যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিনদিনের সফরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দেশ দুটির মধ্যে জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, পরিবহন, চিকিৎসা, আবাসন খাতসহ বিভিন্ন খাতে মোট ৩৪টি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য চুক্তি সই হয়েছে। এমনকি টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ে নিয়েও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় চীন ও সৌদি আরবের মধ্যে।তবে কেবল বাণিজ্য নয় সি’র সৌদি সফরে ভূরাজনৈতিক নানা সমীকরণও বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। এটি উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নিরাপত্তার উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিলো।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে আল-অ্যারাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে এটি সি’র তৃতীয় বিদেশ সফর। এই সফরে গত বুধবার সন্ধ্যায় সৌদি ও চীনের মধ্যে গ্রিন এনার্জি, গ্রিন হাইড্রোজেন, ফটোভোলটাইক এনার্জি, তথ্য প্রযুক্তি, ক্লাউড সার্ভিস, পরিবহন, লজিস্টিকস, চিকিৎসা শিল্প, আবাসন ও নির্মাণ কারখানার বিভিন্ন খাতে কয়েক ডজন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ বিন আবদুল আজিজ আল-ফালিহ চুক্তির বিষয়গুলো নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘চুক্তিগুলো বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে সৌদি আরব যে উন্নয়নে মনোযোগী সেই আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।’
গত বুধবার রিয়াদে পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সময় নানা আড়ম্বরের মধ্য দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানায় সৌদি আরব। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তাকে স্বাগত জানান। সৌদি রয়্যাল গার্ডের সদস্যরা আরবীয় ঘোড়ায় চড়ে এবং চীনা ও সৌদি পতাকা বহন করে শি জিনপিংয়ের গাড়িটি রাজ প্রাসাদে নিয়ে যায় এবং পরে তিনি ভোজসভায় অংশ নেন। এটি করোনা মহামারির পর শি জিনপিংয়ের তৃতীয় বিদেশ সফর। একই সঙ্গে ২০১৬ সালের পর সৌদি আরব সফরে গেলেন তিনি।
সফরের দ্বিতীয় দিন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন শি জিনপিং। পশ্চিমা বলয়ের বাইরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবার নতুন বৈশ্বিক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের মাত্রা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। অবশ্য এর পেছনে বিশেষ কারণও রয়েছে। হুয়াওয়ে মার্কিন উদ্বেগ সত্ত্বেও বেশিরভাগ উপসাগরীয় রাজ্যে ৫-জি নেটওয়ার্ক তৈরিতে অংশ নিয়েছে।
প্রিন্স সালমানকে, গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি সফরের সময় যে রকমটা দেখা গিয়েছিল চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের সময় তার ভিন্নতা স্পষ্ট বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে।
এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে চীনের প্রেসিডেন্টের। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ছয় সদস্যবিশিষ্ট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলে (জিসিসি) রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করার কথা শি জিনপিংয়ের।
সম্মেলনের ফাঁকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, সুদানের নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গেও চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠক করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি, মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখনাউচ ও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও জিসিসি সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সূত্র: রয়টার্স
শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিনদিনের সফরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দেশ দুটির মধ্যে জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, পরিবহন, চিকিৎসা, আবাসন খাতসহ বিভিন্ন খাতে মোট ৩৪টি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য চুক্তি সই হয়েছে। এমনকি টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ে নিয়েও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় চীন ও সৌদি আরবের মধ্যে।তবে কেবল বাণিজ্য নয় সি’র সৌদি সফরে ভূরাজনৈতিক নানা সমীকরণও বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। এটি উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নিরাপত্তার উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিলো।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে আল-অ্যারাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে এটি সি’র তৃতীয় বিদেশ সফর। এই সফরে গত বুধবার সন্ধ্যায় সৌদি ও চীনের মধ্যে গ্রিন এনার্জি, গ্রিন হাইড্রোজেন, ফটোভোলটাইক এনার্জি, তথ্য প্রযুক্তি, ক্লাউড সার্ভিস, পরিবহন, লজিস্টিকস, চিকিৎসা শিল্প, আবাসন ও নির্মাণ কারখানার বিভিন্ন খাতে কয়েক ডজন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ বিন আবদুল আজিজ আল-ফালিহ চুক্তির বিষয়গুলো নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘চুক্তিগুলো বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে সৌদি আরব যে উন্নয়নে মনোযোগী সেই আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।’
গত বুধবার রিয়াদে পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সময় নানা আড়ম্বরের মধ্য দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানায় সৌদি আরব। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তাকে স্বাগত জানান। সৌদি রয়্যাল গার্ডের সদস্যরা আরবীয় ঘোড়ায় চড়ে এবং চীনা ও সৌদি পতাকা বহন করে শি জিনপিংয়ের গাড়িটি রাজ প্রাসাদে নিয়ে যায় এবং পরে তিনি ভোজসভায় অংশ নেন। এটি করোনা মহামারির পর শি জিনপিংয়ের তৃতীয় বিদেশ সফর। একই সঙ্গে ২০১৬ সালের পর সৌদি আরব সফরে গেলেন তিনি।
সফরের দ্বিতীয় দিন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন শি জিনপিং। পশ্চিমা বলয়ের বাইরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবার নতুন বৈশ্বিক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের মাত্রা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। অবশ্য এর পেছনে বিশেষ কারণও রয়েছে। হুয়াওয়ে মার্কিন উদ্বেগ সত্ত্বেও বেশিরভাগ উপসাগরীয় রাজ্যে ৫-জি নেটওয়ার্ক তৈরিতে অংশ নিয়েছে।
প্রিন্স সালমানকে, গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি সফরের সময় যে রকমটা দেখা গিয়েছিল চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের সময় তার ভিন্নতা স্পষ্ট বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে।
এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে চীনের প্রেসিডেন্টের। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ছয় সদস্যবিশিষ্ট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলে (জিসিসি) রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করার কথা শি জিনপিংয়ের।
সম্মেলনের ফাঁকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, সুদানের নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গেও চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠক করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি, মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখনাউচ ও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও জিসিসি সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সূত্র: রয়টার্স