দেশের উত্তরের জেলা হিমালয়ের কন্যা নামে খ্যাত পঞ্চগড়ের দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা হ্রাস ও উঠানামার কারণে এ জেলার উপর দিয়ে যাচ্ছে মাঝারী শৈত্য প্রবাহ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্য সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন থেকে এখানে তাপমাত্রা উঠানামার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুদিন ধরে এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। তবে কিছুটা সূর্যের আলোর দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালের হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে গত কয়েক দিন এ উপজেলায় তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে এবং শীতের তীব্রতা বৃ্দ্ধি পাচ্ছে। তবে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি শীতের তীব্রতা আরও বৃ্দ্ধির সম্ভবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কনকনে হাড়কাঁপানো শীতের চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পাথর, চা শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষরা। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারে না। খুব একটা প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হয় না মানুষ। সন্ধ্যা থেকে পর দিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারপাশ।
এবিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকারা ভ্যান চালক জিতেন রায় বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হয়। গত কয়েকদিন থেকে আয় কমে যাওয়ায় বেকার সময় পার করতে হচ্ছে।
একই কথা বলেন বাংলাবান্ধা এলাকার পাথর শ্রমিক মালেকা বানু, তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ কাজ করে ভাত খাই কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে যে শীত আর কুয়াশা পড়ছে এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। কত শীতবস্ত্র আসে কিন্তু আমরা পাইনা। আমাদের খোঁজ খবরও কেউ নেয় না।
মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
দেশের উত্তরের জেলা হিমালয়ের কন্যা নামে খ্যাত পঞ্চগড়ের দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা হ্রাস ও উঠানামার কারণে এ জেলার উপর দিয়ে যাচ্ছে মাঝারী শৈত্য প্রবাহ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্য সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন থেকে এখানে তাপমাত্রা উঠানামার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুদিন ধরে এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। তবে কিছুটা সূর্যের আলোর দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালের হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে গত কয়েক দিন এ উপজেলায় তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে এবং শীতের তীব্রতা বৃ্দ্ধি পাচ্ছে। তবে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি শীতের তীব্রতা আরও বৃ্দ্ধির সম্ভবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কনকনে হাড়কাঁপানো শীতের চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পাথর, চা শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষরা। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারে না। খুব একটা প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হয় না মানুষ। সন্ধ্যা থেকে পর দিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারপাশ।
এবিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকারা ভ্যান চালক জিতেন রায় বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমাদের ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হয়। গত কয়েকদিন থেকে আয় কমে যাওয়ায় বেকার সময় পার করতে হচ্ছে।
একই কথা বলেন বাংলাবান্ধা এলাকার পাথর শ্রমিক মালেকা বানু, তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ কাজ করে ভাত খাই কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে যে শীত আর কুয়াশা পড়ছে এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। কত শীতবস্ত্র আসে কিন্তু আমরা পাইনা। আমাদের খোঁজ খবরও কেউ নেয় না।