহনকারী বিমান অবতরণ করার সময়ে তাইওয়ান উপত্যকা ও পূর্ব উপকূলের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল চীন। খবর বিবিসি’র।
চীন দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বিবেচনা করে সেখানে অন্য কোন দেশের যোগাযোগ রাখাকে বিরূপভাবে দেখছে। এরই মধ্যে মাঝে মার্কিন স্পিকারের তাইওয়ান সফর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চীন হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে, মার্কিন স্পিকারের এই সফরের ‘মারাত্মক পরিণতির’ হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,‘চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই দায় বহন করবে এবং মূল্য দিতে হবে’। ‘যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। তাদের অবশ্যই এর সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে।’
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের উদ্বৃতি দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান উপত্যকা পার করা শুরু করেছে। এই বিমানগুলো এসইউ-৩৫ বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ান সফর করা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ পেলোসি। তবে তাঁর এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থন দেননি।
পেলোসি তাইপের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে রাত কাটাবেন। তাঁর সফরের বিরোধিতা করে হোটেলের বাইরে চীনপন্থী লোকজন বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছেই এক টুইট বার্তায় বলেছেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে তার প্রতিনিধি দল তাইওয়ানের গতিশীল গণতন্ত্রের প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
টুইট বার্তায় পেলোসি আরও লেখেন, ‘তাইওয়ানের ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে আমেরিকার সংহতি আজ আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ’ এবং তার সফর ‘কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নীতির বিরোধিতা করে না’।
বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০২২
চীনের চরম বিরোধিতা ও হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফরে গেলেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মঙ্গলবার রাতে তিনি নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই তাইপেতে এসে পৌঁছান। স্থানীয় সময় ১০টা ৪৪ মিনিটে তাঁর উড়োজাহাজ তাইপের মাটি স্পর্শ করে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে তিনি তাইপেতে এসে পৌঁছান।
তাইপে বিমানবন্দরে পেলোসিকে বহনকারী বিমান অবতরণ করার সময়ে তাইওয়ান উপত্যকা ও পূর্ব উপকূলের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল চীন। খবর বিবিসি’র।
চীন দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বিবেচনা করে সেখানে অন্য কোন দেশের যোগাযোগ রাখাকে বিরূপভাবে দেখছে। এরই মধ্যে মাঝে মার্কিন স্পিকারের তাইওয়ান সফর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চীন হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে, মার্কিন স্পিকারের এই সফরের ‘মারাত্মক পরিণতির’ হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,‘চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই দায় বহন করবে এবং মূল্য দিতে হবে’। ‘যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। তাদের অবশ্যই এর সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে।’
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের উদ্বৃতি দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান উপত্যকা পার করা শুরু করেছে। এই বিমানগুলো এসইউ-৩৫ বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ান সফর করা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ পেলোসি। তবে তাঁর এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থন দেননি।
পেলোসি তাইপের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে রাত কাটাবেন। তাঁর সফরের বিরোধিতা করে হোটেলের বাইরে চীনপন্থী লোকজন বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছেই এক টুইট বার্তায় বলেছেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে তার প্রতিনিধি দল তাইওয়ানের গতিশীল গণতন্ত্রের প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
টুইট বার্তায় পেলোসি আরও লেখেন, ‘তাইওয়ানের ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে আমেরিকার সংহতি আজ আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ’ এবং তার সফর ‘কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নীতির বিরোধিতা করে না’।