মহামারি করোনার কারণে পর্যটন খাতে ধস নেমেছে সারাবিশ্বে। চীনের আধা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের পর্যটনশিল্পও এই মহামারিতে কাবু হয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে আবার পর্যটক আকর্ষণে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের নিয়ম বাতিলের পরপরই ৫ লক্ষ ফ্রি বিমান টিকেট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
হংকংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পর্যটকদের জন্য বিমানের ৫ লাখ টিকিট বিনা মূল্যে দেবে। যার মূল্য ২৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
করোনার মহামারির শুরু থেকে যেসব দেশ ও অঞ্চল ‘জিরো কোভিড’ নীতি অনুসরণ করেছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল হংকং। তবে গত মাসে এই অবস্থান থেকে সরে আসে তারা। সেপ্টেম্বরে ঘোষণা দেওয়া হয়, হংকংয়ে গিয়ে কোনো পর্যটককে আর হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। এ ছাড়া সেখানে যেতে ফ্লাইটে ওঠার আগে আর করোনার নেগেটিভ সনদও দেখাতে হবে না।
এরপর হংকং থেকে আসা ও যাওয়ার ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। স্থানীয় বিমান কোম্পানিগুলোর টিকিট বিক্রি এখনও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটক সংখ্যা বাড়াতে বিমানের টিকিট ফ্রি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে হংকংয়ের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, তারা পর্যটকদের ৫ লাখ টিকিট বিনা মূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। এসব টিকিটের মূল্যমান ২৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। পর্যটন খাত আবারও শক্তিশালী করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই টিকিট ক্রয়ের জন্য হংকং কর্তৃপক্ষ যে এখন অর্থ খরচ করছে, বিষয়টি এমন নয়। ২০২০ সালে যখন করোনার মহামারি বড় আকার ধারণ করেছিল, তখন হংকংয়ের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেখানকার এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টিকিট কিনে নিয়েছিল। বিমানশিল্পকে প্রণোদনা দিতে তখন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এসব টিকিটই এখন পর্যটকদের দেওয়া হবে।
তবে কীভাবে এসব টিকিট বিলিবণ্টন করা হবে এবং কারা এই টিকিট পাবেন, তা এখনো জানানো হয়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক হলে হংকংয়ের পর্যটন বোর্ড এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।
এদিকে হংকংয়ের পর্যটন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড্যাং চেং বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আগামী বছর এসব টিকিট পর্যটকদের মধ্যে বিলি করা হবে। যারা হংকংয়ে আসবেন এবং সেখান থেকে যাবেন, তাদের মধ্যে এসব টিকিট বিলি করা হবে।
শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২
মহামারি করোনার কারণে পর্যটন খাতে ধস নেমেছে সারাবিশ্বে। চীনের আধা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের পর্যটনশিল্পও এই মহামারিতে কাবু হয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে আবার পর্যটক আকর্ষণে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের নিয়ম বাতিলের পরপরই ৫ লক্ষ ফ্রি বিমান টিকেট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
হংকংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পর্যটকদের জন্য বিমানের ৫ লাখ টিকিট বিনা মূল্যে দেবে। যার মূল্য ২৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
করোনার মহামারির শুরু থেকে যেসব দেশ ও অঞ্চল ‘জিরো কোভিড’ নীতি অনুসরণ করেছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল হংকং। তবে গত মাসে এই অবস্থান থেকে সরে আসে তারা। সেপ্টেম্বরে ঘোষণা দেওয়া হয়, হংকংয়ে গিয়ে কোনো পর্যটককে আর হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। এ ছাড়া সেখানে যেতে ফ্লাইটে ওঠার আগে আর করোনার নেগেটিভ সনদও দেখাতে হবে না।
এরপর হংকং থেকে আসা ও যাওয়ার ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। স্থানীয় বিমান কোম্পানিগুলোর টিকিট বিক্রি এখনও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটক সংখ্যা বাড়াতে বিমানের টিকিট ফ্রি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে হংকংয়ের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, তারা পর্যটকদের ৫ লাখ টিকিট বিনা মূল্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। এসব টিকিটের মূল্যমান ২৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। পর্যটন খাত আবারও শক্তিশালী করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই টিকিট ক্রয়ের জন্য হংকং কর্তৃপক্ষ যে এখন অর্থ খরচ করছে, বিষয়টি এমন নয়। ২০২০ সালে যখন করোনার মহামারি বড় আকার ধারণ করেছিল, তখন হংকংয়ের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেখানকার এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টিকিট কিনে নিয়েছিল। বিমানশিল্পকে প্রণোদনা দিতে তখন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এসব টিকিটই এখন পর্যটকদের দেওয়া হবে।
তবে কীভাবে এসব টিকিট বিলিবণ্টন করা হবে এবং কারা এই টিকিট পাবেন, তা এখনো জানানো হয়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক হলে হংকংয়ের পর্যটন বোর্ড এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।
এদিকে হংকংয়ের পর্যটন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড্যাং চেং বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আগামী বছর এসব টিকিট পর্যটকদের মধ্যে বিলি করা হবে। যারা হংকংয়ে আসবেন এবং সেখান থেকে যাবেন, তাদের মধ্যে এসব টিকিট বিলি করা হবে।