তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে বৃহস্পতিবার সকালে গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু পাচার কান্ডে জেরা করার জন্য পরপর ১০ বার অনুব্রতকে হাজিরার জন্য তলব করে সিবিআই। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র একবারই সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত, যিনি কেষ্ট নামেও পরিচিত। বারবার অসুস্থতার অজুহাতে অনুব্রত সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন, তবে সেটা ভালো চোখে দেখছিলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সাত সকালেই সার্চ ওয়ারেন্ট সঙ্গে নিয়ে বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই দল। সিবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সিবিআই মোট ২ কোম্পানি আধাসেনা জওয়ান নিয়ে যায় বলে সূত্রে খবর।
অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধাসেনা জওয়ানরা। অনুব্রতর বাড়ির সবার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন সিবিআই কর্তারা। বাড়িতে চলতে থাকে তল্লাশি।
গোরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দূর্গাপুর সিবিআই ক্যাম্প অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল জেলা সভাপতিকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, আজ অনুব্রত মণ্ডলকে প্রথমবার অভিযুক্ত হিসেবে নোটিস দেওয়া হয়। এর আগে তাকে ১০ বার সাক্ষী হিসেবে নোটিস ধরানো হয়েছিল। কিন্তু দশম নোটিসের পরেও হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অসুস্থ থাকার কারণ দেখিয়ে সিবিআইর মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে জানানো হয় তার আইনজীবীর মাধ্যমে। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই কর্তারা অনুব্রতের বাড়িতে পৌঁছে যান।
সোমবার সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও কলকাতায় এসে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে চলে যান অনুব্রত তথা কেষ্ট। কিন্তু, এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যে তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সোজা বোলপুরের বাড়িতে ফিরে যান অনুব্রত।
এরপর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ফের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআই নোটিস পাঠায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। আর মঙ্গলবারই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের এক চিকিৎসক তাকে বাড়িতেই দেখতে আসেন। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। তাকে সাদা কাগজে বেড রেস্টের প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের সুপার ও অনুব্রত মণ্ডল নির্দেশ দেন বলে জানান ওই চিকিৎসক।
এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে সোজা বাড়িতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই।
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে বৃহস্পতিবার সকালে গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু পাচার কান্ডে জেরা করার জন্য পরপর ১০ বার অনুব্রতকে হাজিরার জন্য তলব করে সিবিআই। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র একবারই সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত, যিনি কেষ্ট নামেও পরিচিত। বারবার অসুস্থতার অজুহাতে অনুব্রত সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন, তবে সেটা ভালো চোখে দেখছিলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সাত সকালেই সার্চ ওয়ারেন্ট সঙ্গে নিয়ে বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই দল। সিবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সিবিআই মোট ২ কোম্পানি আধাসেনা জওয়ান নিয়ে যায় বলে সূত্রে খবর।
অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধাসেনা জওয়ানরা। অনুব্রতর বাড়ির সবার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন সিবিআই কর্তারা। বাড়িতে চলতে থাকে তল্লাশি।
গোরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দূর্গাপুর সিবিআই ক্যাম্প অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল জেলা সভাপতিকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, আজ অনুব্রত মণ্ডলকে প্রথমবার অভিযুক্ত হিসেবে নোটিস দেওয়া হয়। এর আগে তাকে ১০ বার সাক্ষী হিসেবে নোটিস ধরানো হয়েছিল। কিন্তু দশম নোটিসের পরেও হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অসুস্থ থাকার কারণ দেখিয়ে সিবিআইর মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে জানানো হয় তার আইনজীবীর মাধ্যমে। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই কর্তারা অনুব্রতের বাড়িতে পৌঁছে যান।
সোমবার সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও কলকাতায় এসে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে চলে যান অনুব্রত তথা কেষ্ট। কিন্তু, এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যে তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সোজা বোলপুরের বাড়িতে ফিরে যান অনুব্রত।
এরপর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ফের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআই নোটিস পাঠায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। আর মঙ্গলবারই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের এক চিকিৎসক তাকে বাড়িতেই দেখতে আসেন। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। তাকে সাদা কাগজে বেড রেস্টের প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের সুপার ও অনুব্রত মণ্ডল নির্দেশ দেন বলে জানান ওই চিকিৎসক।
এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে সোজা বাড়িতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই।