করোনাপরিস্থিতি নিয়ে চীনের সাংহাইয়ে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপের তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। শুধু তাই নয় চীনের অন্যান্য অঞ্চলেও এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। খবর আল জাজিরা।
চীনে এ ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল গত এক দশক আগে। তখন চীনের ক্ষমতায় সবেমাত্র শি জিন পিং প্রবেশ করেন। ইউরুকি’র ওই বিক্ষোভে ১০ জন নিহত হয়। এবার নতুন করে করোনার বিধি-নিষেধ নিয়ে আবারও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
তিন বছর আগে চীনের উহান প্রদেশ থেকে করোনার উৎপত্তি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে চীনের প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক পরীক্ষা চালানো হয়। এছাড়া কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। লকডাউনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রদেশের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাই। গত কয়েকদিন ধরে করোনা পরিস্থিতি আবারও বেড়ে যাওয়ায় এখানে বিধি নিষেধ আরোপ করতে শুরু করে সরকার। যেটি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমি এখানে বিক্ষোভ করতে এসেছি। কারণ আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি সরকারকে ভালোবাসি না। আমি স্বাধীনভাবে বাইরে চলাফেরা করতে চাই। কিন্তু সেটি পারছি না। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সরকার খেলা খেলছে। যার সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই।
রোববার বিকাল থেকে শত শত বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আগে থেকেই এখানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে সাদা কাগজ দেখা যায়। যা নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানায়।
এদিকে বিক্ষোভের নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন বিবিসির একজন সাংবাদিক। পরে তাকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিবিসিও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আটককৃত ওই সাংবাদিকের নাম ইডি লরেন্স। সাংহাইতে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি পুলিশের হাতে আটক হন। এ সময় পুলিশ তাকে হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
চীনের উহান এবং চেংদু শহরেও রোববার থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া চীনের রাজধানীতে প্রায় এক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি তারা কোনো বিধি-নিষেধ চান। তারা ঘোরাফেরার স্বাধীনতা চান।
সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
করোনাপরিস্থিতি নিয়ে চীনের সাংহাইয়ে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপের তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। শুধু তাই নয় চীনের অন্যান্য অঞ্চলেও এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। খবর আল জাজিরা।
চীনে এ ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল গত এক দশক আগে। তখন চীনের ক্ষমতায় সবেমাত্র শি জিন পিং প্রবেশ করেন। ইউরুকি’র ওই বিক্ষোভে ১০ জন নিহত হয়। এবার নতুন করে করোনার বিধি-নিষেধ নিয়ে আবারও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
তিন বছর আগে চীনের উহান প্রদেশ থেকে করোনার উৎপত্তি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে চীনের প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক পরীক্ষা চালানো হয়। এছাড়া কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। লকডাউনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রদেশের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাই। গত কয়েকদিন ধরে করোনা পরিস্থিতি আবারও বেড়ে যাওয়ায় এখানে বিধি নিষেধ আরোপ করতে শুরু করে সরকার। যেটি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমি এখানে বিক্ষোভ করতে এসেছি। কারণ আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি সরকারকে ভালোবাসি না। আমি স্বাধীনভাবে বাইরে চলাফেরা করতে চাই। কিন্তু সেটি পারছি না। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সরকার খেলা খেলছে। যার সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই।
রোববার বিকাল থেকে শত শত বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আগে থেকেই এখানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে সাদা কাগজ দেখা যায়। যা নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানায়।
এদিকে বিক্ষোভের নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন বিবিসির একজন সাংবাদিক। পরে তাকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিবিসিও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আটককৃত ওই সাংবাদিকের নাম ইডি লরেন্স। সাংহাইতে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি পুলিশের হাতে আটক হন। এ সময় পুলিশ তাকে হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
চীনের উহান এবং চেংদু শহরেও রোববার থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া চীনের রাজধানীতে প্রায় এক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি তারা কোনো বিধি-নিষেধ চান। তারা ঘোরাফেরার স্বাধীনতা চান।