বিহারে এনডিএ জোটের দুই প্রধান শরিক জেডিইউ ও বিজেপির মনোমালিন্য চরমে পৌঁছেছে। মন্ত্রীত্ব বণ্টন সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে শরিক দল বিজেপির বিবাদ এতটাই গভীর হয়েছে যে জোটেও সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই দলের বিধায়ক ও সাংসদদের বৈঠক ডেকেছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। পাটনায় গিয়ে পৌঁছেছেন কংগ্রেস বিধায়করাও।
সবাইকে চমকে দিয়ে আজ আচমকাই কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন নীতীশ। ফোন করে কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
নীতীশ কি ফের লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি-র হাত ধরবেন, সেই সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের ঘনিষ্ঠ জেডি(ইউ) মন্ত্রী বিজয় চৌধুরী সোমবার বলেছেন, ‘মঙ্গলবার আমাদের দলের সাংসদ, বিধায়ক এবং নেতারা বসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। এর পর পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে।’
বর্তমানে জেডিইউ ও বিজেপি সহ বিহারের এনডিএ সরকারে ১২৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। আর আরজেডি-র নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটে কংগ্রেস, বাম ও বাকি দলগুলির মোট বিধায়ক সংখ্যা ১২২। এত কম ব্যবধানে নীতীশের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে পতন বিহারের রাজনীতিতে ফের বড়সড় পট পরিবর্তন ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে নীতিশের কথোপকথনের বিষয়ে কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তথা জোটের রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহাজোটের সঙ্গে আবারও সরকার গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেডিইউ-এর। বিজেপি ছাড়া সব দলই বিধায়ক দলের বৈঠক ডেকেছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে জেডিইউ জানিয়েছে তারা নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অংশ হবে না কিন্তু দুই দল একসঙ্গে জোটে রয়েছে।
গত মাসে, মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যোগ দেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের রোববারের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন নীতিশ। এই নিয়ে ১৭ জুলাই থেকে চতুর্থ বার কেন্দ্রের কোনও বৈঠকে গরহাজির রইলেন তিনি।
২০১৭ সালে, বিরোধী মহাজোট ভেঙ্গে বেরিয়ে যায় জেডিইউ। এরপরেই বিজেপির এনডিএতে যোগ দেয় তারা। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে মহাজোট গঠিত হয়।
সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২
বিহারে এনডিএ জোটের দুই প্রধান শরিক জেডিইউ ও বিজেপির মনোমালিন্য চরমে পৌঁছেছে। মন্ত্রীত্ব বণ্টন সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে শরিক দল বিজেপির বিবাদ এতটাই গভীর হয়েছে যে জোটেও সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই দলের বিধায়ক ও সাংসদদের বৈঠক ডেকেছেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। পাটনায় গিয়ে পৌঁছেছেন কংগ্রেস বিধায়করাও।
সবাইকে চমকে দিয়ে আজ আচমকাই কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন নীতীশ। ফোন করে কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
নীতীশ কি ফের লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি-র হাত ধরবেন, সেই সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের ঘনিষ্ঠ জেডি(ইউ) মন্ত্রী বিজয় চৌধুরী সোমবার বলেছেন, ‘মঙ্গলবার আমাদের দলের সাংসদ, বিধায়ক এবং নেতারা বসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। এর পর পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে।’
বর্তমানে জেডিইউ ও বিজেপি সহ বিহারের এনডিএ সরকারে ১২৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। আর আরজেডি-র নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটে কংগ্রেস, বাম ও বাকি দলগুলির মোট বিধায়ক সংখ্যা ১২২। এত কম ব্যবধানে নীতীশের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে পতন বিহারের রাজনীতিতে ফের বড়সড় পট পরিবর্তন ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে নীতিশের কথোপকথনের বিষয়ে কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তথা জোটের রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহাজোটের সঙ্গে আবারও সরকার গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেডিইউ-এর। বিজেপি ছাড়া সব দলই বিধায়ক দলের বৈঠক ডেকেছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে জেডিইউ জানিয়েছে তারা নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অংশ হবে না কিন্তু দুই দল একসঙ্গে জোটে রয়েছে।
গত মাসে, মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যোগ দেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের রোববারের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন নীতিশ। এই নিয়ে ১৭ জুলাই থেকে চতুর্থ বার কেন্দ্রের কোনও বৈঠকে গরহাজির রইলেন তিনি।
২০১৭ সালে, বিরোধী মহাজোট ভেঙ্গে বেরিয়ে যায় জেডিইউ। এরপরেই বিজেপির এনডিএতে যোগ দেয় তারা। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে মহাজোট গঠিত হয়।