alt

আন্তর্জাতিক

ডলারের বিকল্প অন্যান্য মুদ্রা কিনে রাখছে রাশিয়া

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ১৪ আগস্ট ২০২২

নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলার বা ইউরো কিনতে পারছে না রাশিয়া। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর মুদ্রায় রিজার্ভ সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ফলে তারা চীনা মুদ্রা ইউয়ান, ভারতীয় মুদ্রা রুপি, তুরস্কের মুদ্রা লিরা কিনছে। লক্ষ্য হচ্ছে, এই দেশগুলোর সঙ্গে নিজস্ব মুদ্রাবিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য করা।

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, তারা এখন রুবলের বিনিময়মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে। তবে কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি জরুরি আবার চালু করা দরকার। কারণ, তারা মনে করছে তেল বিক্রির অতিরিক্ত অর্থ আপৎকালীন তহবিলে রাখা জরুরি।

তবে এসব মুদ্রার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে সতর্ক বাণী দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এসব মুদ্রার প্রাপ্যতা নিয়ে অনিশ্চয়তা যেমন আছে, তেমনি ঝুঁকিও আছে। জুন মাসে তুরস্কের মূল্যস্ফীতি ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশে উঠেছে বলে জানিয়েছে তারা।

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম ডেপুটি গভর্নর আলেক্সেই জাবোৎকিন শুক্রবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছেন। তিনি সেদিন বলেন, ইউয়ান-রুবল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারল্য ইউরো-রুবলের তারল্যের পর্যায়ে চলে গেছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউয়ানের গড় দৈনিক লেনদেন ১২ গুণ বেড়েছে।

এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে কয়লা কিনছে ভারত। তবে এবার শুধু ইউয়ান নয়; আরব আমিরাতের দিরহাম ও হংকংয়ের ডলার ব্যবহার করে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে কয়লা কিনছে বলে জানা গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই রাশিয়া থেকে তেল ও কয়লা কেনা ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে ভারত। এসব কারণে নিষেধাজ্ঞার আঁচ মস্কোর গায়ে তেমন একটা লাগছে না। বিনিময়ে কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে ভারতকে অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি ছাড় দিচ্ছে রাশিয়া।

জুন মাসে রাশিয়ার কয়লা কিনতে যে পরিমাণ ডলার-বহির্ভূত মুদ্রা ব্যবহার করা হয়েছে, তার ৩১ শতাংশ ছিল ইউয়ান ও ২৮ শতাংশ ছিল হংকং ডলার। ইউরো ব্যবহার করা হয়েছে ২৫ শতাংশের কম এবং আমিরাতের দিরহাম ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৬ ভাগের ১ ভাগ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। হার্ড কারেন্সি হিসেবে ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করে নিজস্ব মুদ্রাবিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা করার চেষ্টা করছে রাশিয়া, চীন, ভারতসহ বেশ কিছু দেশ।

ছবি

‘গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল’

তৃতীয় দফা ভোটেও জয়, জোহরান এখন নিউইয়র্ক সিটির আনুষ্ঠানিক মেয়র প্রার্থী

ছবি

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের বড় ঘোষণা

মুসলিম দেশ কাজাখস্তানে বোরকা ও নিকাব পরা নিষিদ্ধ

ইরান ভ্রমণে আবারও নাগরিকদের সতর্ক করল চীন

ছবি

হরমুজ প্রণালিতে ইরানের মাইন পাতার প্রস্তুতি, উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

গাজায় ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

ছবি

তেলেঙ্গানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ৪৪, নিখোঁজ ১২ শ্রমিক

ছবি

আরও উত্তপ্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নিল পাকিস্তান

ফোনালাপ ফাঁসের জেরে বরখাস্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

ভারতে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৩৪

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া কতদূর

ছবি

সীমান্ত বিরোধ নিয়ে অডিও ফাঁস: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

ছবি

ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানের হামলা থেকে বাদ গেল না ক্যাফেও, গাজায় এক দিনে নিহত ৯৫

ছবি

ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ: বিনিয়োগ প্রত্যাহার করল নরওয়ের বৃহৎ পেনশন কোম্পানি কেএলপি

ছবি

‘শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর, দেখা যায় খালি চোখেও’

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্ত করার দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ

ইরান শান্তি চাইলে উঠে যেতে পারে নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: ইরান

ছবি

হুমকি ও শান্তির বার্তা, গাজা নিয়ে দ্বৈত নীতি

পাকিস্তানের জন্য ৩৪০ কোটি ডলারের ঋণ নবায়ন করলো চীন

ছবি

আলোচনা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: ইরান

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৭২

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মী নিহত

ছবি

সার্বিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, উত্তাল বেলগ্রেড

‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ : ফের ট্রাম্পের সমালোচনায় ইলন মাস্ক

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ ইরানের

ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে

নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিচার বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তির উদ্যোগের পরও গাজায় থেমে নেই হত্যাযজ্ঞ

ছবি

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় দুই দিনে ৩২ জনের মৃত্যু

ছবি

পুরিতে রথযাত্রায় ভিড়ের চাপে পিষ্ট হয়ে নিহত ৩, আহত ১০

ছবি

নর্থ ওয়াজিরিস্তানে সামরিক বহরে আত্মঘাতী হামলা, শিশু আহত ছয়

কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করছেন ট্রাম্প

tab

আন্তর্জাতিক

ডলারের বিকল্প অন্যান্য মুদ্রা কিনে রাখছে রাশিয়া

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ১৪ আগস্ট ২০২২

নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলার বা ইউরো কিনতে পারছে না রাশিয়া। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর মুদ্রায় রিজার্ভ সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ফলে তারা চীনা মুদ্রা ইউয়ান, ভারতীয় মুদ্রা রুপি, তুরস্কের মুদ্রা লিরা কিনছে। লক্ষ্য হচ্ছে, এই দেশগুলোর সঙ্গে নিজস্ব মুদ্রাবিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য করা।

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, তারা এখন রুবলের বিনিময়মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে। তবে কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি জরুরি আবার চালু করা দরকার। কারণ, তারা মনে করছে তেল বিক্রির অতিরিক্ত অর্থ আপৎকালীন তহবিলে রাখা জরুরি।

তবে এসব মুদ্রার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে সতর্ক বাণী দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এসব মুদ্রার প্রাপ্যতা নিয়ে অনিশ্চয়তা যেমন আছে, তেমনি ঝুঁকিও আছে। জুন মাসে তুরস্কের মূল্যস্ফীতি ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশে উঠেছে বলে জানিয়েছে তারা।

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রথম ডেপুটি গভর্নর আলেক্সেই জাবোৎকিন শুক্রবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছেন। তিনি সেদিন বলেন, ইউয়ান-রুবল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারল্য ইউরো-রুবলের তারল্যের পর্যায়ে চলে গেছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউয়ানের গড় দৈনিক লেনদেন ১২ গুণ বেড়েছে।

এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চীনের মুদ্রা ইউয়ান দিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে কয়লা কিনছে ভারত। তবে এবার শুধু ইউয়ান নয়; আরব আমিরাতের দিরহাম ও হংকংয়ের ডলার ব্যবহার করে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে কয়লা কিনছে বলে জানা গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই রাশিয়া থেকে তেল ও কয়লা কেনা ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে ভারত। এসব কারণে নিষেধাজ্ঞার আঁচ মস্কোর গায়ে তেমন একটা লাগছে না। বিনিময়ে কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে ভারতকে অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি ছাড় দিচ্ছে রাশিয়া।

জুন মাসে রাশিয়ার কয়লা কিনতে যে পরিমাণ ডলার-বহির্ভূত মুদ্রা ব্যবহার করা হয়েছে, তার ৩১ শতাংশ ছিল ইউয়ান ও ২৮ শতাংশ ছিল হংকং ডলার। ইউরো ব্যবহার করা হয়েছে ২৫ শতাংশের কম এবং আমিরাতের দিরহাম ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৬ ভাগের ১ ভাগ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। হার্ড কারেন্সি হিসেবে ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করে নিজস্ব মুদ্রাবিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা করার চেষ্টা করছে রাশিয়া, চীন, ভারতসহ বেশ কিছু দেশ।

back to top