alt

আন্তর্জাতিক

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সেনা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৯ আগস্ট ২০২২

টানা সাড়ে পাঁচ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে চলা রুশ এই আগ্রাসনের বিষয়ে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ মস্কোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে আনলেও এবারই প্রথম পরাশক্তি এই দেশটির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ সামনে এনেছে কিয়েভ।

আর তা হচ্ছে, ইউক্রেনের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সেনা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পারমাণবিক শক্তি কোম্পানির প্রধান বলেছেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সেনা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। তার অভিযোগ, ইউক্রেনের অবস্থানের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর জন্য এই স্থাপনাটিকে একটি সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে দখলকারী রাশিয়ান বাহিনী।

ইউক্রেনের পারমাণবিক শক্তি কোম্পানির ওই প্রধানের নাম পেট্রো কোটিন। বিবিসিকে তিনি বলেন, (রাশিয়ার কর্মকাণ্ডে) পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য ‘ব্যাপক’ হুমকি দেখা দিয়েছে, তবে এটি এখনও নিরাপদ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

এরপর গত মার্চের শুরুতে যুদ্ধের প্রথম দিকেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয়। যদিও এই স্থাপনা এখনও ইউক্রেনীয় প্রকৌশলীরা পরিচালনা করছেন। এরপর চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ এই হামলার জন্য ইউক্রেন রাশিয়াকে দায়ী করলেও বিবিসি বলছে, হামলার দায় পাল্টা ইউক্রেনের ঘাড়েও চাপিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ বলছে, এনারগোদারের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রোববার গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। পারমাণবিক এই সহিংসতার দায়ে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানিয়েছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বলেছে, শনিবার রাতে রুশ বাহিনীর নতুন করে গোলাবর্ষণ নিক্ষেপের ঘটনায় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি বিকিরণ সেন্সর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ওই স্থাপনার একজন কর্মী আহত হন।

পেট্রো কোটিন বিবিসিকে বলেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫০০ রাশিয়ান সৈন্য ছিলেন এবং তারা সেখানে রকেট লঞ্চারও স্থাপন করেছিলেন। যদিও তার এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (রাশিয়ান বাহিনী) এটিকে (বিদ্যুৎ কেন্দ্র) ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ঢালের মতো ব্যবহার করছে। কারণ ইউক্রেনের কেউ সেখানে কিছু (হামলা) করতে যাচ্ছে না।’

কোটিনের ভাষায়, ‘ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী জানে যে, এরা ইউক্রেনীয় কর্মী ও এটি একটি ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সেখানে ইউক্রেনীয় জনগণ আছে। আর তাই (সেখানে) আমরা আমাদের লোকদের, আমাদের কর্মীদের হত্যা করতে যাচ্ছি না এবং আমাদের অবকাঠামোরও ক্ষতি করতে যাচ্ছি না।’

কোটিন বলেন, প্ল্যান্টের কর্মীরা চাপের মধ্যে ও বিপদের মধ্যে কাজ করছেন এবং কয়েকজনকে বন্দী, মারধর ও নির্যাতনও করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, রাশিয়ার পরিকল্পনা ছিল ইউক্রেনের গ্রিড থেকে প্ল্যান্টটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং অবশেষে এটি রাশিয়ার সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করা।

ছবি

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

ছবি

হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান

ছবি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি : আইএইএ

ছবি

৩টি ড্রোন ধ্বংস করল ইরান, নিরাপদে আছে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা

ছবি

ইরানে বড় শহরগুলোতে বিমান চলাচল বন্ধ, সিরিয়া-ইরাকে ব্যাপক বিস্ফোরণ

ছবি

কাল ভারতে লোকসভার প্রথম দফার ভোট

ছবি

বিরোধিতা করায় চাকরি গেল ২৮ কর্মীর

ছবি

পানির নিচে দুবাই বিমানবন্দর, ব্যাপক বিশৃঙ্খলা

ছবি

হিজবুল্লাহর হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত

ছবি

ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭

ছবি

ঈদ উদযাপনে এক সপ্তাহে সৌদিবাসীর ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা

ছবি

‘ইউক্রেন হারলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে’

ছবি

নতুন অনলাইন ভিসা পদ্ধতি চালু করেছে শ্রীলঙ্কা, দেওয়া হয়েছে নতুন লিঙ্ক

ছবি

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব ভারতের সোনার বাজারে

ছবি

ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৭

ছবি

হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় : ইইউ

ছবি

সময় এখন মাথা ঠান্ডা রাখার, নেতানিয়াহুকে বললেন সুনাক

ছবি

ইউক্রেইন যুদ্ধে রুশ সেনা নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে : বিবিসি

ছবি

ওমানে ভারী বর্ষণে নিহত ১৮, বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত আরব আমিরাত

ছবি

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ

ছবি

ইরানের পাশে চীন, প্রতিশোধ পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের ‘না’

ছবি

ডেনমার্কে স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন

ছবি

ইসরায়েল হামলা চালালে এবার সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান

ছবি

পাকিস্তানে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিতে ৩৯ জনের মৃত্যু

ছবি

হামলার সময় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহযোগিতা করেছে সৌদি!

