মা, দাদা, বৌদি এবং ভাইঝিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠছে একই পরিবারের ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বুধবার (১০ আগস্ট) রাতের, পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থানার ময়দান এলাকার এমসি ঘোষ লেনে।
পারিবারিক বিবাদের জেরেই ওই চারজনকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ এসে ওই বাড়ির চার সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে।
আটক করা হয়েছে পরিবারের অভিযুক্ত ছোট ছেলের স্ত্রী পল্লবী ঘোষকে, পলাতক তার স্বামী দেবরাজ ঘোষ।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রক্তমাখা কাটারি। মৃতেরা হলেন, গৃহকর্ত্রী মাধুরী ঘোষ, তার মেঝ ছেলে দেবাশিস ঘোষ, পুত্রবধূ রেখা ঘোষ, এবং দেবাশিস ঘোষের ১৩ বছরের কন্যা তিয়াসা ঘোষ।
পুলিশের তথ্য, বুধবার সন্ধ্যার পর প্রথমে অশান্তি শুরু হয়েছিল মূলত ছোট বৌ পল্লবীর সঙ্গে মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী রেখার। পরে দুই ভাই এই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরেই এই চরম পরিণতি। ঘটনার সময় ছোট ভাই দেবরাজ কার্যত উন্মাদের মতো আচরণ করছিলেন বলেই স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানায়, সে এক বীভৎস দৃশ্য। দেবাশিসকে এলোপাথারি কোপাচ্ছে দেবরাজ। দেবরাজের স্ত্রী পল্লবী দেবাশিসের স্ত্রী রেখাকে বেদম মারছে। দেবাশিসের ১৩ বছরের মেয়ে রূপসা ওরফে তিয়াসা, হাওড়া যোগেশ চন্দ্র গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে ঘর থেকে বেরিয়ে কাকা এবং অন্যান্য আত্মীয় প্রতিবেশীদের কাছে আর্ত চিৎকার করতে থাকে ‘আমার বাবা মা কে মেরে ফেলছে, বাঁচাও।’
বাবাকে ছোট কাকা মারধর করছে দেখে তিয়াসা আশপাশে থাকা অন্যান্য আত্মীস্বজনকে ডাকতে যাওয়ায় তাকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ৷
পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে চারজন৷
পুলিশের জেরায় খুনের ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে অভিযুক্ত ওই বাড়ির ছোট বৌ পল্লবী ঘোষ। পুলিশে বলছে জেরায় অভিযুক্ত পল্লবী তাদের বলেন, ‘যা করার আমিই করেছি। চারজনকে আমিই মেরেছি। ওরা প্রত্যেকেই মরেছে তো স্যার? আমি রেগে গেলে যা ইচ্ছা করতে পারি। নিজেকেও মেরে দিতে পারি। আমি স্বামীকেও মেরে দিতে পারি।’
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
মা, দাদা, বৌদি এবং ভাইঝিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠছে একই পরিবারের ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বুধবার (১০ আগস্ট) রাতের, পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থানার ময়দান এলাকার এমসি ঘোষ লেনে।
পারিবারিক বিবাদের জেরেই ওই চারজনকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ এসে ওই বাড়ির চার সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে।
আটক করা হয়েছে পরিবারের অভিযুক্ত ছোট ছেলের স্ত্রী পল্লবী ঘোষকে, পলাতক তার স্বামী দেবরাজ ঘোষ।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রক্তমাখা কাটারি। মৃতেরা হলেন, গৃহকর্ত্রী মাধুরী ঘোষ, তার মেঝ ছেলে দেবাশিস ঘোষ, পুত্রবধূ রেখা ঘোষ, এবং দেবাশিস ঘোষের ১৩ বছরের কন্যা তিয়াসা ঘোষ।
পুলিশের তথ্য, বুধবার সন্ধ্যার পর প্রথমে অশান্তি শুরু হয়েছিল মূলত ছোট বৌ পল্লবীর সঙ্গে মেঝ ভাইয়ের স্ত্রী রেখার। পরে দুই ভাই এই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরেই এই চরম পরিণতি। ঘটনার সময় ছোট ভাই দেবরাজ কার্যত উন্মাদের মতো আচরণ করছিলেন বলেই স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানায়, সে এক বীভৎস দৃশ্য। দেবাশিসকে এলোপাথারি কোপাচ্ছে দেবরাজ। দেবরাজের স্ত্রী পল্লবী দেবাশিসের স্ত্রী রেখাকে বেদম মারছে। দেবাশিসের ১৩ বছরের মেয়ে রূপসা ওরফে তিয়াসা, হাওড়া যোগেশ চন্দ্র গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে ঘর থেকে বেরিয়ে কাকা এবং অন্যান্য আত্মীয় প্রতিবেশীদের কাছে আর্ত চিৎকার করতে থাকে ‘আমার বাবা মা কে মেরে ফেলছে, বাঁচাও।’
বাবাকে ছোট কাকা মারধর করছে দেখে তিয়াসা আশপাশে থাকা অন্যান্য আত্মীস্বজনকে ডাকতে যাওয়ায় তাকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ৷
পুলিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে চারজন৷
পুলিশের জেরায় খুনের ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে অভিযুক্ত ওই বাড়ির ছোট বৌ পল্লবী ঘোষ। পুলিশে বলছে জেরায় অভিযুক্ত পল্লবী তাদের বলেন, ‘যা করার আমিই করেছি। চারজনকে আমিই মেরেছি। ওরা প্রত্যেকেই মরেছে তো স্যার? আমি রেগে গেলে যা ইচ্ছা করতে পারি। নিজেকেও মেরে দিতে পারি। আমি স্বামীকেও মেরে দিতে পারি।’