২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতির হার। বুধবারের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭৯.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে লিরার দাম কমতে থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তুরস্কে জুন মাসের চেয়ে জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ২.৩৭ শতাংশ। বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির এ হার শীর্ষে পৌঁছে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জ্বালানি খাতে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করেছে।
একজন অর্থনীতিবিদ বলছেন, মুদ্রাস্ফীতির হার শীর্ষে পৌঁছে গেলেও আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতিতে খুব বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
বছরের হিসেবে তুরস্কে পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এ খাতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ১১৯.১১ শতাংশ। আর খাদ্য ও নন-অ্যালকোহোলিক পানীয়তে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ৯৪.৬৫ শতাংশ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের অর্থনৈতিক প্রভাব ও সেইসাথে লিরার ক্রমাগত দরপতনের কারণে এ বছর মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেড়েছে। গত বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে লিরার দরপতন হয়েছিল ৪৪ শতাংশ, এ বছর আরও ২৭ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
১৯৯৮ সালের পর দেশটিতে এখন মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ, সে সময় দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছিল ৮০.৪ শতাংশে।
তুকি সরকার বলেছে যে, অর্থনৈতিক নানা কর্মসূচির নেওয়ার ফলে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে। সরকারের নেওয়া অর্থনৈতিক কর্মসূচির আওতায় উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এরদোগান মনে করছেন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি যথাযথ একটা পর্যায়ে নেমে আসবে। আর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে বছরের শেষ নাগাদ মুদ্রাস্ফীতির হার ৬০ শতাংশে নেমে আসবে।
সূত্র : আলজাজিরা
বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২
২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতির হার। বুধবারের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭৯.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে লিরার দাম কমতে থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তুরস্কে জুন মাসের চেয়ে জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ২.৩৭ শতাংশ। বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির এ হার শীর্ষে পৌঁছে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জ্বালানি খাতে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করেছে।
একজন অর্থনীতিবিদ বলছেন, মুদ্রাস্ফীতির হার শীর্ষে পৌঁছে গেলেও আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতিতে খুব বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
বছরের হিসেবে তুরস্কে পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। এ খাতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ১১৯.১১ শতাংশ। আর খাদ্য ও নন-অ্যালকোহোলিক পানীয়তে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ৯৪.৬৫ শতাংশ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের অর্থনৈতিক প্রভাব ও সেইসাথে লিরার ক্রমাগত দরপতনের কারণে এ বছর মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বেড়েছে। গত বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে লিরার দরপতন হয়েছিল ৪৪ শতাংশ, এ বছর আরও ২৭ শতাংশ দরপতন হয়েছে।
১৯৯৮ সালের পর দেশটিতে এখন মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ, সে সময় দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছিল ৮০.৪ শতাংশে।
তুকি সরকার বলেছে যে, অর্থনৈতিক নানা কর্মসূচির নেওয়ার ফলে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে। সরকারের নেওয়া অর্থনৈতিক কর্মসূচির আওতায় উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এরদোগান মনে করছেন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি যথাযথ একটা পর্যায়ে নেমে আসবে। আর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে বছরের শেষ নাগাদ মুদ্রাস্ফীতির হার ৬০ শতাংশে নেমে আসবে।
সূত্র : আলজাজিরা