ছবি

পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

ছবি

ইরানে ‘শিগগিরই’ প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল

ছবি

ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী

ইসরায়েলকে শান্ত থাকার আহ্বান করেছে পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর

ছবি

পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু

ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় শপিংমলে হামলার লক্ষ্যই ছিল নারীরা: পুলিশ

ছবি

হামলার কারণ জাতিসংঘকে জানালেন ইরানি দূত

ছবি

ইরান-ইয়েমেনের ৮৬ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি

ছবি

হামলার আগে সতর্ক করেছিল ইরান, অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু

tab

আন্তর্জাতিক

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সেনা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৯ আগস্ট ২০২২

টানা সাড়ে পাঁচ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে চলা রুশ এই আগ্রাসনের বিষয়ে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ মস্কোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে আনলেও এবারই প্রথম পরাশক্তি এই দেশটির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ সামনে এনেছে কিয়েভ।

আর তা হচ্ছে, ইউক্রেনের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সেনা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পারমাণবিক শক্তি কোম্পানির প্রধান বলেছেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সেনা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। তার অভিযোগ, ইউক্রেনের অবস্থানের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর জন্য এই স্থাপনাটিকে একটি সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে দখলকারী রাশিয়ান বাহিনী।

ইউক্রেনের পারমাণবিক শক্তি কোম্পানির ওই প্রধানের নাম পেট্রো কোটিন। বিবিসিকে তিনি বলেন, (রাশিয়ার কর্মকাণ্ডে) পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য ‘ব্যাপক’ হুমকি দেখা দিয়েছে, তবে এটি এখনও নিরাপদ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

এরপর গত মার্চের শুরুতে যুদ্ধের প্রথম দিকেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয়। যদিও এই স্থাপনা এখনও ইউক্রেনীয় প্রকৌশলীরা পরিচালনা করছেন। এরপর চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ এই হামলার জন্য ইউক্রেন রাশিয়াকে দায়ী করলেও বিবিসি বলছে, হামলার দায় পাল্টা ইউক্রেনের ঘাড়েও চাপিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ বলছে, এনারগোদারের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রোববার গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। পারমাণবিক এই সহিংসতার দায়ে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন করে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানিয়েছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বলেছে, শনিবার রাতে রুশ বাহিনীর নতুন করে গোলাবর্ষণ নিক্ষেপের ঘটনায় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি বিকিরণ সেন্সর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ওই স্থাপনার একজন কর্মী আহত হন।

পেট্রো কোটিন বিবিসিকে বলেন, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫০০ রাশিয়ান সৈন্য ছিলেন এবং তারা সেখানে রকেট লঞ্চারও স্থাপন করেছিলেন। যদিও তার এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (রাশিয়ান বাহিনী) এটিকে (বিদ্যুৎ কেন্দ্র) ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ঢালের মতো ব্যবহার করছে। কারণ ইউক্রেনের কেউ সেখানে কিছু (হামলা) করতে যাচ্ছে না।’

কোটিনের ভাষায়, ‘ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী জানে যে, এরা ইউক্রেনীয় কর্মী ও এটি একটি ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সেখানে ইউক্রেনীয় জনগণ আছে। আর তাই (সেখানে) আমরা আমাদের লোকদের, আমাদের কর্মীদের হত্যা করতে যাচ্ছি না এবং আমাদের অবকাঠামোরও ক্ষতি করতে যাচ্ছি না।’

কোটিন বলেন, প্ল্যান্টের কর্মীরা চাপের মধ্যে ও বিপদের মধ্যে কাজ করছেন এবং কয়েকজনকে বন্দী, মারধর ও নির্যাতনও করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, রাশিয়ার পরিকল্পনা ছিল ইউক্রেনের গ্রিড থেকে প্ল্যান্টটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং অবশেষে এটি রাশিয়ার সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করা।

back to top